দেশীয় মাছ রক্ষায় পোড়ানো হলো নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল
অবৈধভাবে চায়না দুয়ারী ও বের জাল দিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত প্রায় ২০ হাজার মিটার জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখি মারা নামক এলাকায় অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিম ও স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ জালগুলোকে জব্দ করা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয়দের সম্মুখে জব্দকৃত অবৈধ জাল ও চাঁই পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এসময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, অ্যানিমল লাভারস অফ পটুয়াখালী এর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা, আনসার সদস্য, পুলিশ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ্যানিমল লাভারস অফ পটুয়াখালী সংগঠনের কলাপাড়া টিম লিডার মো: রাকায়েত হোসেন জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সমাজ সেবামূলক কাজ এর পাশাপাশি প্রাণীকূল নিয়ে কাজ করে আসছি। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের কাছে সংবাদ ছিল, পাখি মারার এই খালটিকে কিছু প্রভাবশালীরা অবৈধ জাল দিয়ে দেশীয় মাছের উৎপাদন ব্যাহত করছে। পাশাপাশি খালটিকে দখল করে রাখছে। তাই আজকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্যারের প্রচেষ্টায় খালটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, চায়না দুয়ারী মূলত মাছ ধরার এক ধরণের ফাঁদ। এই জালের বুননে একটি গিঁঠ থেকে আরেকটি গিঁঠের দূরত্ব খুব কম। যে কারণে এতে মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না। একে চায়না জাল, ম্যাজিক জাল এবং ঢলুক জাল নামেও ডাকা হয়। চায়না দুয়ারী ব্যবহারে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও অন্য জলজ প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। তাই এটি একটি নিষিদ্ধ জাল। স
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলার এই নীলগঞ্জ একটি উন্নত কৃষি প্রধান ইউনিয়ন। এখানে শত শত কৃষক এই খালের দুই পারে কৃষি কাজ করে থাকেন। কিন্তু কিছু অসাধু জেলেদের কারণে এবং অবৈধ জাল ব্যবহার করে তারা এই জলের প্রবাহ আটকিয়ে রাখছে। যাতে করে দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। এই খালগুলো উন্মুক্ত রাখা এবং দেশীয় মাছ রক্ষার জন্য আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।