উপজেলা নির্বাচন: ফুলগাজী ও পরশুরামে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন পদে ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে ফুলগাজী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একইভাবে পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্র জানায়, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন মজুমদার, জাফর উল্ল্যাহ মজুমদার।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মাহাবুবুল হক কালা, পরিমল চন্দ্র রায়, অনিল বনিক, আবদুর রহিম পাটোয়ারী, সাইফুদ্দিন মজুমদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরা আজিজ, সাজেদা আক্তার এবং মাহাফুজা আক্তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম, ইকরামুল করিম মজুমদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুর রসুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম রিটু। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার পাপিয়া, নিলুফা ইয়াসমিন মজুমদার।

রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, উভয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ হবে এবং ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

   

আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মহিলা লীগ নেত্রীর মোটরসাইকেল শোডাউন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিল্পী রানী রায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি শহরের বিভিন্ন সড়কে সর্মথকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেন।

তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেলাই মেশিন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি ২০০৮ এর এর সংশোধনী (২০১৩) অনুযায়ী বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।

তবে নির্বাচনী আচরণবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমর্থকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন তিনি। এসময় দেখা যায়, শোডাউনের সামনে মোটরসাইকেলে বসে আছে। সর্মথকরা তার পিছনে লাইন ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন। এসময়ে তারা উচ্চস্বরে মোটরসাইকেলের হর্ণ বাজায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

এবিষয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিল্পী রানী রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ভাবেই কোন প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন করার সুযোগ নেই। কেউ করে থাকলে সেটি অবশ্যই আচরণ বিধি লঙ্ঘন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিবেন৷

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

;

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির ক্যাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আবু সাঈদ বাদশা (৫২) ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন (৪৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু সাঈদ বাদশা শহরের নতুন কোর্টপাড়া (টালিপাড়া) এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন উপজেলার হরিপুর শালদাহ এলাকার আব্দুল হাই খানের ছেলে এবং কুষ্টিয়া পৌরসবার সাবেক প্যানেল মেয়র টিটু কমিশনারের ছোট ভাই।

আবু সাঈদ বাদশা পেশায় কনফেকশনারী দোকানদার ছিলেন এবং মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন সাংবাদিকতা করতেন। তিনি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য ও দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল ও দৈনিক স্বর্ণযুগের উপদেষ্টা ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে দু'জনেই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সাঈদ বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে একজন মারা যায় এবং একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করে। তিনিও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

;

সিলেটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কানাইঘাটে বোরো ধান কাটাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক বর্গাচাষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউনিয়নে শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত বর্গাচাষী দক্ষিণ কুয়রেরমাটি মৃত আব্দুস সালামের ছেলে বাবুল আহমদ (৪৮)। এছাড়াও বজ্রপাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত বাবুল আহমদের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) ও মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদিপ বিশ্বাস (২০)।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাবুল আহমদ স্থানীয় শফিক হাওরে বর্গা জমিতে বোরো ধান কাটতে যান। এ সময় তার সাথে ছিল ভাতিজা ফাহিম আহমদ ও প্রদীপ বিশ্বাস। হঠৎ করে প্রচণ্ড বজ্রপাত এসে তাদের উপর পড়লে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ধানকাটা জমি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত ফাহিম ও প্রদীপ বিশ্বাসকে সিলেট এমওজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহতের মরদেহ কানাইঘাট থানা পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দজল মুমিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য সাহাবউদ্দিন জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন বাবুল আহমদ। দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নি:স্ব হয়ে গেছে। এই অসহায় পরিবারের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য তারা আহ্বান করেন। 

;

জাপানের মতো ফুটপাতের পরিবেশ গড়তে চান চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানে দেখে আসা ফুটপাতের মতো চট্টগ্রামের ফুটপাতগুলোর পরিবেশ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে জাপান থেকে ফেরা মেয়র রেজাউল টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে নগরীতে চলমান ধারাবাহিক উচ্ছেদ অভিযান ও মনিটরিং কার্যক্রম সম্পর্কে এক পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান।

সভায় মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘জাপানে গিয়ে দেখলাম, পর্যাপ্ত ফুটপাত থাকায় মানুষ প্রাণখুলে হাঁটছেন, যা নাগরিকদের সুস্থতা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করছে৷ চট্টগ্রামেও আমি এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই। ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে। উদ্ধার করা ভূমি মনিটরিং করতে হবে। জনগণের ফুটপাত জনগণকে ফেরত দিতে হবে’।

মেয়র বলেন, যানজট কমানোর পাশাপাশি পথচারীদের জন্য নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতে ফুটপাত উদ্ধারে অভিযান চলমান রাখতে হবে। উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে বিভিন্ন চাপ আসছে। কোনো চাপে নত হওয়া যাবে না। তবে নগরীকে বসবাসযোগ্য রাখার স্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান চলমান রাখতে হবে।

সভায় আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন। সভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলামসহ বিভাগীয় প্রধান ও শাখা প্রধানরা অংশ নেন।

;