উপকূল ছেড়ে গেলেও ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’
ঘূর্ণিঝড় রিমালতাণ্ডব চালিয়ে উপকূল থেকে বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’। তবে রেখে গেছে ক্ষতের দাগ। তীব্র ঝড়ের সঙ্গে ভারী বর্ষণে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো মানুষ। ঘরবাড়ি ও সহায়-সম্বল হারিয়ে দিশেহারা উপকূলের মানুষ। এই ক্ষতি কাটিয়ে কীভাবে তারা পুনরায় নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়াবেন সেটি নিয়েই এখন দুশ্চিন্তা সাতক্ষীরার মানুষের।
ইকবাল মোল্লা নামের এক কৃষক সহায় সম্বল রেখে ঘূর্ণিঝড়ের রাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল শেষ করে দিয়েছে বসত-ভিটাসহ সব কিছু। সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তারা। আইলা, সিডর, ফনি, এখন রিমাল সব ঘূর্ণিঝড় এসে একে একে নিঃস্ব করে রেখে গেল তাদের বসতভিটা। ঘূর্ণিঝড়ের ঘা কাটিয়ে একটু একটু করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলো বার বারই নিঃস্ব হচ্ছে।
শুধু যে ইকবাল তা নয় হাজারো উপকূলবাসীর চিত্র এখন এমনই। সবার চোখে মুখে হাহাকার। বসতভিটা হারানোর কষ্ট। কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন সেই চিন্তায় দিন গুণছে তারা।
প্রতাপনগরের মিজানুর বলেন, নিম্নচাপ, ঝড় আসলে আগে আমাদের উপকূলবাসীর বলী হতে হয়। যার কারণে আমাদের এই লড়াইটা অভ্যেস হয়ে গেছে। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুনামির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকাটা আমাদের জীবন। এক এক সময় এক এক আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছি। না রয়েছে ভালো বেড়িবাঁধ না রয়েছে ভালো জীবন এ জীবনটা শুধু সংগ্রামের।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজিবুল আলমের তথ্য মতে, শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়াসহ বারোটি ইউনিয়নে ৫৪১টি কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টি সম্পূর্ণ এবং ৪৪৮টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল জোয়ারে নদীর পানি ছাপিয়ে কোথাও কোথাও লোকালয়ে প্রবেশ করলেও বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গতকালের টানা বর্ষণে কিছু মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানানো সম্ভব হচ্ছে না।’