উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছে ডিএমপি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া শাখার পাঠানো বার্তায় এ কথা বলা হয়।

উদীচীর এমন কর্মকাণ্ড অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, 'বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান না শেষ করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বিবৃতিতে আরও বলেছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার বাঙ্গালির এই আয়োজনে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে দেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য 'বাংলা নববর্ষ ভাতার' ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে।

ডিএমপি বলছে, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য, তেমনি আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধীতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মত প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিকট থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। 

এদিকে বর্ষবরণের জন্য সরকারের বেধে দেয়া সময় মানেনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। বেধে দেয়া সময়ের পরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সংগঠনটি। পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী। তবে দ্রুত শেষ করার তাগাদা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর অনুষ্ঠান করায় প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের।

এর আগে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করা হবে। সময় সংকোচনের নির্দেশনার মধ্যেই রোববার ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’ শিরোনামে সন্ধ্যায় শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটার দিকে।

   

সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন মিল্টন: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই রাতের আধাঁরে মরদেহ দাফন করতেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। এমন কি তিনি নিজেই মৃত সনদে সিটি করপোরেশনের সিল মারতেন। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত এক সংবাদি সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছি। ইতোমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে রাতের আধাঁরে সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই মৃতদেহ দাফন করার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে আসার পর তার যে অপকর্মগুলো আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাতের আধাঁরে মিল্টন সমাদ্দার মরদেহ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন। সেই কাগজগুলো আমরা উদ্ধার করেছি। মরদেহ দাফন করার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সনদ সে নিতো না। সে নিজেই লিখে, সাইন করত। সিলসহ কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে থানায় আছেন। দ্রুতই সেগুলো নথিভুক্ত হবে।

মিল্টনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে আনার পরে তার স্ত্রীকেও ডাকবো। তবে কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা করেন তাহলে তার স্ত্রীকেও আমরা গ্রেফতার করবো।

;

‘আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, আমাদের পুলিশ সেটা অনুসরণ করতে পারে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন করে করুক। সেখানে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। তবে এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে। আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশদের অনুসরণ করতে পারে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদের পিটিয়ে মেরেছে। তবে এখন মনে হয়, আমাদের পুলিশ আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমনের ব্যবস্থাটা নিতে পারে’।

ফিলিস্তিনে যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ৯শ ছাত্র-ছাত্রী, প্রফেসর আটক হয়েছে আন্দোলন করার জন্য। এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ, সেটাও আমাদের শুনতে হয়! যেভাবে একজন প্রফেসরকে দাবড়ে ধরে মাটিতে ফেলে আটক করা হলো, হ্যান্ডকাফ পরানো হলো, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সেভাবে অত্যাচার করেছিল বিএনপির বাহিনী ও পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আবার আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়। এটাই সব থেকে দুর্ভাগ্যের!

বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি’ ঘুরে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাও আমার একটা প্রশ্ন, আমি সেটা করতে চাই। যারা অতি বাম, তারা নাকি অনেক প্রোগ্রেসিভ দল, গণমুখী দল! ঠিক আছে, আমাকে উৎপাত করবে! কিন্তু পরবর্তীতে কে আসবে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে! সেটাই তো আমার প্রশ্ন! কে আসবে ক্ষমতায়! কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়, এটা কিন্তু স্পষ্ট না।

স্পষ্ট নয়, বলেই তারা কিন্তু জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। তার বদৌলতে অনলাইনে আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে, নির্দেশ করে যাচ্ছে’।

‘আমরা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে যদি দেখেন, প্রত্যেকটা নির্বাচন যদি কেউ ভালো করে তুলনা করে, তাহলে দেখবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি আমরা’!

;

বগুড়ায় মারপিটে বৃদ্ধা খুন করার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটে ফিরোজা (৬০) নামের বৃদ্ধাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত ফিরোজা শিবগঞ্জ পৌর এলাকার আচঁলাই (দাড়ারপাড়) মহল্লার তাজুল ইসলামের স্ত্রী।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নামে মামলা করেছেন।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, তাজুল ইসলামের সাথে তার ভাই ভাতিজাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজুল ইসলামের স্ত্রী ছেলে ও আরেক ভাতিজা অটোরিকশা যোগে রাঙ্গামাটি গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চক ভোলাখাঁ এলাকায় অপর ভাই ও ভাতিজারা অটোরিকশা থামিয়ে তাদেরকে মারপিট করে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে ফিরোজা মারা যান।

শিবগঞ্জ থানার ওসি জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

;

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জারি কিরা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগারগাঁও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক।

তিনি বলেন, আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী ৬ তারিখের মধ্যে এই তাপমাত্রা কমে যাবে। ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম-সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চট্রগ্রামের কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আগামী ১ সপ্তাহে ১-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা ও আশেপাশের জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ঢাকার আবহাওয়া অনেকটা কমে যাবে। সারাদেশে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে। তাপমাত্রাও অনেক টা কমে আসবে।
তবে দেশের আরও দুইদিন পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু থেকে ভারী তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজশাহী ও খুলনায় অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ একে এম নাজমুল হক বলেন, খুলনা ও রাজশাহীতে হিট তাপমাত্রা থাকতে পারে। ঢাকাতেও হিট অ্যালার্ট থাকবে। তবে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ আশেপাশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে।

;