নববর্ষকে ঘিরে তিনস্তরের নিরাপত্তা থাকবে: সিএমপি কমিশনার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় জানিয়েছেন, নববর্ষকে ঘিরে আমাদের তিনস্তরের নিরাপত্তা থাকবে। পর্যাপ্ত পোশাকের পুলিশ এবং সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। এরপরও যে কোনো ধরনের খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের বড় আয়োজন স্থলের নিরাপত্তা প্রস্তুতি পরিদর্শনে শিরিষতলা ঘুরে ডিসি হিলে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে যারা বিশ্বাস করে না, তাদের তৎপরতার প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার বলেন, নানা ধরনের কথাবার্তা আছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখি। তবে আমি এটা বলতে চাই, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট নেই। তবে যে কোনো ধরনের খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে। আমাদের তিনস্তরের নিরাপত্তা থাকবে। পর্যাপ্ত পোশাকের পুলিশ এবং সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। সংখ্যাটা আমরা বলতে চাই না।

নিরাপত্তার প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতে আমাদের যে গৃহীত ব্যবস্থা সেটা পর্যালোচনায় নিয়ে এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে। পোশাকি ব্যবস্থা তো আছেই, সাদা পোশাকের ব্যবস্থাও প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের স্পেশালাইজড ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং সোয়াতের সদস্যরা প্রস্তুত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

আয়োজকদের নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদারের তাগিদ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ যাতে আলাদাভাবে প্রবেশ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আয়োজকদের রাখার জন্য বলা হয়েছে। ছিনতাই এবং ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধ মোকাবিলায় আমাদের পোশাকি এবং সাদা পোশাকের ব্যবস্থা থাকবে। এর বাইরে আয়োজকদের নিজস্ব প্রস্তুতিও রাখার কথা বলা হয়েছে।

দর্শকদের অতিরিক্ত কিছু বহন না করার অনুরোধ করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সিএমপি কমিশনার বলেন, অনুরোধ করছি, আপনারা যখন আসবেন খালি হাতেই আসবেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যাগ-পোটলা নিয়ে আসবেন না। যারা মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন, বিশেষ করে যারা বিভিন্ন ধরনের মুখোশ ধারণ করবেন, তারা যেন পূর্ব থেকে আয়োজকদের পরিচিত থাকেন। তাহলে এটার সুযোগ নিয়ে কেউ কোনো অঘটন ঘটানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবে না।

তিনি আশা করে বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে এবং আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে আমরা যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছি, তাতে আশা করছি আগামীকালের দিনটি খুব ভালো যাবে। আমরা আশা করছি, আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং যারা দর্শক আসবেন, তাদের সহযোগিতার মধ্য দিয়ে নিরাপদ পরিবেশে উৎসবমুখরভাবে নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানগুলো সম্পন্ন হবে।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল সিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে নববর্ষ উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা সমন্বয় সভা হয়। এতে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের আয়োজন শেষ করার নির্দেশনা দেন সিএমপি কমিশনার।