প্রতিটি ইটিপিতে ডিভাইস বসানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে প্রতিটি এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে (ইটিপি) ডিভাইস বসানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে আড়াই হাজার ইটিপি আছে। এসব ইটিপি স্মার্ট মনিটরিং ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে (ডিসি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সাবের হোসেন বলেন, প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে, প্রতিটি ইটিপিতে যদি একটা ডিভাইস বসাতে পারি, তাহলে সেই ইটিপি সারাক্ষণ চলছে কিনা, সেটার একটা তথ্য আমাদের কাছে আসবে।

ডিসিদের সঙ্গে ইটিপি নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আড়াই হাজার ইটিপি আছে, যেগুলো আমাদের পক্ষে মনিটরিং করা সম্ভব না। ইটিপি অনেকের আছে, কিন্তু চালায় না। যখন কোনো পরিদর্শক যাওয়ার খবর পায়, তখনই তারা চালু করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ইটিপি একদিন বন্ধ রাখলে লাখখানেক টাকা বেঁচে যায়। কাউকে যদি আমরা ৩ মাস পর জানিয়ে দেই, অমুকে ইটিপি চালাচ্ছেন না, তখন তাকে জরিমানা করা হয় ১০ হাজার টাকা। এই টাকা জরিমানা দিয়ে একটা অবৈধ কার্যক্রমকে আমরা বৈধতা দিচ্ছি। এ কারণে জরিমানার মাত্রা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি স্মার্ট মনিটরিংয়ের চেষ্টা করছি।

ইটিপি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে তরল বর্জ্য পদার্থ পরিশোধন করা হয় ও ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। এই সঙ্গে অব্যবহৃত পানি পরিবেশে ছাড়া হয়। ইটিপি প্ল্যান্ট একটি স্বচ্ছ ও অবিজল প্রক্রিয়া। যা পরিবেশের ক্ষতি না করে সাধারণ পানি সংগ্রহ, ব্যবহার ও জীবাণুমুক্ত করে।

ডিসিদের কাছে প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সম্মেলনের দুটি উদ্দেশ্য। একটি হচ্ছে মাঠ প্রশাসনের কথা আমরা শুনি আর আমাদের প্রত্যাশা তাদের কাছে, সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করি। পরিবেশ অধিদপ্তরের মূল উদ্দেশ্য মানমাত্রা নির্ধারণ করা। বাস্তবায়নের কাজ মাঠ পর্যায়ের। আমাদের প্রতিটা কাজের জন্য আমরা ডিসিদের ওপর নির্ভরশীল। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে তারা এটা বাস্তবায়ন করেন।