নড়াইলে সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের ১৩ ঘণ্টা পর ফের সংশোধিত প্রকাশ করা হয়েছে। এ সময় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল একাধিকবার আসাসহ বিভিন্নভাবে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে নড়াইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে জেলা সিভিল সার্জন ও নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. সাজেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এ সময়ে চারটি পদে ৬৮টি শূন্যপদের বিপরীতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ফল প্রকাশের পর বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলে ১৩ ঘণ্টা পর আবার তা সংশোধন করে মধ্য রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে পুনরায় ফল প্রকাশ করা হয়।

এদিকে সংশোধিত নতুন চিঠিতে বলা হয়েছে, রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চারটি পদের বিপরীতে চাকরি প্রত্যাশীরা লিখিত পরীক্ষা দেন। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই এ ফল প্রকাশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ফলাফল নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত প্রথম ফলাফলে দেখা যায়, স্বাস্থ্য সহকারী পদে ১৪৯ জন পরীক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কৃতকার্য হয়েছেন। ফলাফলে ২৪২২১৪০০৭০২, ২৪২২১৪০৩৩১২ এবং ২৪২২১৪০৩৫০৫ রোল নাম্বার দুই বার করে কৃতকার্যের তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এসময়ে ফেসবুকে ফলাফল প্রকাশের পর, নেতিবাচক মন্তব্যে ঠাসা পড়ে সিভিল সার্জন অফিস, নড়াইল নামক ফেসবুক পেজ।

পল্লব রায় নামে একজন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এটা কেমনে কী? পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই রেজাল্ট প্রকাশ, নাকি আগে থেকেই রেজাল্ট শিট তৈরি করে নিয়ে, পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল? সাধারণ প্রার্থীদের এভাবে হয়রানি কেন? কারও কারও তো ডাবল রেজাল্টও দেখা যাচ্ছে, এমন কেন ডাই? মাশরাফির নড়াইলে এ কেমন দুর্নীতি এ কেমন প্রহসন? এমন চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ দাঁড়াবে কোথায়, ভরসা করবে কাকে? আমার তো মনে হয় নিয়োগকর্তাদের ঘাড়ে জিন পরীর আছর আছে।

রোহানুল আলম নামের একজন লেখেন, 'চরম দুর্নীতিগ্রস্ত একটা রেজাল্টশিট, কারণ আমার পরিচিত জন ৭০+ কনফার্ম পাবে, তাও টিকলো না, তাছাড়া পরীক্ষায় উত্তরপত্রের সিকিউরিটি ছিলো না, খাতা পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে, এটা অসম্ভব যে ৭০০০+ পরীক্ষার্থীর খাতা মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল্যায়ন শেষ করা হয়েছে। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, আবার কেউ কেউ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে যোগাযোগ করছেন।

লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত প্রথম ফলাফল নিয়ে ওঠে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথার বাড়। ক্লাস আলী নামক আইডি থেকে লেখা হয়, ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই, এতগুলো প্রার্থীর একটা লিখিত পরীক্ষার ফলাফল; মূল্যায়ন কেমনে সম্ভব? এ যেন ওএমআর থেকেও ফাস্ট। নাকি সর্ষের ভেতর ভূত?

জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৫ ও ১৬তম গ্রেড বেতন স্কেলে চারটি পদের বিপরীতে ৬৮টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য সহকারী শূন্য পদে ৬২ জন, স্টোর কিপার পদে ০৩ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ০২ জন। আবার কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান পদে একজনের বিপরীতে আবেদন করেন ৫ হাজার ৪২৮ জন চাকরি প্রত্যাশী। প্রতি পরীক্ষার্থীকে ফি বাবদ গুনতে হয়েছে ২২৩ টাকা।

আরও জানা যায়, লিখিত পরীক্ষায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে ৩ হাজার ৩৫৪ জনের বিপরীতে ১৪৬ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৪৮ জনের বিপরীতে ১৫ জন, স্টোর কিপার পদে ৪০৫ জনের বিপরীতে ১৬ জন, কোল্ড চেইন টেকটিনিসিয়ান ৪ জনের বিপরীতে ১ জন পরীক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। চারটি পদের বিপরীতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন ৩৯১১ জন এবং তাদের লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, অংক, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন উত্তরে খাতা মূল্যায়ন করেছেন স্কুল-কলেজের ৪০জন শিক্ষক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের নাম আসেনি। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অনেকেই নাকি টাকা পয়সা দিয়ে লবিং করে যাচ্ছে চাকরির জন্য।

এ বিষয়ে এ জেলা সিভিল সার্জন ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. সাজেদা বেগম মুঠোফোনে জানান, ফলাফল প্রকাশে টাইপিং মিসটেকের কারণে লিখিত পরীক্ষায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে ৩টি রোল নাম্বার রিপিট হয়েছে। তবে আমরা ১৪৯ জনকে নয় ১৪৬ জনকে ওই পদে রেখেছি। সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে কোনো ধরনের চাপ এড়াইতেই শতভাগ স্বচ্ছতার সাথেই লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;