উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিএসিকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি)-কে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনে প্রত্যয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির কাছে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই . . . উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ব প্রতিযোগিতায় শিক্ষার টিকে থাকতে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট অর্জনের পাশাপাশি গুণগত শিক্ষা অর্জন করতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে বিশ্ব পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে।

তিনি শিক্ষার্থীদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ইসতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহি আলম ও অধ্যাপক ড. এসএম কবির ও সচিব অধ্যাপক এ কে এম মনিরুল ইসলাম।

এছাড়া তারা উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাউন্সিল গৃহীত নানা পদক্ষেপসহ তাদের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (বাংলাদেশ প্রত্যয়ন পরিষদ) একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি সংস্থা- যা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিক প্রোগ্রাম প্রদানকারী সত্তাদের স্বীকৃতি প্রদান এবং মান নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব পালন করে থাকে।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতারক চক্রের হাতে সরকারি ভাতাভোগীদের টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ভাতাভোগী

ভাতাভোগী

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সরকারি ভাতার টাকা হারাচ্ছেন অনেক সুবিধাভোগী। প্রতারক চক্র নানা কৌশলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় জিডি ও সমাজসেবা কার্যালয়ে মৌখিক অভিযোগও করছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ বলছে, অভিযোগের পর উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকজনের টাকা। তবে, এসবের জন্য ভাতাভোগীদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা।

শিবগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৩ হাজার ৩৫৩ জন বয়স্ক, ৫ হাজার ৭২৩ জন বিধবা ও ৬ হাজার ১৭৭ জন ব্যক্তির নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে। কার্ডধারী প্রত্যেক বিধবা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা, বয়স্ক ৬০০ টাকা ও প্রতিবন্ধী ৮৫০ টাকা ভাতা পান। সেই হিসাবে ৩ মাস পরপর এক বছরে চার কিস্তিতে তাঁদের টাকা দেওয়া হয়। এসব কার্ডধারীদের মোবাইল ফোনে নগদ হিসাব নম্বরে ভাতার টাকা পাঠানো হয়।

ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টাকা তোলার সময় মোবাইল ফোন হিসাব নম্বরের গোপন পিনকোড এজেন্টদের কাছে বলে দেন তারা। এজেন্টরা গোপন পিনকোড প্রতারক চক্রকে জানিয়ে দেয়। এভাবে প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেককে বিভিন্ন কৌশলে এসএমএস করে গোপন কোড জেনে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্র।

উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের দহপাড়া (আকন্দ পাড়া) গ্রামের রোকেয়া বেগম প্রতিবন্ধী ভাতা পান। তিনি বলেন, আমার মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তি সমাজসেবা অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে কল করে বলে আপনার নতুন ভাতা বই তৈরি হচ্ছে। আমরা বই নম্বরটা আপনাকে এসএমএস করে পাঠাচ্ছি। আপনি ওই নম্বর আমাদের বলেন। এই কথা বলেই আমার মোবাইল ফোনে ছয় সংখ্যার একটি মেসেজ (খুদে বার্তা) পাঠানো হয। সেই সংখ্যা বলার পর মোবাইল ফোন থেকে টাকা নাই হয়ে গেছে। পরে এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। কিন্তু আজও টাকা ফেরৎ পাইনি।

কিচক ইউনিয়নের চল্লিশছত্র ঘুঘারপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রেহেনা বেগম (৩৮) জানান, আমার নগদ একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়েছে। কিভাবে টাকা কাটলো কিছুই বুঝতে পারছিনা। আমার ধারণা সমাজসেবা অফিসের কিছু অসাদু কর্মকর্তা প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। তা না হলে, ভাতাভোগীদের তালিকা ও মোবাইল নম্বর হ্যাকাররা কোথা থেকে সংগ্রহ করলো!

একই ইউনিয়নের মাটিয়ান উত্তরপাড়া গ্রামের বয়স্ক ভাতাভোগী ইউসুফ আলী (৭০) বলেন, আমি মোবাইলের তেমন কিছুই বুঝি না। এজেন্টকে পিন নম্বর বলি, এজেন্টই টাকা তুলে আমার হাতে দেয়। এবার আমি ভাতার টাকা পাইনি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি আমার টাকা হ্যাক করে তুলে নেওয়া হয়েছে।

মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামের আসমা বেগম, চকপাড়া গ্রামের বাসু মিয়া, কাশিপুর গ্রামের জিল্লু মিয়া, কিচক ইউনিয়নের চল্লিশছত্র ঘুঘারপাড়া গ্রামের রেহেনা বেগম, মাটিয়ান পুকুর পাড়া গ্রামের মিজু আহমেদসহ উপজেলার অনেক ভাতাভোগীর টাকা এভাবেই প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে।

এ সম্পর্কে শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, আমরা মাঝে মাঝেই ভাতাভোগীদের টাকা হ্যাক হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৌশলে কয়েকজনের কিছু টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ শুধু শিবগঞ্জেই নয়, সারা দেশে একই অবস্থা। ভাতাভোগীরা অসেচতন হওয়ায় এমনটি বারবার হচ্ছে। তাছাড়া অনেক ভাতাভোগী মোবাইল ফোনের ব্যবহার জানেন না। আমরা বারবার তাদের সতর্ক করেছি কিন্তু কোন ফল হচ্ছে না।

;

কোটা আন্দোলনে এক নেতা নুরকে চার লাখ টাকা দেন: ডিবিপ্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে কোটা আন্দোলন চলাকালীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এক নেতা চার লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

এই ৪ লাখ টাকা কাকে, কীভাবে, কী জন্য খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নুর একটা কথা স্বীকার করেছেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। সে চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

কি জন্য সেই নেতা নুরকে দিয়েছেন সেসব বিষয়ে ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কোটা আন্দোলনে সমন্বয়কদের সঙ্গে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।

গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ২১ জুলাই তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে পার্থকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

;

কোটা আন্দোলন

তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেয়ার কারণ জানাল ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিন জনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সমন্বয়কদের হেফাজতে নেয়ার বিষয়ে মুখ খুলছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে নেয়ার কারণ জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার এই তিন জনকে আমরা গতকাল রাতে নিয়ে এসেছি। আপনারা জাানেন তারা বিভিন্ন জায়গা ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছিলেন। তাদের একজনের বাবাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বিভিন্ন জায়গা বলেছেন। আমরা মনে করি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে কেউ যদি কোথাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আমাদের দায়িত্ব তাদের সেইফলি সিকিউরিটি দেয়া। তাই আমরা তাদেরকে সেইফলি সিকিউরিটি দিচ্ছি।

পাশাপাশি আপনারা জানেন নুর এবং আরও কিছু নেতৃবৃন্দকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করেছি তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আমাদের কাছে বলেছেন সমন্বয়কদের সাথে তাদের কথা হয়েছে। তাই অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের কি কথা হয়েছে এগুলো জানার জন্য আমরা তাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবো। পাশাপাশি আমরা তাদের সেইফলি সিকিউরিটি দিবো।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) হাসপাতালে থাকা নাহিদের স্বজনেরা জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে প্রথমে নাহিদকে তুলে নিয়ে যান। পরে আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, এই তিনজনকে এর আগেও একবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। পরে ২১ জুলাই ভোরে পূর্বাচল এলাকায় তাকে ফেলে যাওয়া হয়। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। এর পর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকছিলেন বাকের। তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন করেছে তাকে আমরা সমর্থন করি। ছাত্ররা যা করেছে ঠিক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের কথা রেখেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজকে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলের মাধ্যমে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারতো, সেই মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা (বিএনপি-জামায়াত) হামলা করেছে। ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা যারা করে ইসলাম তাদেরকে কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশজুড়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

;