সংলাপ-শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান প্রমাণিত: স্পিকার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংসদীয় কূটনীতি দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক স্তরে সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে জটিল সমস্যা সমাধান প্রমাণিত। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগাতে হবে।

রোববার (২৫ মার্চ) দুপুরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে ‘পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

‘সংসদীয় কূটনীতিকে এমন একটি বিশ্ব তৈরিতে সহায়ক হতে দিন, যা দারিদ্র্য, ক্ষুধা, যুদ্ধ এবং মানবিক যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে পারে। যাতে মানবতার কল্যাণে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা যায়।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং সংসদীয় কূটনীতি এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সংসদ গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু এবং জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আইপিইউ, সিপিএ, পিইউআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে জড়িত এবং সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে সংসদীয় কূটনীতি প্রচার করে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যরা এমন একটি বিশ্ব তৈরি করার অনন্য ক্ষমতা পান যেখানে প্রতিটি নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষা অর্জনের সমান সুযোগ থাকে এবং কেউ পিছিয়ে থাকে না। জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য সারাবিশ্বের সংসদ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য কাজ করে চলেছে যেখানে সবার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সমান হবে। প্রত্যেকের জন্য মানবিক মর্যাদার জীবন নিশ্চিত করতে সংসদগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এসময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, শফিকুল ইসলাম এমপি, মাহবুব উর রহমান এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, এইচ এম বদিউজ্জামান এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি, আখতারুজ্জামান এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।