ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ চুন্নুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ চুন্নুর

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ চুন্নুর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে সকল সংস্থা সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন- বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেইলি রোডে যে দুঃখজনক ঘটনা ঘটে, সেটি আমরা সংসদে উত্থাপন করি। সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানি না। কিন্তু আমরা দেখলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এতো তড়িৎ গতিতে রাজউক একদিকে যায় একটা হোটেল বন্ধ করে। আবার দক্ষিণের সিটি করপোরেশন যাচ্ছে এক জায়গায়, আবার ফায়ার ব্রিগেড যাচ্ছে। একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে, কে কোনটা আটকাবে, কোনটা ভাঙবে বা কোনটা ধরবে। তাই আমার কাছে মনে হয়, এটা একটা সমন্বয়হীনতার মাধ্যমে চলছে।

চুন্নু বলেন, আমাদের প্রশ্ন হলো- যে রাজউক থেকে আগে শনাক্ত করা হয়েছে যে, কোন কোন ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং কোন কোন ভবনগুলোতে আগুন লাগার সম্ভবনা আছে, অথবা যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ,এগুলো যারা সংশ্লিষ্ট বিভাগ তারা যদি সমন্বয় করে বা কমিটি করে যদি একটা একটা ধরে, তাহলে ভালো হয়। কারণ আমরা দেখলাম তিন চারটি ডিপার্টমেন্ট থেকে তারা তড়িৎ অ্যাকশন নিচ্ছে। যার ফলে কয়দিন পর দেখা যাবে কেউ নাই, একদম নীরব হয়ে যাবে।

তিনি জানান, ঢাকা শহরে ১ হাজার ১০৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। তারমধ্যে আটটি মার্কেট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অতি ঝুঁকিপূর্ণ একটি গাউসিয়া, ফুলবাড়িয়া বরিশাল প্লাজা, টিকাটুলির নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, লালবাগের আলাউদ্দিন মার্কেট, চকবাজারের শহিদুল্লাহ মার্কেট ও শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, সদরঘাটের শরীফ মার্কেট, সিদ্দিকবাজারের রোজলিন ভিস্তা। গাউসিয়া মার্কেটে মহিলাদের বেশি আনাগোনা হয়। এমন একটি জায়গা যদি এখানে কোনো দুর্ঘটনা হয়, তাহলে আমার মনে হয় অনেক মানুষ মারা যাবে। যদি সমন্বয় করে গাউসিয়াসহ এই মার্কেটগুলো এখনই মালিক বা ডেভলপারের সঙ্গে আলাপ করে একটা সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা না হয় এবং এটিকে যদি সরকারের দৃষ্টিতে নেওয়া না হয়, তাহলে যেকোনসময় দুর্ঘটনা ঘটবে।

চুন্নু আরও বলেন, সামনে ঈদ এসেছে, এখন গরম। গাউসিয়ায় মানুষ যাবে, হাজার হাজার মহিলা। আমিও গেছি আমার স্ত্রীর সঙ্গে। হাঁটা যায় না, এতো ভিড়। সেখানে যদি একটি কাণ্ড ঘটে তাহলে মারাত্মক একটি অবস্থা হয়ে যাবে। আমি একদিন মিরপুর গিয়েছিলাম, সেখানে একটি মার্কেট আছে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট। সেই আশির দশকে হয়েছিল, প্রায় পাঁচশ' দোকান। সমস্ত কিছু ভেঙ্গে গেছে, রাজউক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে, তাও মার্কেটের যারা দোকান মালিক তারা এটি ভাঙছে না। এই মার্কেটটিরও একটি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমন্বয়হীনতার অভাবে আবার সমস্যা হবে। আপনি নির্দেশ দেন, রাজউক হোক, সিটি করপোরেশন হোক বা ফায়ার সার্ভিস হোক, তারা যেন সম্মিলিতভাবে কাজ করে। এক ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে এক দোকান ভাঙছে, আরেকদিক থেকে সিটি করপোরেশন বলছে 'নো এটা স্টপ করেন'। এটা কিন্তু এলোপাতাড়ি হচ্ছে। কাজেই আপনি নির্দেশ দেন, যারা কনসার্ন বিভাগ তারা ধীরস্থিরভাবে যেগুলো অতি ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলোর বিষয়ে যেন একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না হয়।

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে। তবে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিন এর মাঝে কয়েক ঘণ্টা করে তা শিথিল করা হয়। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;