সাভারে তেলের লরিতে আগুন, সওজের দায় নিয়ে তদন্ত করবে পুলিশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্ত ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তেলের লড়ি উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টরা সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপাচ্ছে। এবার সওজের দায় নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খানকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে তদন্ত করে দেখা হবে এখানে কার দায় কতটুকু ছিল।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান। এ সময় সাভারের সাম্প্রতিক ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন উপস্থিত সংবাদ কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

দুর্ঘটনা স্থলে কোনো সাইন ও মার্কিং না থাকা প্রসঙ্গে সমন্বয়হীনতা আছে কিনা এবং তাদের কোনো গাফলতি দেখছেন কিনা জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের সাথে ভালো সমন্বয় আছে। আমরা যারা সরকারি কর্মচারী আমরা বিভিন্ন ডিপার্টেমেন্টে কাজ করি, আমরা একযোগেই কাজ করি। সড়ক নিরাপত্তা, মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করি। তবে দুর্ঘটনা যে কোনো মুহুর্তে হতেই পারে। তার অনেকগুলো কারণ থাকে। সেক্ষেত্রে আমরা বলবো, যিনি চালক, যার হাতে স্টিয়ারিং থাকে, রাস্তার একটা পরিস্থিতি থাকে, অনেক কিছু থাকে। সেগুলো মাথায় রেখেই আমাদের যান চলাচল করতে হবে। যে সড়কে নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকবে, নির্মাণ সামগ্রী থাকবে, সেগুলো মাথায় রেখেই কিন্তু আমাদের গাড়ি পরিচালনা করতে হবে। যেখানে নির্মাণকাজ চলে, তার জন্য কিন্তু একটা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকে। সেটা আমরা দপ্তর থেকে ব্যবস্থা নেই। সেই বিষয়গুলো আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। এগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমরা বলবো। ভবিষ্যতে যাতে এই জিনিসগুলো আরও উন্নত হয়।

সওজ কি দায় এড়াতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তদন্তের বিষয়। তদন্ত না করে যে কোনো এক পক্ষের ওপর হঠাৎ করে দায় দিতে পারি না। সামগ্রিক ভাবে আমি বিষয়টি যখন তদন্ত করে অনুসন্ধান করে দেখব, এখানে কার দায় কতটুকু ছিল। এজন্য মামলা হয়েছে। তদন্ত হবে। আমরা তদন্ত শেষ হলে বলতে পারব।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের জোড়পুল এলাকায় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর ৫ টার দিকে সড়কে রাখা বোল্ডারের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় একটি তেলবাহী লরি। পরে লরিটিতে আগুন ধরে গেলে আগুন ছড়িয়ে যায় আশেপাশের আরও ৩টি ট্রাক ও ১টি প্রাইভেটকারে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন আরও ৬ জন।