নীলক্ষেত গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২ ইউনিট
জাতীয়
রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর পলাশী ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট কাজ করছে। বড় কোন আগুনের ঘটনা নয়। তবে এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কিছু জানা যায়নি।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি প্রধান উপদেষ্ট ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নিশ্চয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫ উপলক্ষে পটুয়াখালীতে জেলা নির্বাচন অফিসে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা জাতিকে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব বলে আশাবাদী। ভোটগ্রহণের যে পরিবেশ সেটা সুন্দর হবে। আমরা আপাতত ব্যালটের মাধ্যমেই নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমরা এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই ভাবছি। কাজেই জাতীয় নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সব ধরনেরর তথাকথিত প্রভাবমুক্ত থেকে জাতিকে একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। নির্বাচন কোনোভাবেই প্রভাবান্বিত হওয়ার সুযোগ নাই।’
সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। সভায় পটুয়াখালীর সকল উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ফ্যাসিবাদী সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু৷
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে সাংগঠনিক সভায় এসে এসব মন্তব্য করেন তিনি৷
জামায়াত-চরমোনাইয়ের একত্রিত হওয়ার বিষয়ে দুদু বলেন, রাজনৈতিক মেরুকরণে ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবাই সবার অবস্থান থেকে আগামী নির্বাচনকে মোকাবিলা করতে চাই। স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা সিলমারা, ৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা গত ১৬ বছর শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে এমন একটি রাজনৈতিক দলের মেরুকরণে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবে না ৷
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা ১৪ সাল থেকে একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য কাজ করে আসছি। আমরা জনগণের ওপর নির্ভরশীল রাজনৈতিক দল৷ আমরা খুবই আশাবাদী যেকোন সময় নির্বাচন হলে বিএনপি ও জাতীয়বাদী শক্তি ভালো করবে।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, রংপুর বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম ও জেলা বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। গতকাল বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। মৃদু বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। এতে করে বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালাসহ নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশার মানুষ কাজ বের হচ্ছেন পেটের তাগিদে। গত সোমবার থেকে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা শীত নিজস্ব রুপ নিয়েছে বুধবার। কুয়াশার কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। অন্যদিকে হাসপাতালগুলো বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াশার সাথে মৃদু বাতাসে জবুথবু অবস্থায় পড়েছে শীতে বিপর্যস্ত মানুষ। বাড়িতে রান্নার চুলার আগুন এবং চায়ের দোকানের চুলায় শীত নিবারণের চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসাথে চায়ের দোকানগুলোতে চায়ের চুমুকে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্থ মানুৃষেরা।
শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে যেতে দেখা গেছে অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এছাড়া পেটের তাগিদে দিন মজুর, ভ্যানচালক, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালাসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজে বের হয়েছেন ঠান্ডা উপেক্ষা করে।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আরিফা আকতার বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। হিমেল বাতাসে কিছুটা হাত-পা টাটাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে বাসা থেকে বের হতে হয়েছি। এই শীতে শীতবস্ত্র নিয়ে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
অন্যদিকে, জেলার চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সরেজমিনে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায়, শিশু ও ডাইরিয়া ওয়ার্ডে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি রোগীর চাপ। তাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। শুধু শিশু ওয়ার্ডে নয় হাসপাতালের আউটডোরেও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বয়সী শিশুদের কোলে নিয়ে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে মায়েদের। এছাড়া হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ডাইরিয়া ওয়ার্ডে চার বছরের শিশুর এক অভিভাবক বলেন, গতকাল রাত থেকে হঠাৎ বাচ্চার বমি ও পাতলা পায়খানা। কাল থেকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। স্যালাইন চলছে, এখন কিছুটা ভাল হয়েছে।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএএমও) ডা.আসিফ উর রহমান বলেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, গেল দুই দিনে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত রোগ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া-শ্বাসকষ্ট নিয়ে যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। আমরা তাদের নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছি। এছাড়া আউটডোরেও রোগীর চাপ বাড়ছে। শীতজনিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে বাসি ও ঠান্ডা খাবার পরিহার, একইসাথে গরম কাপড় পরিধানের পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের শীতে বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
গাইবান্ধার সদর উপজেলার উত্তর হরিণ সিংহা গ্রামের আজাহার আলী বলেন, কয়েকদিন থেকেই ধীরে ধীরে বেড়েছে শীত। তবে গত দুই দিন হলো সূর্যের দেখা নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। তার সাথে হালকা বাতাসে চলাফেরা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
ভাটায় কাজ করা শ্রমিক আবেদ আলী বলেন, আমরা গরীব মানুষ শীত-গরম আমাদের কিছু নেই। একদিন কাজ না করলে চলেনা। শীতে কষ্ট হয় কিন্তু কাজ না করলে খাব কি।
রিকশাচালক কেরামত আলী বলেন, মাঘ মাসের শুরুতেও ঠান্ডা কম ছিল কিন্তু দুইদিন হলো খুব শীত। রিকশা চালানোর সময় শীতের বাতাসে হাত-পা টাটায়। রাতেও অনেক ঠান্ডা লাগে। আমাদের কম্বলের প্রয়োজন।
গেল দুই দিন থেকে বৃদ্ধি পাওয়া শীত বুধবার ও বৃহস্পতিবার কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব পরিস্থিতি আরও কঠিন হচ্ছে। এসময় এই এলাকার দরিদ্র-শীতার্থ মানুষের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া প্রায় অর্ধলক্ষ কম্বল জেলার সাত উপজেলার শীতার্থ মানুষের মাঝে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে পৌঁছাতে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ একাধিক মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের খুলশীতে বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে আলমারির ড্রয়ার ভেঙে প্রায় ২২ লাখ টাকার সাড়ে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ এক লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যান গৃহকর্মী সেলিনা আক্তার (২১)। ঘটনার ১২ দিন পর তাকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একই সঙ্গে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. রইছ উদ্দিন।
তিনি জানান, সেলিনা আক্তার নামে এক গৃহকর্মী দেড় মাস আগে তার বাসায় কাজ নেয়। ৯ জানুয়ারি বাসার সবাই বেড়াতে গেলে সেলিনা সুযোগ বুঝে আলমারির ড্রয়ারের তালা ভেঙে ১ লাখ টাকা এবং ১২.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে ছিল গলার হার, বালা, রিং, কানের দুলসহ বিভিন্ন অলংকার, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরে ২১ জানুয়ারি ফ্ল্যাটের মালিক ব্যবসায়ী মো. মাহবুবুর রহমান খুলশী থানায় এ বিষয়ে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তভার পেয়ে খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সেলিনার অবস্থান শনাক্ত করে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের কোয়াংছড়ি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ১২.৫ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
রইছ উদ্দিন বলেন, সেলিনা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেওয়ার পর থেকেই চুরির পরিকল্পনা করে। মালিক পরিবার বাইরে গেলে সে সুযোগ নেয়।
নগরবাসীকে গৃহকর্মী নিয়োগের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নাগরিক তথ্য বিবরণী ফরম পূরণ করার পরামর্শ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গ্রেফতারের পর সেলিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার দখল থেকে চুরিকৃত স্বর্ণালংকার- ১টি ব্রেসলেট, ২টি বালা, ১টি গলার হার, ২টি কানের দুল, ২টি চেইন, ১টি চিক, এবং ৩টি রিংসহ মোট ১২.৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।