মেট্রোরেলের সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট ক্যান্টিনের ভাড়া ১০০০ টাকা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য মাসিক ভাড়া দেওয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। অনেকে আবার একে ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন।

১৪ মার্চ ডিএমটিসিএল'র মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়ার তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাড়া হিসাবে মাসিক এক হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত মোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন ৬-এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি দাখিলকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।

এই নোটিশ জারির সাতদিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান করা হয় ডিএমটিসির বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়াও কার্য সম্পাদন জামানত হিসাবে ৩ লাখ টাকা মাত্র আগামী ২৮ মার্চ জমা দিতে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

ভাড়ার বিষয়ে ডিএমটিসিএল'র মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এটা ওপেন টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

ভাড়ার বিষয়টি অসামঞ্জস্য কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চার মাস আগের ঘটনা এখন কেন জিজ্ঞাসা করছেন! এসময় সাড়ে ৭ হাজার নয়, ১ হাজার বর্গফুট ক্যান্টিন বলে দাবি করে তিনি বলেন, ডকুমেন্টস না দেখে কথা বলেন কেন!

তবে চলতি বছরের জানুয়ারির ১ তারিখের টেন্ডার আবেদনের বিজ্ঞপ্তিতেও সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট জায়গার কথা উল্লেখ করা আছে।

মেট্রোরেলে ডিপোতে কর্মরত কয়েজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিপোতে তিন শিফটে কাজ হয়। গড়ে ১শ ৫০ জনের মতো ডিপোতে কর্মরত থাকেন। এছাড়া ডিপোতে কর্মীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মশালারও আয়োজন হয়ে থাকে।

ক্যান্টিনে খাবারের দাম কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেবে এবং ক্যান্টিনের মধ্যে কোনো কিছু রান্না করা যাবে না। ক্যাটারিং সার্ভিস দিতে হবে এমন শর্তে কোনো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ক্যান্টিনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী ছিল না বলে অনেকদিন হলো ক্যান্টিন চালু করা হয়নি।