দাবি আদায়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পরে রাস্তা ছেড়ে যাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়। ফলে শুরু হয়েছে যানচলাচল।
এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এতে করে ওই রাস্তা দিয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘সুপারিশপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকবৃন্দ তৃতীয় ধাপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)’-এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন চলছে।
দুপুর ২টার দিকে দেখা গেছে- আন্দোলন করা শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি পুলিশ। অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করে। সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজও পাওয়া যায়। পুরুষ শিক্ষকদের মারধর করে পুলিশ তুলে দিলেও নারী শিক্ষকরা এখনো রাস্তায় আছেন। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর সীমিত পরিসরে যানচলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে, ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।
পরকীয়ার কথা জিজ্ঞেস করায় ব্লেড দিয়ে কেটে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতকপরকীয়ার কথা জিজ্ঞেস করায় ব্লেড দিয়ে কেটে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক
গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।