খতনার সময় শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জাহিদ হাসান নির্জন (১১) নামে এক শিশুর সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন এক হাজাম (খতনাকারী)। পরিবারের অভিযোগ, কথিত ওই হাজাম শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন।

ঘটনার পর আহত শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) বেলা বারোটার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর-নওপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিশু ওই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জাহিদ হাসান নির্জন।

আহত নির্জনের চাচাতো বোন নাদিরা বেগম বলেন, আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। আমরা কথিত খতনাকারী বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিজ্ঞাপন

খতনা করার সময় প্রত্যক্ষদর্শী নির্জনের চাচাতো বোন জামাই মো. শাফায়েত হোসেন বলোন, 'খতনা করার সময় আমি নির্জনকে ধরে বসেছিলাম। প্রথমবার নির্জনের পুরুষাঙ্গের আগার চামড়া কাটার পর খতনা হয়নি বলে দ্বিতীয়বার তার লিঙ্গ কাটতে গিয়ে গোপনাঙ্গের অর্ধেকের বিশি অংশ কেটে ফেলে দেন হাজাম। পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার পরও হাজাম (খতনাকারী) আকবর আলীর কোন অনুসূচনা হয়নি। বরং তিনি উল্টো বলেন, আমি এটা ঠিক করতে পারবো।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুন চর-আলগী গ্রামের খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে লিঙ্গের নির্ধারিত অংশের থেকে বেশি কেটে ফেলেন তিনি। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। সেখানে তার লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন নির্জনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত আকবর আলীর মোবাইলে ফোন করলে রিসিভ করেন ছেলে হাতেম আলী বলেন, এবিষয়ে আমরা এখন কিছু বলতে চাইনা, রোগী বাড়িতে আসলে কথা বলবো।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।