'ঈদ কাটিয়েছি সেমাই আর পানি খেয়ে'



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাগো আর ঈদ। আমাদের যে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। সবাই ঈদে ভালো মন্দ খায়, আমাদের আর ভালো মন্দ। আমাদের কপালে হয়তো ভালো মন্দ নেই। কপাল যে কি জিনিস, সে ভাগ্য নিয়ে আমরা জন্মাইনি। এমনই আক্ষেপ নিয়ে কথা গুলো বলছিলেন সাতক্ষীরার তালা আদর্শ গুচ্ছ গ্রামের হালিমা বেগম।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঈদের পরের দিনে তাদের সাথে মতবিনিময়কালে বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদকের সাথে এমন কষ্টের কথা তুলে ধরেন তারা।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কালকে গেল ঈদ, কাটিয়েছি সেমাই আর পানি খেয়ে। সকাল থেকে ঈদ উদযাপন করতে সবাই সবার বাড়িতে আসছে কিন্তু আমার আর কে আসবে। স্বামী, পুত্রকে হারিয়েছি এই ১০ বছর হচ্ছে। কি ভাবে যে গোটা ঈদ একা একা কাটিয়েছি সেটা আমি জানি। একার সংসারে কিভাবে যে তিলে তিলে লড়াই করছি বাস্তবতার সাথে সেটা নিরবে আমি বুঝি।

ঠিক হালিমা বেগমের বাড়ির পিছনে বিলের মধ্যে একটু দূরে রহিমা সুলতানার বাড়ি। ভাঙাচোরা কাঁচাঘরের সামনে দাড়িয়ে ছিল রহিমা সুলতানা। পরনে ছিল জীর্ণশীর্ণ  ছেড়া পুরাতন কাপড়। ঘরবাড়ি যেন ভেঙেচুড়ে পড়ছে। গ্রামের বাড়ি আদর্শ গুচ্ছ গ্রাম হলেও থাকেন বিলের মধ্যে ভাঙাচুরা বাড়িতে। ছেলে মেয়ে থাকলেও তারা তাদের ত্যাগ করেছেন। বুড়ো বয়সে এভাবে চলছে তাদের শেষ জীবনের সংগ্রাম।

ঈদ কেমন কাটলো এমন প্রশ্নের জবাবে রহিমা সুলতানা বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমাদের আর ঈদ। দেখতে তো পাচ্ছেন ঈদ কেমন গিয়েছে। আমাদের জীবনে ঈদ বলতে কিছু নেই। শেষ বয়সে নাতিপুতি নিয়ে একটু খেলা করব তা না ঈদে একা একা কাটাতে হচ্ছে। প্রায় ১০ বছর ধরে এই বিলের মধ্যে ঈদ পালন করছি। জীবনটা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের জীবনে ঈদ বলতে আর কিছু নেই। শুধু এবার ঈদে তা না, কোনো বছরই ভালো মন্দ কিছু খাইতে পারি না। কবে যে ভালো মন্দ খেয়েছি তা মনে করতে পারছি না। আমাদের জীবনে ভালো মন্দ খাওয়া হয়তো আর হবে না। শেষ জীবনে ভালো মন্দ খেয়ে যেতে পারবো কি না জানি না। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। যাদের পেটে ধরেছি তারাই বিলের মধ্যে ফেলে দিলো তাহলে আর ইচ্ছে পূরণ করবে কে। আপন মানুষ থেকেও আজ নাই। কাদের আপন বলবো যাদের পেটে ধরেছি তারাই আজ আমার না। রোজার পুরো একমাস মুড়ি খেয়ে সেহরি করে রোজা রাখছি আর ইফতার শুধু পানি খেয়ে। এভাবে আল্লাহকে ডাকাডাকি করেছি। এভাবে শেষ জীবনটা কাটিয়ে দিবো।

আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: নূর এ আলম/বার্তা২৪.কম

ছবি: নূর এ আলম/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। যা এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।

আজও শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।

;

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

ডিবি হেফাজতে তিন সমন্বয়ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

হাসপাতালে থাকা নাহিদের স্বজনেরা জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে প্রথমে নাহিদকে তুলে নিয়ে যান। পরে আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, এই তিনজনকে এর আগেও একবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। পরে ২১ জুলাই ভোরে পূর্বাচল এলাকায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয়। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। এর পর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থাকছিলেন বাকের।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;