চালকের দায়িত্বহীনতায় এম্বুলেন্সেই রোগীর মৃত্যু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা-২৪.কম পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

পটুয়াখালীতে চালকের দায়িত্বহীনতায় এম্বুলেন্সেই এক মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকে রেখেছে এমন কথা ছড়িয়ে পরলে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় দায়িত্বে থাকা এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উপর হামলা চালায়।

রবিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর হেতালিয়া বাধঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করে। ঘন্টাব্যাপী ওই বিক্ষোভ চলায় সড়কের প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে যানজটের তৈরি হয়।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থলে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এম্বুলেন্স চালক রাস্তায় হুইসেল বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। এম্বুলেন্সে কোনো রোগী না থাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জন মাখন লাল তাকে জবাবদিহির আওতান আনেন। এ সময় এম্বুলেন্সের বৈধ কাগজ পত্রে ত্রুটি থাকায় আইনিপদক্ষেপ গ্রহনের উদ্যোগ নেন।

বিজ্ঞাপন

পরে ওই এম্বুলেন্স চালক মুমূর্ষু রোগী আনতে যাওয়ার কথা বললে ড্রাইভিং লাইসেন্স রেখে তাকে ছাড়া হয়। শর্ত দেওয়া হয় রোগী নিয়ে ফেরার পথে লাইসেন্স ফেরত নিতে হবে।

কিছুক্ষণ পরে রোগী নিয়ে ফেরার পথে লাইসেন্স নেওয়ার উদ্দেশ্যে ড্রাইভার ট্রাফিক বক্সের সামনে দাঁড়ায় এবং ট্রাফিক পুলিশকে খুজতে থাকেন। এম্বুলেন্সে মুমূর্ষ রোগী থাকা সত্ত্বেও এভাবেই তিনি ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন। এ সময় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আসা বেবি বেগম (৫৫) নামের এক মুমূর্ষ রোগী ওই এম্বুলেন্সেই মারা যান।

মৃত বেবি বেগম পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুইয়া ইউনিয়ন এর কলাগাছিয়া গ্রামের শাহ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

পরে স্থানীয়রা জানতে চাইলে ড্রাইভার সকলকে বলেন, ট্রাফিক সার্জন তাকে দাড় করিয়ে রাখার জন্যই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্য মোঃ জাকির এর উপর হামলা করে। আহত ট্রাফিক সদস্যকে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।