‘কত এমপি আইলো গেল কেউ আমাগো কষ্ট বুঝলো না’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কত এমপি আইলো গেল কেউ আর আমাগো কষ্ট বুঝলো না। কেউ আর কথাও রাখলো না। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এমপি হইলো কিন্তু আমরা সেতু পাইলাম না। তারপর শওকত মোমেন শাহজাহান এমপি হইলো, তার ছেলে অনুপম শাহজাহান জয় হইলো সেও কথা রাখে নাই। আবার জোয়াহের এমপি হইছিল কথা দিয়েছিল সেও কথা রাখলো না, এখন আবার জয় এমপি হয়েছে। এখন কি আমরা সেতু পামু। ভোট নেওয়ার সময় সবাই অনেক কথা দেয় কিন্তু কোনো কাম করে না। আমাদের জন্মের পর থেকেই এই নদী দেখতাছি। কোনো সেতু হই নাই। এমন ক্ষোপ প্রকাশ করেই কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাঙ্গালীছেও গ্রামের কুলসুম বেগম (৫৩)।

নদীর এপার বাসাইল ওপারে সখীপুর। দুই পাড়ের মানুষগুলোর মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। একই সংসদীয় আসন, শিক্ষা-দীক্ষা, বাজার-ঘাট, কেনাকাটাসহ সবই হয় এক সাথে। তবুও সারাটা জীবন তারা দুই পাড়ের বাসিন্দা। টাঙ্গাইলের বাসাইল ও সখীপুর উপজেলাকে বিভক্তকারী বংশাই নদী। এ নদীর উপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ দুই উপজেলার প্রায় দুই লাখ জনসাধারণ। একটি মাত্র সেতুর অভাবে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসেনি এখনো।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার বুকে বয়ে গেছে বংশাই নদী। বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সুন্না বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এ নদীর উপর কোনো সেতু না থাকায় যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির মধ্যে জীবন-যাপন করছেন দু’পাড়ের মানুষ। উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত সুন্না বাজার ঘেষে বংশাই নদীর উপর সখীপুর-বাসাইল সংযোগ সেতু নির্মাণ হলে দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন ওই দুই উপজেলার মানুষ।

শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে একটি নৌকাই পারাপারের একমাত্র ভরসা এলাকাবাসীর। একটি হাট, একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি কিল্ডার গার্ডেন স্কুল থাকায় প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয় দুই উপজেলার বাসিন্দাদের। তাদের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম বংশাই নদীর উপর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা। অনেক সময় এই নদী পারাপারের জন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণসহ শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে ভারী কোন মালামাল, ভ্যান গাড়ি, মোটরসাইকেল পারাপার করতে না পারায় বিপাকে পড়তে হয় দু’পাড়ের মানুষদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুন্না বাজার ঘেঁষে বংশাই নদীর উপর সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষজন। প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ বাসাইল- সখীপুরের হাজার হাজার জনসাধারণ ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে রোগী বহনের কোনো যানবাহন পারাপারেরও ব্যবস্থা নেই। সখীপুর উপজেলার কাঙ্গালীছেও, দাঁড়িয়াপুর, যাদবপুর, বেড়বাড়ী, প্রতিমা বংকী, শোলাপ্রতিমা, বোয়ালী, দেওবাড়ী, লাঙ্গুলিয়া, চাকলাপাড়ার গ্রামবাসীসহ উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়াও বাসাইল উপজেলার সুন্না, গিলাবাড়ী, কল্যানপুর, কলিয়া, কাউলজানীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ ওই সড়ক দিয়ে পার্শ্ববতী সখীপুর উপজেলায় যাতায়াত করেন।

শিক্ষার্থী শিহাব শিকদার বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। শুকনো মৌসুমে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ভয়ে ভয়ে পার হতে হই। একটি ব্রিজ হলে আর কোনো ভয় থাকবে না, সময়ও কম লাগবে। সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সরকারের কাছে দাবি এখানে একটা ব্রিজ চাই।

মাজেদুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ডুবে যায়। তখন নৌকা দিয়ে আমাদের পারাপার হতে হয়। প্রতিদিন মোটরসাইকেল এ-পাড়ে রেখে ও-পাড়ে যাই। এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে জানি না। সরকার দেশের কত উন্নয়ন করতেছে। যদি আমাদের দিকে একটু নজর দিত তাহলে আর দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

প্রতিদিন সুন্না বাজারে ঝাল মুড়ি বিক্রি করেন কাঙ্গালীছেও গ্রামের আরফান মিয়া। তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন সুন্না বাজারে এসে ঝাল মুড়ি বিক্রি করি। ঝুঁকি নিয়ে শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা করে বাজারে আসি। আমরা খুব কষ্টে আছি। কত এমপি ও চেয়ারম্যান আইলো গেল কেউ আমাদের কষ্ট বুঝলো না। সরকারের কাছে দাবি আমাদের একটি ব্রিজ করে দেয়া হোক।

কাদের মিয়া বলেন, আমাদের কষ্টের শেষ নেই। দুই উপজেলার প্রায় ১৫-২০টি গ্রামের মানুষ এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু বংশাই নদীর উপর কোনো সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো আর নৌকা একমাত্র ভরসা। শিক্ষার্থীরা ঠিকমত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক জনপ্রতিনিধি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু কেউ কোন কথা রাখেনি। আমরা চাই আমাদের সুবিধার্থে সরকার অতিদ্রুত এই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করে দিবে। এটা হলে আমাদের জীবন-যাত্রার মান অনেক বেড়ে যাবে।

কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন সুন্না বাজারে সবজি বিক্রি করি। যদি ব্রিজ হয় আমরা কৃষিপণ্য দিয়ে যথা সময় মতো বাজারে যেতে পারবো সময়ও কম লাগবে।

বাসাইল উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো জায়গা থেকে অনুমোদন পাব বা পাচ্ছি এ-রকম কোনো অবস্থা নেই। ওই জায়গায় একটি ব্রিজ তৈরি হলে বাসাইল ও সখীপুর দুই উপজেলার মধ্যে সুন্দর যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান এমপি যখন এর আগে এমপি ছিলেন তখন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই। আমাদের বর্তমান এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান উদ্বিগ আছেন। তাদের সহযোগিতা নিয়ে যাতে এই ব্রিজটা আমরা করতে পারি বা একটি পরিকল্পনা দাখিল করতে পারি এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা আছে। আমি উদ্যোগ নেব।

বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম শুনিয়েছেন আশার কথা। তিনি দাবি করেছেন, ‘বর্তমান এমপি অনুপম শাহজাহান জয় একটি ব্রিজ অনুমোদন করিয়েছেন। আমরা আশাবাদী সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করে এক-দেড় বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু হবে। এমপি তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;