ইসলামী নীতি-নৈতিকতা ধারণ করে ভোক্তার অধিকার রক্ষার আহ্বান

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ইসলামী নীতি-নৈতিকতা ধারণ করে ভোক্তার অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, পণ্যের অবৈধ মজুতদারি থেকে বিরত থেকে সৎ উপায়ে ব্যবসা করার জন্য ইসলামি নীতি-নৈতিকতা ধারণ করতে হবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় ও কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় বিভাগীয় কমিশনার ভোক্তার চারটি অধিকার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি ভোক্তার চারটি মৌলিক অধিকার বিস্তৃত করে নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে প্রত্যেককে সৎ হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে ভেজাল ও অবৈধ মজুতদারি প্রতিরোধ, বাজার ব্যবস্থার সার্বিক তদারকির পাশাপাশি ভোক্তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ বাজার ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা প্রত্যেককেই নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, ওষুধের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধিকরণ, রোগীর পরীক্ষায় ডাক্তারের কমিশন, কোচিং বাণিজ্য, রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে খুব দ্রুত মনিটরিং করা হবে। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন ।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তা সমাধানের আশ^াস দেন। সভায় বক্তারা ভোক্তার বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলে ধরে আলোচনা করেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কল্যাণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকুসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। এর আগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি।’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।