মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল কিন্তু ওরা তাকে বাঁচতে দিলো না!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তাকে বাঁচতে দিলো না’ বলে গগনবিদারী চিৎকার করে কাঁদছিলেন শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার (২৪) মা তাহমিনা শবনম।

তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে আমার কাছ থেকে চলে গেল। মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তাকে বাঁচতে দিলো না। মেয়ে আমার সাহসী ছিল। বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত রোজায় সরকারি কলেজের অধ্যাপক স্বামীকে হারালাম। এবার মেয়েকে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্ট করে কুমিল্লার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এর পর বুকফাটা আর্তনাদ করতে থাকেন তার মা তাহমিনা শবনম।

কাঁদতে কাঁদতে অবন্তিকার মা বলেন, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো। এঘটনার পর অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশও করেছিল।

কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার তো করেননি বরং অবন্তিকাকে ডেকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন। তিনি ওই ছেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। এরপরই ওই ছেলে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়ে। আপত্তিকর মন্তব্য করতো, হুমকি দিতো। এ ঘটনার বিচার না পেয়ে আমার মেয়ে অবন্তিকা মনের ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে।

তাহমিনা শবনম বলেন, আত্মহত্যা করার কয়েক মিনিট আগে রাত সাড়ে নয়টার দিকে অবন্তিকা আমাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরে ওর রুমের ফ্যান ঘোরার শব্দ না পেয়ে ওকে ডাকাডাকি করতে থাকি। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

পরে আমার ছেলে নিচে গিয়ে বাড়ির দারোয়ানকে দিয়ে মই আনিয়ে পূব পাশের জানালা খুলে দেখা যায়, অবন্তিকা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে!

এরপর পাশের ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা পুলিশে ফোন করেন। পুলিশ এলে তাদের নিয়ে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই অবন্তিকাকে খুব বিষণ্ণ দেখেছি। তার কাছ জানতে চাইলে বললো, তেমন কিছু না, এমনি। ও যে আত্মহত্যা করবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবন্তিকা তার শেয়ার করা পোস্টে বলেন, আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি, এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।

কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করছে, বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায়, সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে গালি দিয়ে বলে 'তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেন? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি, তোরে এখন কে বাঁচাবে?'

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিল। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তে থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সে কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না।

আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম।

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ, সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না, কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না, বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।

   

সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে জাবিতে ব্যাচ ডে'র অনুমতি প্রক্টরের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে জাবিতে ব্যাচ ডে'র অনুমতি

সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে জাবিতে ব্যাচ ডে'র অনুমতি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একাডেমিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় গত বছরের অক্টোবরে ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা থাকায় এর আগে কয়েকটি ব্যাচ তাদের ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি।

এদিকে, গত ২৫ মে (রোববার) সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে অবাধে মাদক সেবন ও সময়সীমার তোয়াক্কা না করে রাত পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে মুক্তমঞ্চে ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী আয়োজনে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর প্রেক্ষিতে ৯ অক্টোবর রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মুক্তমঞ্চে ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী আয়োজনে নিষেধাজ্ঞাসহ সকল প্রকার অনুষ্ঠান রাত ১০টার মধ্যে সম্পন্নের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।

অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান প্রতি তিন বছরে একবার আয়োজন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক ও বর্তমান ব্যাচগুলোর বর্ষপূর্তি (ব্যাচ ডে) কিংবা রিইউনিয়ন (পুনর্মিলনী) অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়। রাত দশটার পর কোনো অনুষ্ঠান করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি উক্ত সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভবিষ্যতে কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকলেও গত ২৫ মে (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির। এদিকে বর্ষপূর্তির এই অনুষ্ঠানে অবাধে মাদক সেবন ও সময়সীমার তোয়াক্কা না করে রাত পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘটনা ঘটেছে।

ব্যাচ ডে আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাদকদ্রব্য কেনা হয়েছে। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের জন্য কেনা হয় ২০ হাজার টাকার মদ। অনুষ্ঠান শেষে গভীর রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তমঞ্চ, টিএসসি ও ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় অবাধে মাদকদ্রব্য সেবন করতে দেখা যায়।

জানা যায়, গত ১২ মে ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ব্যাচ ডে পালনের জন্য প্রক্টরের কাছে অনুমতির আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রক্টর শিক্ষার্থীদের মৌখিক অনুমতি দেন এবং উপাচার্যের সাথে কথা বলে চূড়ান্ত অনুমোদনের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে ১৩ মে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন প্রক্টর।

গত ২৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষপূর্তির অংশ হিসেবে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তবে অনুষ্ঠানের সময়সীমা রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দেওয়া থাকলেও ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আয়োজক কমিটি।

এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন,আমি অনেক শর্ত সাপেক্ষে ওদের অনুমতি দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিকশিত হওয়ার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দরকার আছে। তবে ওদের আমি নয়টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার কথা বলেছিলাম৷ কিন্তু ওরা প্রায় এগারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করেছে। আমরা আর এ ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিব না।

অবাধে মাদক সেবনের বিষয়ে তিনি বলেন, যেকোনো অনুষ্ঠান হলে এটা (মাদক) কমন। আমরা একটা কমিটি করব মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য।

;

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জবি অধ্যাপক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জবি অধ্যাপক

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জবি অধ্যাপক

  • Font increase
  • Font Decrease

বোন ম্যারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিল্পী খানম।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ মো. আরিফুল আবেদ।

অধ্যাপক শিল্পী খানমের অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আবেগঘন পোস্ট দিতে দেখায় যায় শিক্ষার্থী, সহকর্মীদের।

বাংলা বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী লগ্ন এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই তো ক'দিন আগের কথা, ম্যাম বিভাগে এলেন। Shibli Noman ভাই, Alomgir Kabir ভাই আর আমার সামনে সুস্থ হয়ে পরিবার, সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার তীব্র বাসনার সরল প্রকাশ করলেন। মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছিলেন আমাদের।

প্রসঙ্গত, আড়াই বছর আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে অধ্যাপক শিল্পী খানমের। দেশে কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে নেয়া হয় ভারতে। সেখানে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা শেষে ফিরে আসেন তিনি।

এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত শুক্রবার রাতে অধ্যাপক শিল্পী খানমকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল।

;

সর্বজনীন পেনশন বাতিল

স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি চবি শিক্ষক সমিতির



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এ সংগঠনটি।

রোববার (২৬ মে) দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ জাতি গঠনের ভূমিকা রাখে কিন্তু তাদের ওপরেই যদি বৈষম্যের আঘাত করা হয়, তাহলে তারা কী জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে? সুতরাং আমরা এই বৈষম্য ও নিপীড়ন মূলক প্রজ্ঞাপন বন্ধের জোর দাবি জানায়।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবনমন করে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সুযোগসুবিধা নিয়েছিল, তখন আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। পরে সুপার স্কেমের কথা বললেও সেটা কার্যকর করা হয়নি। যখনই আমরা স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোরের জন্য কথা বলতে যায়, তখন আমাদেরকে বলা হয়, আপনারা কেন সবার সাথে তুলনা করেন? আপনারা তো অতুলনীয়। আমরা তখনই কথা বলতে যাই যখন আমাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ আমাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কেলে নামে আমাদের বৈষম্যমূলক পেনশন স্কেল করার প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে। আপনারা জানেন, সর্বজনীন হয় তখনই যখন একটি রাষ্ট্রের সকল পেশার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত মানুষকে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু যারা এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তারা বলছেন এটা সর্বজনীন কিন্তু তারা এটাতে যুক্ত হতে চান না। তারা বলছেন এটাতে যুক্ত হন, এটা খুবই ভালো কিন্তু আমরা যুক্ত হবো না।

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান বলেন, সর্বজনীন বেতন স্কেল প্রত্যাহার, সুপার স্কেল চালু এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল। এই তিনটি আমাদের হৃদয়ের দাবি। আপনারা জানেন, একটি জাতি যখন এগিয়ে যায় এর পেছনে শিক্ষকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ করার স্বপ্ন দেখা হচ্ছে কিন্তু শিক্ষকদেরকে বঞ্চিত করে কি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ, ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সকল শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারী ১জুলাই, ২০২৪ তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয় স্কিম' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।

;

বি.এম. কলেজে সিলিং ফ্যান ভেঙে শিক্ষার্থী আহত



ক্যাম্পাস ডেস্ক, বার্তা২৪
সিলিং ফ্যান ভেঙে টেবিলে পড়ে / ছবি: বার্তা২৪

সিলিং ফ্যান ভেঙে টেবিলে পড়ে / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের প্রখ্যাত সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ক্লাস চলাকালে হুক ভেঙে সিলিং ফ্যান পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে তৌসিফ ফাহিম এক শিক্ষার্থী। রবিবার (২৬ মে) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই শিক্ষার্থী উক্ত প্রতিষ্ঠানে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পাওয়া তথ্যমতে, প্র্যাকটিকাল ক্লাস চলাকালে সকাল ৯ টায় সকল শিক্ষার্থী ক্লাসে আসে। দুপুর দেড়টার কিছুক্ষণ আগে ক্লাস যখন প্রায় শেষ, তখন হঠাৎ সিলিং ফ্যান অকার্যকর হয়ে চলন্ত অবস্থাতেই খুলে পড়ে। ফ্যানের পাখার অংশটি ফাহিম নামক সেই শিক্ষার্থীর মাথায় লাগে। এরপর শিক্ষক সহ বাকি শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয় ফাহিমকে। বর্তমানে সেই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে এবং তিনি বিপদমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচ বহন করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।  

হুক ভেঙে সিলিংফ্যান পড়ে যায়

শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল থেকেই ফ্যানে অস্বাভাবিকভাবে শব্দ করছিল। তারা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে রাখলেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে আবার চালাতে বাধ্য হয়। হঠাৎ করেই ফ্যানটি সরাসরি টেবিলের উপর পড়ে কাচ ভেঙে যায়। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফ্যান লাগানো হুকটি মাঝ থেকে ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল।

ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। তাদের বক্তব্য একটু উনিশ-বিশ হলেই গুরুতর কিছু হতে পারতো। স্থপতিতে খচিত রয়েছে ভবনটি ১৯১৭ সালে নির্মিত। অন্যান্য ফ্যান এবং ব্যবহৃত কলকব্জা বেশ পুরানো হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তেই বড় বিপদ হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত তাদের নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করুক। এই ঘটনার পর, এই ধরনের ঘটনা এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।  

;