ভোলায় হঠাৎ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চরফ্যাশন (ভোলা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় একদিকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্যুতি, অপরদিকে হঠাৎ ভুতুড়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক।

হঠাৎ করে উপজেলাজুড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস এবং চলতি বছরের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিচ্যুতি থাকায় তুলনামূলক বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হয়েছে। তবুও গত তিনমাস ধরে দ্বিগুণ-তিন গুণ থেকে সাত গুনেরও বেশি বিদ্যুৎ বিল এসেছে।

বিজ্ঞাপন

লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলে ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, মনগড়া বিল করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে বিদ্যুৎ অফিস। তারা যা ইচ্ছে তাই করছে, দিনের পর দিন চলছে বিদ্যুৎ অফিসের এই অরাজকতা। তাদের দেখার যেন কেউ নেই।

এদিকে প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিল বাড়ানোর অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। ভুতুড়ে বিলে প্রসঙ্গে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অন্তর্ভুক্ত চরফ্যাশন জোনাল অফিস ও দক্ষিণ আইচা সাব জোনাল অফিসে অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। উলটো অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বুঝাচ্ছেন। এবং তাদের কথা বুঝলে ভালো, না বুঝলে কিছুই করার নেই বলে ভুক্তভোগীদের বিদায় দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সঙ্গে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, মিটার স্থাপন করার পর থেকে আমার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিল হয়েছিল ১৫০/২০০ টাকা। এবার ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস মিলিয়ে বিল এসেছে ৫২৭৫ টাকা। আমার বাড়িতে নতুন কোনো কিছু ব্যবহার করছি না, সেখানে এমন ভুতুড়ে বিল কীভাবে হয়?

দক্ষিণ আইচায় কামরুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক বলেন আমার বাড়িতে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আসতো বিদ্যুৎ ব্যবহার একই অথচ হঠাৎ করে মার্চ মাসে আমার বিল এসেছে ২ হাজার ৬০০ টাকা এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। আর বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের মতের বাইরে কিছু বলাই যায় না।

দেলোয়ার হোসেন নামের আরও একজন গ্রাহক বলেন, আগে নিয়মিত বিল যেখানে ১০০থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল,সেখানে হঠাৎ করে মার্চ মাসের বিল ২ হাজার টাকা হয়ে গেছে। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।

আবার অনেক গ্রাহক বলেন যেখানে ২০০ বা ৩০০ টাকা ছিল, সেখানে ২হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাম বা প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, মিটার গ্রাহক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সেভাবেই বিল তৈরি হয়। অতিরিক্ত বিল নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মিটার এর রিডিং অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে।