নীলফামারীতে এক পরিবার চারদিন ধরে অবরুদ্ধ, পুলিশ মোতায়েন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে জমিসংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে একটি পরিবার চারদিন ধরে অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। বাড়ি থেকে বের হলেই তাদের মেরে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে। ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবারের আট সদস্য প্রতিপক্ষের ভয়ে খেয়ে না-খেয়ে বাড়ির মধ্যে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন।

অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়ে পরিবারের এক সদস্য গোপনে পালিয়ে এসে পুলিশ নিয়ে গেলে পুলিশের সামনেই দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের হালকাপাড়ায় সরেজমিন দেখা যায়, মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে নুহ ইসলামের আধাপাকা বাড়ির গেট ভেতর থেকে বন্ধ। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পরিবারের লোকজনকে ডাকলে তারা জানলা খুলে প্রথমে বলেন, আপনারা সাংবাদিক আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন! বাড়ি থেকে বের হলেই আরমান গংরা আমাদের পিটিয়ে মারবে।

এ ধরনের কথা হওয়ার সময় নুহ ইসলামের ভাগিনা বাড়ি থেকে সাংবাদিকদের কাছে আসতে চাইলে আরমান পক্ষের পাঁচ থেকে সাতজন ব্যক্তি লাঠিসোটা হাতে নিয়ে ‘ধর ধর’ বলে চিৎকার দিয়ে ধাওয়া করেন।

নুহ ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো নিরাপত্তা পাচ্ছি না। পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

প্রতিপক্ষ প্রধান আরমান গ্রুপের সঙ্গে কথা বললে তাদের ১০ থেকে ১২ জন নারী-পুরুষ সমস্বরে বলেন, বুধবার পুলিশের সামনে আমাদের লোকজনকে নুহ-রা পিটিয়েছে। আমরা তাদের শাস্তি দেওয়ার পর শান্ত হবো।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ সেখানে অবস্থান করবে।

   

তবুও পাল্টায় না তাদের ভাগ্য! শ্রমে-ঘামেই জীবন পার

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আসিনুজ্জামান দুলাল

ছবি: আসিনুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথায় মাছের ভারি বোঝা। রোদে পুড়ে চেহেরায় কালছে রঙ ধরেছে। ঘামও ঝরছে ঝর ঝরিয়ে। কিন্তু সেদিকে তাকানোর সময় কোথায় মোহাম্মদ ফরহাদের। যতটা মাছের বস্তা বহন করবে ততই যে বাড়বে মজুরির অংক। আর মজুরি পেলেই তো খাবার জোটবে মা আর দুই ভাইয়ের মুখে!

বয়স কত তোমার- বলতেই একটু থামল ফরহাদ। মুখে একরাশ দুঃখ। মানুষ পেয়ে সেই দুঃখের জানালা যেন খুলে দিল ১৬ বছরের কিশোর। বলতে শুরু করে, ‘ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়লেও অভাবের কারণে আর পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে পারলাম না। কারণ আমার বাবা নেই। ঘরে দুই ভাই আর মা। আমি কাজ না করলে তাদের খাওয়াবে কে? ভোলা থেকে চট্টগ্রাম এসে মুদির দোকানের কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেখানে বেতন কম। বাধ্য হয়ে তাই কষ্ট হলেও দুই মাস ধরে তীব্র গরমে ভারি মাছের বস্তা বোঝাই করার কাজ করতে হচ্ছে।’

নিজের চেহেরার দিকে তাকাতে বলে একটু হাসল ফরহাদ। বলল, ‘এখানে কাজ করতে আসার আগে আরও ফর্সা ছিলাম। এখন রোদে পুড়ে কালো হয়ে গেছি।’

শুধু এই কিশোর নয়, চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে গেলে এমন অনেক ফরহাদদের দেখা মিলবে। কারও বয়স ১৫, কারও বা ২০-২৫। বড়দের সঙ্গে প্রতিদিন প্রতিযোগিতা করে মাছ বোঝাই করার কাজ করে এই কিশোর-তরুণেরা। তাদের সঙ্গে আছেন নারীরাও। বুধবার বিকেলে দেখা এই চিত্র প্রতিদিনের।

নদীর তীরে মাছ ভর্তি সাম্পান ভিড়তেই দৌঁড় শুরু হয়ে যায় এই শ্রমিকদের। এই দৌঁড় আহার জোগানোর প্রতিযোগিতার। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় রয়েছেন নারী-কিশোরেরা। যাদের মাথায় চড়ে সাগর থেকে আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যাচ্ছে হিমাগারে। শীতল বরফে জড়ানো ভারি মাছ বোঝাই করেই তাদের জীবন চলে বারোমাস।

কর্ণফুলীর এই ঘাট দিয়ে সাগর থেকে আসা ইলিশ, কোরাল, সুরমা ও পোয়াসহ হরেক প্রকারের মাছ যায় পাশের হিমাগারে। সেই হিমাগার থেকে এসব মাছ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে, এমনকি দেশের বাইরেও। আর এসব মাছ নামাতে কাজ করেন শত শত শ্রমিক। এ শ্রমিকদের দেখভাল করেন মাঝি। আর প্রত্যেক মাঝির নেতৃত্বে ১০, ২০ বা ৫০ জন করে শ্রমিক কাজ করেন। এক সাম্পানের মাছ হিমাগারে পৌঁছে দিতে কাজ করেন দশজন শ্রমিক। এর বিনিময়ে প্রতিজন ১০০ টাকা করে মজুরি পান। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে এই কাজ, শেষ হয় সন্ধ্যায়। সপ্তাহ বা মাসে কোনো ছুটি নেই তাদের, যে শ্রম দেবে তারই মিলে মজুরি। মাঝি থেকে সেই মজুরি নিতেও রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় তাদের!

সরেজমিনে দেখা যায়, একজন শ্রমিককে মাথার ওপর মাছের বস্তা তুলে দিয়ে সহযোগিতা করছেন আরও দুজন। মাত্র কয়েক মিনিটেই সেই বস্তা মাথায় বয়ে দৌঁড়ে রেখে আসছেন হিমাগারে। এরমধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলে বা কাজে ধীরগতি হলে মাঝির বকা ও চিল্লানি তো রয়েছেই।

ঘাটের এই শ্রমিকদের মধ্যে ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষ থাকাটা স্বাভাবিক। অভাবের পিড়াপিড়িতে একাজে যোগ দিয়েছেন অনেক নারীও। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে ভারি ওজনের এই মাছের বস্তা মাথায় বইছে ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোররাও।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর এগারো মাইল এলাকার বাসিন্দা মো. আবছার। বাবা ছিলেন বড় ব্যবসায়ী। তবে নিয়তি আবছারকে বানিয়ে দিয়েছে শ্রমিক। বয়সের ভারে কাজ করতে কষ্ট হয়, কিন্তু পেটতো আর সেটি বুঝবে না। সেজন্য এখনো তাকে কাজ করে যেতে হয় প্রতিদিন।

সেই দুঃখের কথা তুলে ধরে আবছার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুৎসহ জিনিসের যে দাম, বর্তমানে আমাদের বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের। আমার হাঁটুতে ব্যথা, তবুও কাজ করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নেই, বেঁচে থাকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। এটি করে পোষায় না- কেন না যতক্ষণ কাজ করি ততক্ষণ টাকা পাই। কাজ না করলে তো পেটে ভাত জোটবে না। সরকার যেন আমাদের প্রতি দৃষ্টি দেয়।’

পুরুষের পাশাপাশি এই ঘাটে প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছেন রংপুরের মুন্নি বেগম (৩০)। জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের কোনো ছুটি নেই। প্রতিদিনই সকাল ৮টা হলেই ঘাটে চলে আসতে হয়। কবে নৌকা বা সাম্পান নিয়ে আসবে সেটার অপেক্ষায় থাকি। মাথায় বোঝা বহন করা অনেক কষ্ট। সারাদিন কাজ করে বাসায় গেলে শরীর ব্যথা করে। আমাদের আয়ের ঠিক নেই। কখনো ৩০০, আবার কখনো ৫০০ টাকার মতো আয় করি দিনে।’ 

১৮ বছর ধরে এই ঘাটে কাজ করছেন বরিশালের ইদ্রিস মাঝি। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা যে কষ্টটা করে তার ন্যায্য মজুরিটা পায় না। আমরা চাই শ্রমিকরা যথাসময়ে তাদের টাকা পাক।’

ঘাটের নিরাপত্তাকর্মী সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি গত ৫ মাস ধরে কাজ করছি। এখানে বড়দের সঙ্গে দেখি ছোট ছোট শিশুরাও ভারি বোঝা মাথায় নিয়ে কাজ করে। এটা আসলে এক ধরনের অমানবিক কাজ। তাদের জীবনটা এমন। কোন দিন তারা ২০০-৩০০ টাকা পায়। আবার কোনো দিন একদমই পায় না, ঘাটে আসা যাওয়াটায় লস। জাহাজ থাকলে কাজ হলে তারা ৫০০ টাকার মতো পায়।’

এক সময়ের শ্রমিক জাহেদ এখন হয়েছেন মাঝি। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের সাম্পান প্রতি ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আমি ওদের পরিচালনা করে একজন শ্রমিকের সমান টাকা পাই। এসব কাজের কোনো সময় নেই। সাম্পান মাছ নিয়ে আসলেই কাজ। না আসলে বসে থাকতে হয়। দেখা যাচ্ছে কোনো সময় সকালে অনেক সাম্পান মাছ নিয়ে আসে। আবার কখনো বিকেলে আসে।’ 

মাছের বস্তা মাথায় নিয়ে প্রতিদিনের শুরু তাদের। এভাবে করে একসময় বিকেল হয়ে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। সারাদিনের ক্লান্ত ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে ঘরে ফিরতেই পাল্টে যায় ক্যালেন্ডারে তারিখ। তবুও পাল্টায় না তাদের ভাগ্য! শ্রমে ঘামেই জীবন পার…. 

;

সব অভিযোগের বিষয়ে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

বুধবার (১ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে ডিবির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মারধরের অভিযোগ রয়েছে। 

এছাড়াও মৃত্যুর সনদ জালিয়াতি, বেআইনিভাবে মরদেহ দাফনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে তাকে জিঙ্গাসাবাদ করা হবে।

এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

 

;

মিল্টনের সংস্থার অপারেশন থিয়েটারের লাইসেন্স ছিলো না: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম মুল্টন সম্ম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি আলোচিত সমাজকর্মী ও 'চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার' নামের সামাজিক সংগঠনের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর অপারেশন করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি বলছে, মিল্টন সমাদ্দারের সংস্থার অপারেশন থিয়েটারের লাইসেন্স ছিলো না। সেখানে অবৈধভাবে অপারেশন করা হতো।

বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

ডিবি প্রধান বলেন, বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন সমাদ্দারের উত্থান নিজ পিতাকে পিটিয়ে। এই অপরাধে এলাকাবাসী তাকে বাড়ি ছাড়া করেন। এরপর ঢাকার শাহবাগে এসে একটি ফার্সেমিতে কাজ শুরু করেন তিনি। ঔষুধ বিক্রির টাকা চুরি করায় সেখানেও বেশিদিন টিকতে পারেননি মিল্টন। এরপর মিতু হালদার নামের এক নার্সকে বিয়ে করেন তিনি।

বিয়ের পর ওল্ড এন্ড চাইল্ড নামের একটি কেয়ার সেন্টার স্থাপনের স্বপ্ন দেখেন তারা। পরবর্তীতে মিরপুর এলাকায় চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার নামের একটি কেয়ার সেন্টার স্থাপন করেন। তিনি খুঁজে গরীব বৃদ্ধ এবং বাচ্চা শিশুদের সেখানে নিয়ে আসতেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় সে জানিয়েছে, তার কেয়ার সেন্টারে অপারেশন থিয়েটার আছে এবং সেখানে সে মানুষের সেবা প্রদান করেন। অপারেশন থিয়েটার থাকলে তো লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সেই অপারেশন থিয়েটারের লাইসেন্স ছিল না।

তিনি বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে আমরা অজস্র অভিযোগ পেয়েছি। সে বলেছে তার দুইটা আশ্রম রয়েছে। সাভারের আশ্রমে ৫ থেকে ৭ শত লোক রয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি লোক নেই। আমরা তাকে নিয়ে এসেছি। কিছু অভিযোগকারী রয়েছে তারাও মামলার রুজু করবে। আমরা মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। কত সংখ্যক মানুষ তার কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। কত সংখ্যক মানুষ মারা গেল। তার আশ্রমে যে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে এর মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করেছেন কিনা সেটাও তদন্ত করা হবে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার নিজেই কেন ডেথ সার্টিফিকেট নিজের স্বাক্ষরে তৈরি করেছেন এবং সেখানে ডাক্তারের কোন সিগনেচার কেনো নেন নাই সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। আমরা সবকিছু তদন্ত করে পরবর্তীতে আপনাদেরকে জানাবো। আমরা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো তদন্ত করে তাকে রিমান্ডে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো জানাবো।

এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

;

সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে

সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ-ব্যাপারে এগিয়ে আসছে। এতে স্বস্থ্য সেবার গুণমান আরও বৃদ্ধি পাবে।

বুধবার (১ মে) রাজধানীর এক অভিযাত হোটেলে ‘বাংলাদেশ লাইভ ২০২৪ আইপিডিআই কার্ডিয়াক ভাস্কুলার কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল বিজ্ঞান-বিশ্বে একধাপ এগিয়ে’। এসময় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মরহুম আবু জাফর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মরহুম মো. আমানউল্লাহ এবং সিঙ্গাপুর হার্ট ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ট্যান হুয়েই চিমকে কার্ডিওলজিতে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই কনফারেন্সের আয়োজন বাংলাদেশে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আশা করছি, স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটালাইজেশন দেশে হৃদরোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।

আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান এবং অধ্যাপক একেএম মহিউদ্দিন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লা আল শফি মজুমদার, অধ্যাপক আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পরিচালক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান।

স্বাগত বক্তব্যে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মহসীন আহমদ জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শহরের অধিবাসী পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আইপিডিআই তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। হৃদরোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আয়োজনটি করা হয়েছে। যাতে নতুনরা বিজ্ঞদের কাছ থেকে হৃদরোগ বিষয়ে সময়োপযোগী ধারণা নিতে পারেন এবং তার ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে জনগনের কল্যানে কাজ করতে পারেন। অনুষ্ঠানে সেসব বিশেষ দিক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক আলোচনা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইপিডিআয়ের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছে। এছাড়াও তরুণ চিকিৎসকদের পেশাগত উন্নয়নে নিয়মিতভাবে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে। আজকের এ আয়েজনও সেইসব কাজের একটি অংশ। আমাদের উদ্দেশ্যে হৃদরোগে সাধারণ মানুষের উন্নত সেবা দানে জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

হেলোর সভপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান বলেন, যে উদ্দেশ্যে সবাই একত্রিত হয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনা ও অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ থেকে বুঝা যাচ্ছে, আয়োজনটি সফল হয়েছে। তবে এটি বাস্তব সফল হবে দেশের সাধারণ মানুষের উপকার লাভের মাধ্যমে। হেলো ও আইপিডিআই জনকল্যাণমূলক এ কাজ সামনের দিনে আরও গুরুত্বসহ অব্যহত রাখবে।

;