ডিজিটাল সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সিটি করপোরেশনকে (সিসিক) বলা হয় দেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি। কিন্তু সনাতন পদ্ধতি অবলম্বনের কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এই সিটির ৬০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী। অভাব অনটনের সংসার চালাতে জীবনের ঝুঁকি জেনেও বেছে নিয়েছেন এ কাজকে তারা।

সিলেট সিটি করপোরেশন ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। প্রতিদিন ৪২টি ওয়ার্ড থেকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এই বর্জ্য অপসারণে কাজ করেন ৬শ জন কর্মী। তন্মধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলরের অধীনে ১০ জন করে প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে গ্যাস্ট্রিক, চর্মরোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগসহ বিভিন্নস্থানে ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও হাত-পা কেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।

সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শোনালেন, আশার বাণী। তারা বলছেন, নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর তার নির্দেশনায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই সনাতন পদ্ধতি থেকে বের হয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়া হবে।

জানা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্নকর্মীদের মধ্যে নেই মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোভস, গামবুট, পিপি, হেলমেট। তারা ড্রেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করেই হাত দিয়ে কাজ করেন। হাত দিয়েই তারা তুলছেন ময়লা-আবর্জনা। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেশিরভাগই সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী নন, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে এ কাজ করেন। তাদের অধিকাংশই জানেন না স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু।

সম্প্রতি, সরেজমিন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১, ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ড্রেন পরিষ্কারে বেশ কয়েকজন কাজ করছেন। কেউ ড্রেনের স্ল্যাব সরাচ্ছেন আর কেউবা ময়লা সংগ্রহ করছেন। তারা সবাই নিজেদের কোনো রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে ঝুঁকিতে কাজ করছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাস্ক, গ্লোভস ও গামবুট, পিপি ছাড়াই ময়লা সংগ্রহ ও পরিষ্কার করতে দেখা যায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের। পাশাপাশি তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জামও।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, আমাদের আর স্বাস্থ্য সুরক্ষা! কাজ না করলে পেটে ভাত পড়বে না! ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রায়ই হাত-পা কেটে যায়। কাজ করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার কারো কারো হাতে ঘা হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে ড্রেনের দুর্গন্ধ, প্লাস্টিকের বোতল ও কাচের আয়নাসহ বিভিন্ন ধরনের অপচনশীল জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেগুলো তুলতে গিয়ে হাত-পা কেটে যায়। আবার ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের জন্য সরঞ্জাম পর্যাপ্ত নেই।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম আবদীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর তার নির্দেশনায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গামবুট এসেছে। আরও কিছু গামবুট ও পিপি নিয়ে আনা হচ্ছে। সেগুলো পরে কাজ করলে পা ভিজবে না।

তিনি বলেন, কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেকেই হাত কেটে ফেলেন, এটা সত্য। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জাম পাচ্ছি না। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সিসিকের নতুন ওয়ার্ডগুলো। এসব ওয়ার্ড অনেক বড় হওয়াতে পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে পারিনি। তবে আশা করি, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশেনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্বাভাবিকভাবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী না থাকলে চর্ম, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

তিনি বলেন, যারাই এসব কাজ করেন, তাদের প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পরে কাজ করা। কারণ, তারা সুরক্ষিত না থাকলে তাদের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য সিসিকের পক্ষে স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।বিগত দিনে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;