সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের ব্রিজের গার্ডার ধস, শ্রমিক আটকা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে ইকোনমিক জোনের নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের তিনটি গার্ডার ধসের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্মাণাধীন ব্রিজটির ৩টি গার্ডার ধসে পরে। এঘটনায় একজন শ্রমিক এখনো নিচে চাপা পড়ে আছে। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস।

আহত শ্রমিকরা হলেন, মো. হাফিজুল ইসলাম (২৪), জহুরুল ইসলাম (৬০) ও জুবায়ের (২২)।  

গার্ডার ধসের সময় ওই গার্ডারে ৩জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও আরেকজনকে  প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর জুবায়ের নামের একজন গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে আছে। জুবায়ের সিরাজগঞ্জ সদরের মিরপুর মহল্লার মাহমুদ আলীর ছেলে।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গার্ডারে কাজ করা অবস্থায় অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া শ্রমিক হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই গার্ডারের মাঝখানে ক্রস গার্ডারের কাজ করছিলাম। হঠাৎ গার্ডারগুলো  ভেঙে পড়ে। এসময় আমি দৌড়ে সরে গেলেও বাকি দুজন সরতে পারেনি। পরে পাশে কাজ করা আরও কয়েকজন এগিয়ে এসে জহুরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে জুবায়ের এমনভাবে চাপা পড়েছে যে তাকে আমরা খুঁজেও পাইনি। আমরা কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেছে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পরেই সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। ধসে যাওয়া গার্ডারের নিচে একজন চাপা পড়ে আছেন। ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধারে কাজ করছেন। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করছি।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, খবর পাওয়ার পরেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। আমরা জানতে পেরেছি এখানে তিনজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর মধ্যে একজনকে আগেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি জন ঠিক আছে।

তিনি আরও বলেন, এখনও একজন শ্রমিক ধসে যাওয়া গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তার শুধু হাত দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মারা গেছেন। তাকে উদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু নিচে বালু তাই বালু সরিয়ে তাকে উদ্ধারে কাজ চলছে।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;