আড়ম্বর ছাড়া আন্তরিকতায় র্যাব-২
![আড়ম্বর ছাড়া আন্তরিকতায় র্যাব-২](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Mar/15/1710500704170.jpg)
আড়ম্বর ছাড়া আন্তরিকতায় র্যাব-২
ব্যানার নেই, নেই ক্যামেরার আলোক ঝলকানি, আবার কোন আড়ম্বরও নেই। ধীরে গড়ছে চাকা, বয়োবৃদ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কাউকে দেখলেই থেমে যাচ্ছে গাড়িটি। বিরিয়ানির প্যাকেট ধরে দিয়েই আবার চাকা গড়তে শুরু করলো। ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডে ইফতার বিরতণে র্যাবের এমন আয়োজনে অনেকেই মুগ্ধতার কথা জানালেন। আসলে দান এমনই হওয়া উচিত। দাতা আর গ্রহীতা ছাড়া আর কারো বুঝে উঠবার আগেই ঘটনার পরিসমাপ্তি।
অনেকেই তো এমন ঘটা করে আয়োজন করেন, যেখানে বিশাল সামিয়ানা টেনে ত্রাণ কিংবা বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এমনও ঘটনার নজির রয়েছে বিতরণকৃত বস্ত্রের চেয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের খরচ বেশি। আবার মিডিয়াকে ডেকে ফলাও করে প্রচার। আবার কেউ কেউতো সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ দিয়ে নিজের মহত্ব জাহির করতে ব্যস্ত। সর্বত্রই যেনো অশুভ প্রতিযোগিতা বিরাজমান।
ইফতার বিতরণে তাদের বাছাই করার ধরণও অনুসরণযোগ্য। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ধানমন্ডি (৯/এ) মিনাবাজারের সামনে বেশ কয়েকজন ভিক্ষুক থেকে বেছে এক বৃদ্ধাকে ইশারা দিলেন থামার জন্য। বয়সের ভারে শরীর কুঁজো হয়ে গেছে, মুখের চামড়া গেছে কুচকে। তবুও পেটের তাগিদে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে তাদের।
![](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&quality=75&path=uploads/news/2024/Mar/15/1710500690470.jpg)
র্যাবের হাতছানি দেখে বৃদ্ধা খানিকটা ভয় পেলেন বোধ হয়। কিছুটা ইতস্ত বোধ করছিলেন দাঁড়াতে, আশপাশের দোকানিরা তাকে অভয় দিলেন। বৃদ্ধা দাঁড়াতেই পিকআপ থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট হাতে নেমে এলেন নাজমুল হাসান নামের একজন কর্মকর্তা। বৃদ্ধার হাতে প্যাকেট তুলে দিয়েই সটান চলে যেতে ধরলেন। এবার তার পথ আগলে মিনিট দুয়েক আলাপ হলো।
তখন জানা গেলো র্যাব-২ এর অধিনাক মোঃ আনোয়ার হোসেন খান নির্দেশে তারা পথে পথে ঘুরে খাবার বিরতণ করছেন। তাদের এই কার্যক্রম চলে প্রতি শুক্রবার করে। পুরো রমজান মাস জুড়েই থাকছে তাদের এই আয়োজন। কথা বলার সময় পাশ দিয়ে একজন প্রতিবন্ধী শিশু যাচ্ছিলেন, র্যাব সদস্যদের দৃষ্টি এড়ালো না। তারা তাকে ডেকে আন্তরিকতার সঙ্গে খাবার তুলে দিলেন।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই গাড়িটি আবার গড়তে গড়তে ধানমন্ডি-২৭ দিকে চলে গেলো। কিন্ত র্যাবের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলো আরও কয়েক মিনিট ধরে। প্রায় সকলেই বলতে থাকলেন দান করতে হলে এভাবেই করা উচিত। অন্তত র্যাবের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।