নাম পেল জয়া-বাইডেনের ঘরে জন্ম নেয়া তিন বাঘশাবক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়া দম্পতির ঘরে জন্মের একমাস পর তিন শাবকের নাম রাখা হয়েছে রূপসী, প্রকৃতি ও স্রোতস্বিনী।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামানের উপস্থিতিতে বাঘ শাবকগুলোকে প্রথম জনসম্মুখে আনা হয়। এসময় তিনি এই তিনটি শাবকের নাম রাখেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনটি শাবক জন্ম দেয় বাঘিনী জয়া। এনিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭টিতে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, রূপসী, প্রকৃতি ও স্রোতস্বিনী আমরা এই তিন নামে বাঘ শাবকগুলোর নামকরণ করেছি। একমাস আগে শাবকগুলো জন্ম নিয়েছে। তিনটিই মেয়ে। এ নিয়ে আমাদের চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭টিতে। এর আগে এখান থেকে প্রাণী বিনিময়ের আওতায় আরও ‍দুটি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় পাঠিয়েছি। সেগুলোসহ মোট ১৯টি বাঘ ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।

বিজ্ঞাপন
প্রকৃতি, রূপসী ও স্রোতস্বিনী

বার্ডসপার্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের চিডিয়াখানায় যে বাঘগুলো রয়েছে তার মধ্যে সাদা বাঘগুলো বিরল প্রজাতির। এই চিড়িয়াখানায় বাঘ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখানের কর্তকর্তারা বেশ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। চিড়িয়াখানার পাশে উদ্ধার করা প্রায় ১০ একর খাস জমিতে একটি বার্ডসপার্ক করা হবে। ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে কিছু পাখিও অর্ডার করেছি।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনটি শাবক জন্ম দেয় বাঘিনী জয়া। এক সপ্তাহ পর আমরা তিনটি শাবকই মেয়ে বলে নির্ধারণ করেছি। শাবকগুলো মা জয়ার সঙ্গে থাকছে। মাও ভাল সাড়া দিচ্ছে। আজকে আমরা বাঘগুলোকে প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে এনেছি। আশা করছি সামনে ঈদে এই বাঘ তিনটি দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আর বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সালে। জন্মের পর মায়ের ভালোবাসা পায়নি এই বাঘটি। বাঘটি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় বেড়ে উঠে। এক বছর লালন পালন করার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাচায় অবস্থিত অন্যান্য বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসেবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মত সে নিজের পরিবার তৈরি করলো। মানুষের হাতে লালন পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রিকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা, যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বাঘ জো বাইডেনের।

প্রসঙ্গত, প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে বাঘটির নাম রাখা হয় ‘জো বাইডেন’।