ছাগল চোর বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিশু রোমানকে হত্যা করে আশিক

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার একজনের ছাগল চুরি করে স্থানীয় একটি হাটে বিক্রি করে দেয় আশিক। কিন্তু পরবর্তীতে এলাকায় চুরির ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় এক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে চুরির দায়ে অভিযুক্ত আশিককে দায়ী করে জরিমানা করা হয়। এরপর থেকেই প্রতিবেশী বাড়ির এক শিশু আশিককে দেখলেই ছাগল চোর, ছাগল চোর বলে ডাকতে থাকে। এতে চরমভাবে অপমানিত হত আশিক। সম্প্রতি আশিকের বাড়িতে আত্নীয় স্বজন বেড়াতে এলে সেখানেও রোমান মিয়া আশিককে ছাগল চোর বলে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোমানকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে আশিক। সেই মোতাবেক রোমানকে (৬) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তামাক ক্ষেতে লুকিয়ে রাখে আশিক। অবশেষে গ্রেফতার হয় আশিক।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটায় লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এভাবেই ঘটনার আদ্যপান্ত তুলে ধরেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করায় টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে আশিক।

বিজ্ঞাপন

আদালত কিশোর আশিককে যশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের খোলাহাটি সেতুবাজার এলাকা থেকে মরদেহ রোমানের উদ্ধার করা হয়। শিশু রোমান মিয়া ওই এলাকার আমিনুর হকের ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের একদিন আগে গত ২৯ মার্চ ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে ত্রিমোহনী বাজার থেকে নিখোঁজ হয় শিশু রোমান। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে মাইকিং করে পরিবারের সদস্যরা। পরদিন শনিবার বিকেলে সেতুবাজার এলাকার একটি তামাক ক্ষেতে কিছু লোক কাজ করতে গেলে সেখানে শরীরের অর্ধেক পুতে রাখা একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। এলাকার লোকজন নিশ্চিত করে মরদেহটি নিখোঁজ শিশু রোমানের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আদিতমারী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহমুদ-উন-নবী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আদালতের নির্দেশে আশিককে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে খুব দ্রুততার সহিত পাঠানোর কাজ শুরু করেছি ।