এনডিসি কোর্সের প্রতিনিধি দলের এফবিসিসিআই কার্যালয় পরিদর্শন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মতিঝিল কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) কোর্স ২০২৪-এর উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।

কোর্স কারিকুলামের অংশ হিসেবে এফবিসিসিআই পরিদর্শনে আসেন তারা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, নেপাল, চীন, কাতার, ওমান, কুয়েত, কেনিয়া, তানজানিয়া, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, জাম্বিয়া, সৌদি আরব, জর্দান, মালি প্রভৃতি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এফবিসিসিআই পরিদর্শনে আসেন।

সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এফবিসিসিআইয়ের হেড অব পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের তানজিদ বসুনিয়ার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধি দলের প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলাম। তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মো. আমিন হেলালী।

পরে এফবিসিসিআইয়ের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের চলমান কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

এ সময় তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নতুন যাত্রাপথে পদার্পণ করবে, সম্ভাবনার পাশাপাশি যেখানে থাকবে বহু চ্যালেঞ্জ। সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমাদের অর্থনীতিকে বহুমুখীকরণ, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করতে হবে। এ সব বিষয় বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়ে সরকারের অন্যতম অংশীজন হিসেবে বেসরকারিখাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এনডিসি কোর্স ২০২৪-এর চৌকস সদস্যবৃন্দ তাদের শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে।

এ সময় কোর্সে অংশ নেওয়া বিদেশি সদস্যদের নিজ নিজ দেশের জনগণ এবং সরকারের কাছে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।

এনডিসি প্রতিনিধিদলের প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম ও উদ্যোগের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।

এফবিসিসিআই কার্যালয় পরিদর্শন, সংগঠনটির কার্যক্রম, কর্মকৌশল এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা এনডিসি প্রশিক্ষণার্থীদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার এবং বেসরকারিখাতের মধ্যে এ ধরনের যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি।

এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ এবং এনডিসি কোর্সের সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠান শেষ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এম এম খায়রুল কবির।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী, হাজী হাফেজ মো. হারুন-অর-রশিদ, মো. ইসহাকুল হোসেন সুইট, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইয়ের সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহসহ অন্যান্যরা।

   

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পারমাণবিক শক্তির অ-প্রসারণ এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিশেষ করে জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, ওষুধ ও স্বাস্থ্যখাতে এর প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সদস্য হয়, যা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের প্রথম সদস্যপদের অন্যতম স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং পরমাণু সামগ্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ অবিচল।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী এবং বলেন, বাংলাদেশ তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখবে।

জাতীয় জ্বালানি দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার ভবিষ্যৎ শক্তির প্রধান সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন উৎস হিসেবে পারমাণবিক শক্তির কথা বিবেচনা করছে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশের অতুলনীয় সাফল্য উল্লেখ করে ড. হাছান পারমাণবিক কৃষি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং রেডিও থেরাপির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাদ্যের জন্য পরমাণু বা 'এটমস ফর ফুড' এবং কার্বন নিঃসরণকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বা 'এটমস ফর নেট জিরো' উদ্যোগের জন্য মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির প্রশংসা করেন এবং এমন মহৎ উদ্যোগে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

আইএইএ মহাপরিচালক পরমাণু বিজ্ঞান প্রয়োগকে কাজে লাগিয়ে মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে এজেন্সির টেকসই সহায়তাদান নিশ্চিত করেন এবং ‘অ্যাটম ফর ফুড’ উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিশেষ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

তিনি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততায় এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহায়তার অব্যাহত থাকবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প চালুর সময় আইএইএ  মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ভিয়েনায় দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ উইংয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

পানির সংকটে হাহাকার, গোসলও করতে পারছেনা শিশুরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি উত্তর বাড্ডা এলাকায় চরম পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে রান্না করতে পারছেন না গৃহিণীরা। সুপেয় পানির হাহাকার পড়েছে এলাকা জুড়ে। কয়েকদিন ধরে গোসল করতে পারছে শিশুরাও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রমজানের আগে থেকেই পানির সংকট ওই এলাকায়। দিনে একবার পানি আসলেও তা দুর্গন্ধ যুক্ত। ফলে খাওয়ার অনুপযোগী পানি খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে অনেকে। বার বার যোগাযোগ করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

সোমবার ( ২৯ এপ্রিল) সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার ও মিশরি পাড়া এলাকায় পানির জন্য হাহাকার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ইব্রাহিমপুর, মণিপুর, মাটিকাটা, নন্দীপাড়া ও সোলমাইদ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পানির সংকট রয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পানির অভাবে নাজুক অবস্থা শিশুদের। সারারাত অপেক্ষা করেও পানি না পেয়ে দোকান থেকে কিনে পানি খাচ্ছেন অনেকে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে কলস ও বোতলে করে পরিবারের জন্য পানি আনছে নারী ও শিশুরা।


পানি না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। সুপেয় পানির অভাবে রান্না হচ্ছে না বাসায়। এতে পানির অভাবে নাজুক অবস্থার পাশাপাশি শিশুদের খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা বৃদ্ধ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও।

স্থানীয়রা বলছেন শুধু বাড্ডা এলাকায় প্রায় দুই হাজার বাড়িতে এমন সংকট চলছে ৬ মাস ধরে। বিশেষ করে রমজান মাস থেকে পানির সংকট ভয়াবহ অবস্থায় চলে গেছে। এতে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

উত্তর বাড্ডা মিছরি পাড়া এলাকার আমেনা খাতুন বলেন, কাল সারারাত অপেক্ষা করেছি পানির জন্য। রান্না করতে না পেরে দোকান থেকে কলা রুটি কিনে বাচ্চাদের খাওয়াতে হয়েছে। এভাবে প্রায় ৬ মাস থেকে আমরা ভুগছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাঝে মাঝে পানি আসলেও তা দুর্গন্ধ থাকায় খাওয়ার অনুপযোগী। খেলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে সবাই।

একই এলাকার শাহাবুদ্দিন মাসুদ বলেন, পানির অভাবে আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। টানা ১ সপ্তাহ ধরে পানি নাই। রাতে পানি আসে কিন্তু খাওয়ার অনুপযোগী। শিশুরা খেতে না পেরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। কয়েক জন শিশু অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাও নিচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রত্যেকটিতে রয়েছে পানির সংকট। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য অঞ্চল ৮ এর মিছরি পাড়া, উত্তর সিটির ২১,২২,২৩ নং ওয়ার্ডসহ আশেপাশের এলাকা। এছাড়া অঞ্চল-২ এর নবাবগঞ্জ, ঢুরি আঙুলি লেন, জাফরাবাদ ও কাটাসুর, অঞ্চল-৪ এর বড়বাগ, মণিপুর, আগারগাঁও ও মিরপুর ১২। অঞ্চল-১০ এর ইব্রাহিমপুর, পূর্ব শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১১ এর মদিনা নগর, বাইগারটেক, মাটিকাটা এবং উত্তরা ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর সেক্টরে পানির সমস্যা রয়েছে। জোন-৫ এর গুলশান ১, গুলশান ২ এর ৮৩ নম্বর সড়ক এবং মালিবাগ বাজার রোড এলাকায় ও বাড্ডা এলাকা। অঞ্চল-৬ এর বনশ্রীর এফ ব্লক ও নন্দীপাড়া, অঞ্চল-৭ এর রসুলপুর, পাগলা, শাহী মহল্লা, নুরবাগ, আদর্শনগর, নামা শ্যামপুর, নিশ্চিন্তপুর, দেলপাড়া, শান্তিধারা ও দৌলতপুরেও রয়েছে পানির সমস্যা।

সমস্যা বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম কুমার মন্ডল বলেন , সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি। কেন সংকট। সমাধান ও সরবরাহ এসব বিষয় আমি দেখি না।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার মুখপাত্র এ এম মোস্তফা তারেক বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে কোনো সংকট নেই । জলবায়ুগত কারণে কিন্তু এলাকা ভিত্তিক কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা প্রায় ২০০টি পয়েন্টে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করছি ।

দীর্ঘদিনের সমস্যা এবং সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , দীর্ঘদিনের সমস্যা হলে তো অভিযোগ পেতাম। তাও যদি সংকট থাকে যে ১ টি এলাকার কথা বলছেন সেখান থেকে আসাদের হট লাইন নম্বরে অভিযোগ দিতে বলেন । আমরা আমাদের মোবাইল টিমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিব ।

;

হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জটিলতায় ৮০ শতাংশ হজযাত্রী ভিসার জন্য আবেদন করতে না পারায় ভিসা আবেদনের সময় আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো বাড়ানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে হজের ভিসার আবেদনের শেষ সময় গত ২৯ এপ্রিল থাকলেও সেটি বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। এতে চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি জানান, নানা জটিলতায় এখনো ৮০ শতাংশ হজযাত্রীই ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এজন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।

সময় বাড়ানোয় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচিব বলেন, হজ এজেন্সিগুলো এসময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।

আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। তার আগে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বছরের নভেম্বর মাসে ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী (বর্তমান মন্ত্রী) ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, এ বছরের ১ মার্চ থেকে পবিত্র হজ পালনের ভিসা ইস্যু শুরু হবে ও ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসা আবেদন করা যাবে। কিন্তু বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো সৌদিতে বাসা ভাড়া করতে না পারা, ২৮ হাজার হজযাত্রীর মুজদালিফায় যাওয়ার অনিশ্চয়তা, হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধিদের ভিসা না পাওয়া, মক্কা-মদিনার বাড়ি ভাড়ার টাকা আইবিএন অ্যাকাউন্টে না পাঠানোর জটিলতার কারণে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি হজ এজেন্সিগুলো। তাই ২৯ এপ্রিলের মধ্যে বেশিরভাগ হাজিদের ভিসার আবেদন করতে পারেনি এজেন্সিগুলো।

;

তীব্র তাপদাহে ক্ষতির মুখে মৎস্য খামারিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন মৎস্য খামারিরা। প্রচণ্ড এই গরমে ময়মনসিংহের ভালুকায় হ্যাচারিতে রেণুপোনা উৎপাদনে নেমেছে ধস। মরে যাচ্ছে পোনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহে ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য খামারি ও হ্যাচারি মালিকরা। পুকুরে পানি কমে যাওয়ায় গ্যাস জমে গেছে। তাপদাহের কারণে মাছগুলোকে খাবারও খাওয়ানো যাচ্ছে না। ফলে মাছ বড় হচ্ছে না।

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, ভালুকায় ৭৩২টি বাণিজ্যিক মৎস্য খামারসহ ছোট বড় প্রায় ১০ হাজার মৎস্য খামার রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার মেট্টিক টন মাছ উৎপাদন হয় এ উপজেলায়।

মৎস্য চাষি আপন সিকদার জানান, তীব্র গরমে খামারের পানি কমে গেছে। মাছগুলোকে খাবার খাওয়ানো যাচ্ছে না। ফলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।

আরেক মৎস্য চাষি মিজান মন্ডল বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে হ্যাচারিতে মাছের রেণু ফোটানো যাচ্ছে না। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা সরকার ও মৎস্য অফিসের সহযোগিতা চাই।

ভালুকা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পানিতে অক্সিজেন কমে যায়, এতে মাছ মরে যাচ্ছে। আমরা মৎস্য অফিস থেকে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে এ সংকট মোকাবিলা করা যায়।

;