ঈদকে টার্গেড করে ডিবি পরিচয়ে অপরহরণ চক্র

  • Sajid Sumon
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার কদমতলী থানার জনতাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি অপহরণ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, নিজেদের ডিবি পরিচয়ে দিয়ে চক্রটি ঈদকে টার্গেট করে অপহরণের মিশনে নেমেছিলো। মাওয়া থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়ে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় ফেলে পুরান ঢাকা হয়ে মুন্সিগঞ্জে ফেরার পথে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সেনাবাহিনীর সাবেক করপোরাল মো. মিজানুর রহমান (৪৪), মনির হোসেন (৪২), শান্ত মিয়া (২৬), মহসীন আহমেদ (৩৮)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, চাপাতি, দা, ডিবি পুলিশ, সাংবাদিক পরিচয়পত্র, দড়ি, গামছা, মোবাইল সেট, সুইচ গিয়ার, খেলনা পিস্তল এবং হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন
অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, চাপাতি, দা, ডিবি পুলিশ, সাংবাদিক পরিচয়পত্র ইত্যাদি

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ওয়ারিতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসাইন।

তিনি বলেন, ওয়ারির কদমতলী থানার জনতাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে একটি অপহরণ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণ চক্রটির মূলহোতা মিজানুর রহমান। তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক করপোরাল। চাকরিকালীন সময়ে র‌্যাবেও কর্মরত ছিলো। সে অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের এই সকল পরিচয় দেখিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ হাতিয়ে নিতো। তিন বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে স্বাভাবিক অবসরে যায়। এরপর থেকেই সে অপহরণ চক্র গড়ে তুলে। তার চক্রের সবাই মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা।

ডিসি ইকবাল আরও বলেন, এমন কি মিজানুর রহমান নিজেকে কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিতো। এ জন্য সে একটি পত্রিকার আইডি কার্ড ব্যবহার করত। এছাড়া টার্গেটকৃত কোনো ব্যক্তিকে তুলে নিতে ডিবি পরিচয় ব্যবহার করত। এরপর গাড়িতে তুলে খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখাতো। এমন কি গামছ দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নির্জন এলাকায় ফেলে যেতো। আমরা তাকে গ্রেফতারের পর মোবাইল ফোনে অপহরণের তথ্য প্রমাণ পেয়েছি। তবে ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করতে পারিনি।

ওয়ারি বিভাগের ডিসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি মিজান ও তার সহকারীরা মূলত ঈদকে টার্গেট করে অপহরণের মিশনে নেমেছে। আজ সকালে মাওয়া থেকে একজনকে অপহরণ করে। এরপর তার কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নরসিংদীর মাধবধী এলাকায় ফেলে কদমতলী এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করি। গ্রেফতার মনিরের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তারা এখন পর্যন্ত কতজনকে অপহরণ করেছে সেই বিষয়ে জানার জন্য তদন্ত চলছে।