উপজেলা নির্বাচন: সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগ, কমবে খরচ
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Apr/03/1712133761874.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নতুন আচরণ বিধিমালায় ডিজিটাল মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রার্থীদের প্রচারের সুযোগ করে দেওয়ায় নির্বাচনি খরচ কমবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
নতুন বিধিমালা সংশোধন নিয়ে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন মানে ছেলেখেলা নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়, স্থানীয় সরকার পরিচালনার বিষয়। সেখানে অনেক সময় নিয়ম করেছিল যেন যে কেউ চাইলেই প্রার্থী হতে না পারে। এজন্য প্রার্থী সমর্থনে স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থি। এছাড়া যারা সমর্থন দেন তারা অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হন। এই ধরনের অভিযোগ আছে। তাই, আমরা সেটা তুলে দিয়েছি। সমর্থন দেখানোর জন্য প্রার্থীরা ছলচাতুরি মিথ্যার আশ্রয় নিতেন। প্রার্থী নিজেই ডানহাত, বাম হাত মিলিয়ে স্বাক্ষর করতেন, তাই এই ধরনের আইন কেন থাকবে, যা ন্যায়ের পক্ষে না। তাই তুলে দিয়েছি।
সংসদ নির্বাচনে স্বাক্ষর তুলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ক্ষমতা ছিল, তাই উপজেলা নির্বাচনে তা তুলে দিয়েছি। এখন সংসদ নির্বাচন থেকে তুলে দিতে হলে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ) সংশোধন করতে হবে। এজন্য পার্লামেন্টে যেতে হবে। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। আলোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত তো নিতে পারি। আলোচনাই তো হয়নি।
হঠাৎ করে উপজেলা নির্বাচনে বিধিমালা সংশোধন কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেনে-বুঝে-শুনে গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য যেটা সহায়ক সেটা, তো করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই নিয়ম নয়। যদি সেরকম হতো, তাহলে তো সংসদেও এই নিয়ম করতাম।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই তৃণমূলে রাজনৈতিক নির্বাচন হয়। আমাদের এখানে সেটা আগে ছিল না। পরে এখানেও করা হয়েছিল। হয়ত ভালো দিক চিন্তা করেই করেছিল। এখন হয়ত তারা মনে করছে, অপপ্রয়োগ বেশি হচ্ছে। জামানত অনেক আগের করা।