চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড: যোগদান করেই পুরনো শোধ তুলছেন চেয়ারম্যান!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওএমআর শিট সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘হাতে হাতে টাকা’ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক রেজাউল করিম। দুই দফা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করার পর গত বছরের ১৯ অক্টোবর তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলে বদলি করা হয়। তখন এই ‘অনিয়ম’ নিয়ে বোর্ডের বর্তমান সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল রেজাউল করিমের। গত ১৪ মে সেই রেজাউল করিম চেয়ারম্যান হয়ে ফিরেছেন এই শিক্ষাবোর্ডে।

চেয়ারম্যান হয়ে ফেরার পর কোথায় অস্থিতিশীল হয়ে থাকা শিক্ষাবোর্ডে শান্তি ফেরাবেন। উল্টো যোগদান করতে না করতেই বর্তমান সচিবের ছেলের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ সংক্রান্ত চলমান দুটি তদন্তের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। আর এই কাজে তাকে উপসচিব মো. বেলাল হোসেন সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাবোর্ডে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, শিক্ষা বোর্ডের সচিবের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ গতবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তবে তিনি একটি বিষয়ে জিপিএ-৫ পাননি। সেজন্য সচিবের পরিবার পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে চায়। কিন্তু পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে দেখতে পান, কে বা কারা আগেই নক্ষত্র দেব নাথের ছয় বিষয়ের ১২টি পত্রের আবেদন করে ফেলেছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সচিবের স্ত্রী বনশ্রী নাথ পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনকারীকে শনাক্ত ও আইনি প্রতিকার চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এ নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক আবদুল আলীমের মোবাইল ফোন নম্বর রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে নক্ষত্র দেবনাথের নামে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনটি করা হয়েছিল। বিষয়টি উল্লেখ করে গত ১৫ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

এই ঘটনায় শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব আবদুল আলীম ও চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বোর্ডের বর্তমান সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী দেবনাথ। ইদ্রিসকেও আসামি করা হয়েছে কারণ তিনি অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেই বক্তব্যগুলো বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বলে অভিযোগ করেন নারায়ণ চন্দ্র নাথ। অভিযোগ রয়েছে নারায়ণ চন্দ্র নাথের করা মামলার দুই আসামির একজন বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের ঘনিষ্ট বন্ধু।

এদিকে বর্তমান সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলের ফলাফল সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলার ফৌজদারি মামলা এবং অন্যটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশক্রমে তদন্ত। কিন্তু চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেওয়ার পর নিজ উদ্যোগেই বর্তমান সচিবের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে বক্তব্য নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একে একে গোপনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাদের চাপ প্রয়োগ করে তার নিজের চাহিদামতো বক্তব্য লিখিয়ে নিয়েছেন। আর চেয়ারম্যানকে এই কাজে বোর্ডের উপসচিব মো. বেলাল হোসেন সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

চাপে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

চেয়ারম্যান শুরুতে গত বৃহস্পতিবার রহমান নামের একজন দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীকে ডেকে নেন। তাকে একান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার কাছ থেকে বক্তব্য লিখিয়ে নেন উপসচিব বেলাল হোসেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ডাকা হয় শিবলু ও নোমান নামের আরও দুজন দিনভিত্তিক কাজ করা স্ক্যনারকে। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চেয়ারম্যানের চাহিদানুযায়ী বক্তব্য লিখিয়ে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার ডাকা হয় প্রোগ্রামার আব্দুল মালেককে। তাকে একান্তে চেয়ারম্যান এবং উপসচিব জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার কাছ থেকেও তদন্ত বিষয়ক নিজের চাহিদামতো বক্তব্য লিখিয়ে নেন চেয়ারম্যান। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে দোটানায় পড়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চেয়ারম্যানের ডাকে সাড়া দিয়ে একদিকে যেতে হচ্ছে, তেমনি আবার চেয়ারম্যানের চাহিদা অনুযায়ী বক্তব্যও দিতে হচ্ছে। যেটি তাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বেগের।

যে কমকর্তা-কর্মচারীদের ডেকে বক্তব্য নেওয়া হয় তাদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে বার্তা২৪.কম। তাদের বেশিরভাগই এই বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি। বলেছেন, এমনিতেই ঝামেলায় আছেন। এখন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলে নতুন করে ঝামেলায় পড়তে পারেন।

চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের একজন অফিস সহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোপনে ডেকে আনার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের ডেকে বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে। বড় স্যারেরা অর্ডার দিলে তো কর্মচারীদের আসতেই হবে, যা বলবে তা করতে হবে। কথায় আছে না- কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। সেটিই হচ্ছে আর কি?

এছাড়া চেয়ারম্যান তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে একটি চিরকুট দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে চাহিদা দিয়েছেন, যেটিও বোর্ড আইন পরিপন্থী বলে জানা গেছে।

শিক্ষাবোর্ডের অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, সচিবের স্ত্রীর করা সাইবার মামলাটি একটি সাব-জুডিস বিষয়। এ বিষয়ে আদালতের তদন্ত কর্মকর্তা ব্যতীত কারো জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ নেই। কিন্তু চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে জোর করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে সচিবের বিরুদ্ধে বক্তব্য লিখিয়ে নিচ্ছেন। এ কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে এক ধরণের ভীতি কাজ করছে। যা নিয়ে বোর্ডে এক প্রকার থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তবে সচিবের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে বক্তব্য আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমি তো আমার কর্মচারীদের অফিসিয়াল কাজে ডাকতেই পারি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;