ইসির ডাকে আগ্রহ নেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, ঢাকা
ইসির ডাকে আগ্রহ নেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

ইসির ডাকে আগ্রহ নেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালি-নিধনযজ্ঞের বিপরীতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেসময় মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে লাখ লাখ নারী পুরুষ। ২০২১ সালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান দিতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এক স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে স্মার্টকার্ডের চিপের নিচে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' শব্দ লেখার সিদ্ধান্ত হয়।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একাধিক সূত্রে জানা যায়, ইসির নেওয়া বিশেষ স্মার্টকার্ড কর্মসূচি হাতে নেওয়ার তিন বছরে উল্লেখযোগ্য সাড়া মেলেনি। এখন পর্যন্ত সারা দেশ থেকে সাত শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা বিশেষ স্মার্টকার্ড পেতে কমিশনে আবেদন করেছেন। যার মধ্যে প্রথম ধাপে পেয়েছেন ৮২ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ১১৮টি কার্ড।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ২০২১ সালে ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এই স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগ নিয়ে সেসময় ব্যাপক প্রচার করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া দেননি মুক্তিযোদ্ধারা। এদিকে, কোনো আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানালে সেই উদ্যোগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

ইসি ও মন্ত্রণালয়ের দু'পক্ষের আলোচনা শেষে এই কার্যক্রম আবার গতি ফিরে পায়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা আবেদন শুরু করেন। ইসি সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন এনআইডির মহাপরিচালক না থাকায় কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি হয়েছে। পাশাপাশি থানা, উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা শেষে সমন্বহীনতার কারণেও উদ্যোগের অগ্রগতি হয়নি।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' লেখা স্মার্টকার্ড দেওয়ার দিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে কেউ আবেদন করলে তার সনদ যাচাই বাছাইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় পাঠানো হতো। তবে কার্যক্রমকে দ্রুততর করার জন্য মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে ইসিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ইসি অতিরিক্ত সচিব ও এনআইডির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অশোক কুমার দেবনাথ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কার্যক্রম হাতে নেওয়ার তিন বছরে মধ্য দু'বছর বন্ধ ছিল। আমাদের কাছে সাত শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। আগের মতো আমরা এই কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবগত করেছি। সব মাধ্যমে আমাদের প্রচারণা চলছে। সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপে ৮২ জনকে এই বিশেষ স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৮টি কার্ড বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে। বাকি আবেদনগুলো যাচাই বাছাই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে।

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে। তবে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিন এর মাঝে কয়েক ঘণ্টা করে তা শিথিল করা হয়। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;