সাদাপাথরে পর্যটকের ঢল, নৌকায় ভোগান্তি



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাদাপাথরে পর্যটকের ঢল, নৌকায় ভোগান্তি

সাদাপাথরে পর্যটকের ঢল, নৌকায় ভোগান্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসে স্বচ্ছ জল। সেই জলের সঙ্গে আসে পাথর। উজান থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলে গা ভিজিয়ে শীতল পরশের ছোয়া পেতে দল বেঁধে ছুটে আসেন পর্যটকরা। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে উঁকি দিচ্ছে সাদা সাদা পাথর। যেনো প্রকৃতি তার নিজ হাতে সাজিয়ে রেখেছে বিছানা। আর সেই বিছানায় গা ভাসিয়ে দিয়েছেন আগত পর্যটকরা। এমন দৃশ্য দেখা যায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর। তবে এবার পানি কম থাকায় চাইলেও সহজে যাতায়াত করতে পারছেন না পর্যটকরা।

বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর উজানে এই সাদাপথর রাজ্য অবস্থান। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখের ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটকদের ঢল নেমেছে সাদাপাথরে। তবে সাদাপাথরে ভ্রমণে এসে এবার পর্যটকদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে ধলাই নদীতে পানি কম থাকায় নৌকা ঠেলে যেতে হচ্ছে জিরো পয়েন্ট এলাকায়। এতে করে যেমন সময় ব্যয় হচ্ছে তেমনি অর্ধেক পথে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক পর্যটক।

স্থানীয় ও পর্যটকদের কাছ থেকে জানা যায়, ধলাই নদী দিয়ে নৌকায় করে ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট ‘সাদাপাথর’ পর্যটন কেন্দ্রে যেতে হয়। ভোলাগঞ্জ পর্যটন ঘাট থেকে ৮০০ টাকায় নৌকা ভাড়া করে যেতে হয় স্বচ্ছ জলের পরশ নিতে। পর্যটন ঘাট থেকে প্রায় ১ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব সাদাপাথর জিরো পয়েন্টের।
মধ্যখানে নৌপথে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে নদীর তলদেশে বালুতে নৌকা আটকে যায়। নৌকা আটকে গেলে মাঝি ও পর্যটক মিলে নদীর পানিতে নেমে নৌকা ঠেলতে হয়। এছাড়াও একাধিকবার ভেঙ্গে যায় নৌকার ইঞ্জিনের সাথে থাকা ফ্যান। সেই ফ্যান বদলাতেও অনেক সময় ব্যয় হয়। এতে সময় লাগে প্রায় দ্বিগুণ। নৌকা আটকে না গেলে ও ফ্যান না ভাঙলে অর্ধেক সময়ের ভেতরে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন পর্যটকরা। ফলে পর্যটকদের অতিরিক্ত সময় ব্যয়েরে পাশাপাশি পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।

আর, পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘবে নদীর তল দেশের বালু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে শিগগির সরানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাদাপাথর ঘুরতে আসা নারায়ণগঞ্জের সোমা আক্তার বলেন, এই পরিবেশ ও এই প্রতিবেশ নয়নাভিরাম এবং অপরূপ। এই শীতল পরিবেশ যেকোনো মানুষের মনকে ক্ষণিকে পরিবর্তন করে দিতে পারে, নিমিষেই দুর করে দিতে জীবনের সকল ক্লেশ ও জ্বালাতন।

কুলাউড়া থেকে আসা শামীম আহমেদ বলেন, সাদাপাথর ও ধলাই নদীর শীতল পরশ মনকে আরো শীতল করে দিয়েছে। সত্যিই এটা এক অসাধারণ পর্যটন স্পট। একবার এসে ফিরে যওয়ার পর বারবার মন চাইবে আবার চলে আসতে।

সিলেট নগরীর হাউজিং স্টেট এলাকার বাসিন্দা ডা.আফজাল আহমদ বলেন, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট। আর সাদাপাথর প্রকৃতির আরেক লীলাভূমি।কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে সাদাপথরে ঘুরতে এলে পর্যটকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। নদীর মধ্যখানে আটকে যায় নৌকা আবার কখন দেখা যায় ইঞ্জিনের ফ্যান নষ্ট হচ্ছে যাচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান থাকবে পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের।

সরেজিমনে শনিবার (১৩ এপ্রিল) কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলে যে যার মতো গা ভিজিয়ে শীতল পরশের ছোয়া নিচ্ছেন। নদীতে পানি কম থাকার কারণে আটকে যায় নৌকা। কখনো নৌকা থেকে নেমে মাঝি ও পর্যটক মিলে নৌকা ঠেলতে হচ্ছে। আবার অর্ধেক রাস্তায় নৌকা থেকে নেমে পর্যটকরা নেমে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন গৌন্তব্যস্থলে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় অনেকে নৌকায় না গিয়ে দল বেঁধে পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। সাদাপাথরে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

সিলেট রিজিওনের পুলিশ ইন্সপেক্টর আখতার হোসেন বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর রয়েছে। কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে আমাদের পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরাফেরা করতে কোনো অসুবিধা ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছ না বলেও জানান তিনি ।

এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিৎ কুমার চন্দ জানান, প্রতিবারের ন্যায় এবারো কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে বেড়াতে আসা পর্যটকের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। গত কয়েক দিনে প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে।

তিনি বলেন, নদীর তল দেশে বালুতে নৌকা আটকে যাওয়ার বিষয়টি সমাধানের জন্য শিগগির ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করা হবে।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;