বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে: রেলমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলা গড়ার। ক্ষুধা-দারিদ্র ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত ও দৃঢ় মনোবলের কারণে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে শিখেছে। আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে।

রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় অফিসার্স ক্লাব মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা সবাই মিলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির দেশের উন্নয়ন পছন্দ না। তারা মিথ্যা কথা বলতে ভালোবাসে। বিএনপি জনগণের সাথে সব সময় প্রতারণা করে। জনগণও তাদের বিচার করেছে। এখন জনগণ বিএনপিকে ঘৃণা করে প্রত্যাখান করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ীর মানুষ কোন সময় চিন্তা করেছেন ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুরে পৌঁছাতে পারবেন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে। কোন সময় আপনারা চিন্তা করেন নাই। এখন আপনারা বাস্তবে যাচ্ছেন। অনেক স্বপ্নই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের পূরণ হয়েছে। আজকে ঢাকায় মানুষ মেট্রোরেলে চড়তে পছন্দ করে। ১০ মিনিটেই মেট্রোরেলে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাওয়া যায়। আজকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে মনেই হবে না আমরা বাংলাদেশে আছি।

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ আহম্মেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল মাস্টার।

এর আগে, সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রেলমন্ত্রী। এরপর বেলুন উড়িয়ে ও পায়রা অবমুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।