প্রধানমন্ত্রী সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন: সাঈদ খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন, ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর দয়াগঞ্জের জাতীয় শিব মন্দির প্রাঙ্গণে এক ধর্মীয় সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাম নবমী উৎসব উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট।

সমাবেশে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, সব ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনার সরকার। আমরা সুখে-দুঃখে সব ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে চাই। যেখানে হিন্দু-মুসলিমসহ সবাই একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। সেই লক্ষে আমরা নেত্রীর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকা-৬ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, এই আসন থেকে নির্বাচিত হতে পেরে এবং জাতীয় সংসদে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত। এই আসন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া এই আসনে উপ-নির্বাচনে আমার প্রয়াত পিতা মেয়র মোহাম্মদ হানিফকে আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই একই আসন থেকে আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। তাই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই।

বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামীর সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আইয়ুব আলী খান, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এস কে বাদলসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

   

রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তিনি বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনকল্যাণ। সরকার ও রাজনীতিবিদদের সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়ে এ ধরণের কর্মসূচি পরিহারের অনুরোধ জানান।

মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গৃহীত সকল পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নেও সকলকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, জনস্বার্থে গৃহীত সরকারের সকল উদ্যোগকে সফল করতে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করুন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকের টেকসই অগ্রযাত্রায় সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোক্তাদের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালির স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

সরকারের কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া উচিত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে চিকিৎসা সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গায় প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বর্তমানে সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার ‘অনন্য মডেল’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কিন্ত ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের একটি প্রতিহিংসামূলক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তে বন্ধ করে দেয়া হয় প্রান্তিক মানুষের জন্য এই জননন্দিত স্বাস্থ্য সেবার উদ্যোগটি।

তিনি বলেন, আজ প্রান্তিক মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের ভরসার স্থলে পরিণত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের উপযোগিতা ও সুনাম গ্রাম-শহর ছেড়ে জাতীয় পর্যায়ে, এমনকি বিশ্ব-পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আশ্রয়ণ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত এই দশটি বিশেষ উদ্যোগ ইতোমধ্যে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।এটি সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের সরকারের উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ হাজার ১৭৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক জন অংশীদারিত্বের একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। এটি সরকার-জনগণ পার্টনারশিপের এক অনন্য উদহারণ। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান এবং করোনাকালে মহামারি প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ও গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক যে অবদান রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার, গ্যাভি পুরস্কার ও ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাংলাদেশ অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে আর আমাদের করেছে গর্বিত।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উদ্যোগ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বে এবং মানব কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ কে এম নুরুন্নবি কবীর এবং কমিউনিটি বেইসড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

সুন্দরবনের আন্ধারিয়া খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনের আন্ধারিয়া খাল থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে সুন্দরবনের জোংড়া ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন আন্ধারিয়া খালের মুখে বাঘটি ভাসতে দেখে সেটি উদ্ধার করে বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বাঘটি মারা যাওয়ার কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব জানান, আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে ভাসতে থাকা একটি মৃত পুরুষ বাঘ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৬/৭ দিন আগে মারা গেছে এ বাঘটি। বাঘের গায়ের চামড়া নষ্ট হয়ে লোম পড়ে গেছে। তবে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘটি প্রাপ্ত বয়স্ক। বাঘটি উদ্ধার করে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সেখানে বাঘটির মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করেছে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও বনবিভাগ।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, মৃত প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে বাঘের মৃত দেহের কলিজা, দাঁতের লালা, মাংস ও চামড়াসহ লোম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সংগ্রহীত নমুনা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ঢাকায় বনবিভাগের প্রধান কার্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। তারপরই জানা যাবে বাঘের মৃত্যৃর মূল কারণ।

তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের নমুনা সংগ্রহের পর বাঘের চামড়া ও মাংস মাটি চাপা দেয়া হবে। আর সংগ্রহীত হাঁড় দিয়ে পরবর্তীতে তৈরি করা হবে স্কেলিটন।

বনবিভাগের খুলনাঞ্চল'র বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবন থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক একটি মৃত পুরুষ বাঘ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

;

রোহিঙ্গাদের অতিসত্বর মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন আবশ্যক: মানবাধিকার চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা সংকট নিরসন দ্রুত নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো উচিত। সময়ের সাথে বহুমাত্রিক সংকট তীব্র হচ্ছে এবং মানবিক অবস্থার অবনতি ঘটেই চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাথে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস এর পরিচালক জন কুইনলি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাক্ষাতে আসলে তিনি এই কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সংকটের বহুমাত্রিক দিক উপস্থাপন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

আলাপকালে কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বর্বরোচিত আক্রমণ, সহিংসতা ও গণহত্যার শিকার হয়ে নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে। বৃহৎ পরিসরে হত্যা, যৌন নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ছে তারা। সহিংসতার ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব এখনো রয়েছে। তাদের অধিকার সুরক্ষা করে ফিরিয়ে দেয়াই আমাদের কাজ।

সাক্ষাৎকালে জন কুইনলি ‘My Tears Could Make a sea’-The Infliction of Mental Harm as Genocide Against Rohinga’ শীর্ষক একটি প্রকাশনা উপহার দেন এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রকাশনাটিতে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ রয়েছে। প্রকাশনাটি মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস এবং ইয়েল ল কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটিস ক্লিনিক যৌথভাবে প্রকাশ করেছে। বইটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুপারিশ রয়েছে এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বইটি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশনা ও গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বর্তমান কমিশন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে।

;

ফোনে ঘোষণা দিয়ে হত্যা: আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসি

আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসি

  • Font increase
  • Font Decrease

মুঠোফোনে কল করে ঘোষণা দিয়ে ঈদের দিন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শাহীন আহমদকে (২৫) হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বড়ভাই মো. শামীম আহমদ স্থানীয় থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার আসামিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতারে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও অনলাইন প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কোম্পানীগঞ্জের নিহত শাহীনের বড়ভাই ও ইছাকলস নিজগাও গ্রামের আলমাছ আলীর ছেলে মো. শামীম আহমদ ।

তবে, পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামীম আহমদ জানান, গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাত পৌনে আটটায় সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসীচক্র সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস নিজগাও গ্রামের পাকা সড়কের উপরে প্রকাশ্যে তার ছোট ভাই রাজধানী ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শাহীন আহমদকে (২৫) নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে মামলার মূল আসামিদের গ্রেফতারে অসহযোগিতা ও গড়িমসি করছে পুলিশ।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের মাসখানেক আগে থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। তাদের ক্রমাগত হুমকিতে ভয় পেয়ে তিনি নিরাপত্তার চেয়ে ঢাকার বংশাল ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় একাধিক জিডি করেন। ঈদুল ফিতরের জামাত থেকে খুনি সন্ত্রাসী চক্র তাদের উপর আক্রমণ করার জন্য আমাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে আসছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা ঘর থেকে বের হননি। সন্ধ্যায় তাদের এলাকার ইউপি সদস্য নেছার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করলে তারা নিজেদেরকে একটু নিরাপদ মনে করে ঘর থেকে বের হন। কিন্তু বের হয়েই সড়কে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চক্রের আক্রমণের শিকার হন তিনি, তার চাচা ও ছোটভাই শাহীন আহমদ। এই হামলায় তিনি ও তার চাচা আমির আলী বেঁচে গেলেও সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তার ছোট ভাই শাহীন।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১০জনকে আসামি করে মামলা দেন। মামলার ১নং আসামি মরম আলী ও ৮নং আসামি র‌্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু হুমকিদাতা এবং হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি শাহেদ ও আনোয়ারসহ সকল আসামিরা প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আসামিদের সঠিক অবস্থান পুলিশকে জানানোর পরও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ গড়িমসি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের কাছে তার ভাই হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহতের চাচা আমির আলী, ছোটবোন শামিমা আক্তার, ছোট বোনের স্বামী শাহিন মিয়া ও আত্মীয় রিপন আহমদ।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. মনজুর রহমান জানান, মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারেও পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয় ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

;