ওপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আর কালো ধোঁয়ায় এপারে আতঙ্ক
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Mar/02/1709371227765.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর ওপার থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও তীব্র বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। সেই সঙ্গে স্পষ্ট কালো ধোঁয়া দেখছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের ও হ্নীলা ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার এলাকায় থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকা বাসিন্দারা। এসময় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আগুনের কালো ধোঁয়াও দেখেছেন তারা।
নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারী বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মিদের সঙ্গে চলছে সংঘর্ষ। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা এই গ্রামগুলোতে চলছে সংঘর্ষ। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, আজ সকাল থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। একই সাথে আগুনের কালো ধোঁয়াও দেখা যায়। মিয়ানমারে কয়েকটি এলাকায় হয়তো আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়া মানে অশনিসংকেত। ২০১৭ সালেও কালো ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। এই সময় রোহিঙ্গাদের ঢল আসছিল। তারপরও আমরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সজাগ আছি।
হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা তারেক মাহমুদ রনি বলেন, ২০১৭ সালের পর আবারও দাউদাউ আগুনে পুড়ছে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য। কয়েকদিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের কাছাকাছি বাসিন্দারা অনেক আতঙ্কে আছেন।
হোয়াইক্ষং এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে উনছিপ্রাং সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। কালকেও বিমান থেকে হামলা হয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
হোয়াইক্যং কান্জর পাড়া দেলোয়ার হোসেন বলেন, হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং পুলিশ ফাঁড়ির পূর্বে সীমান্তে মিয়ানমান ওপার থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের পর থেকে ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা। সেটি থেমে থেমে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্রগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে সীমান্তের নাফনদে আমাদের টহল চলমান রয়েছে। নতুন করে বাংলাদেশে কোন অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।