ডিসি-ইউএনওদের জন্য কেনা হচ্ছে ২৬১ গাড়ি, ব্যয় ৩৮২ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য কেনা হচ্ছে ২৬১ বিলাসবহুল গাড়ি। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৩৮২ কোটি টাকা।

বুধবার (২২ মে) প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, জনপ্রশাসনের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো যানবাহন অধিদফতরের চাহিদাপত্র অনুযায়ী, জেলা প্রশাসকদের জন্য গাড়ি কেনা হবে ৬১টি। প্রতিটি গাড়ি ক্রয়ে ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। মোট ৬১টি গাড়ি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য কেনা হবে ২০০টি গাড়ি। প্রতিটি গাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। এতে ব্যয় হবে ২৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মাধ্যমে এসব গাড়ি কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এরআগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৬১ জন ডিসি ও ২০০ জন ইউএনওর জন্য ২৬১টি নতুন জিপ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সে সময় সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল সরকার।

সে সময় 'মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্ট কিউ এক্স' মডেলের প্রতিটি গাড়ির দাম ধরা হয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। ৩৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দরপত্র ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে গাড়িগুলো কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।

   

সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হয়নি চামড়া, লোকসানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিকিকিনি হচ্ছে না পশুর চামড়া। শনিবার (২২জুন) ঈদ পরবর্তী ১ম হাটে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ টাকা ফুট দরে। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে পিচ প্রতি ১৫/২০ টাকায়। এতে এবারো লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশু চামড়ার হাট যশোরের রাজারহাটে খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অন্তত ১৫ জেলার বিক্রেতা এসেছেন। টানা কয়েক বছরের মন্দা কাটিয়ে কিছুটা লাভের আশায় হাটে এসেছিলেন তারা। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।


মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হাটে ৮/১০ মণ ওজনের লবণযুক্ত গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকায়। আর ছোট ও মাঝারি গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩শ' থেকে ৬শ' টাকায়। মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। এতে খরচ-খরচা দিয়ে লাভ থাকছে না বলে দাবি বিক্রেতাদের।

খুলনার কয়রা থেকে আসা চামড়া বিক্রেতা আব্দুল মমিন বলেন, ব্যবসায়ী ছোট আকারের গরুর ২২ পিস চামড়া তিনি বিক্রি করেছেন মাত্র এক হাজার দুই শ’ টাকায়। অথচ ওই চামড়ার কেনা দামই ছিল চার হাজার চার শ’ টাকা। তার উপর লবণ, মজুরি ও পরিবহন খরচ রয়েছে। এভাবে একজনও ক্ষুদ্র বিক্রেতা পাওয়া যায়নি, যিনি লোকসানের কথা বলেননি।

অপর চামড়া বিক্রেতা অভয়নগরের মুকুন্দ বিশ্বাস বলেন, তার প্রতি পিস চামড়ায় গড়ে দুই শ’ টাকা করে লোকসান হয়েছে। তিনি বলেন গরুর চামড়া বড় পিস ৯০০ টাকা করে ও মাঝারিগুলো ৫০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও ছাগলের চামড়া বিক্রি করেছেন ১০ টাকায়। অথচ একটি চামড়ায় লবণ গেছে ৩০ টাকার।


রাজারহাটের আড়তদার শেখ হাসানুজ্জামান হাসু বলেন, ভালো চামড়ার ভালো দাম। এবার আবহাওয়ার কারণে চামড়ার মান খারাপ। তাছাড়া, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া ঠিকমতো কিনতে পারে না। অনেক সময় তারা চামড়া বেশি দামে কিনে ফেলেন।

বৃহত্তর যশোর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর বলে লোকসান হচ্ছে। এবার দাম ভালো। আর লোকসান এড়াতে বিদেশে সরাসরি কাঁচা চামড়া রপ্তানি করতে হবে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবে, সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারবে। যশোরে এবার দেড় লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ব্যবসায়ী সমিতি।

;

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাইসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ট্রাক ও বাইসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের ভেড়ামারা ভাঙাপুল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুস সালাম ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলা হাবাসপুর গ্রামের হারা মালিথার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাইসাইকেল যোগে আব্দুস সালাম আল্লারদর্গা যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ট্রাকটি আটকের চেষ্টা করে। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ঘটনার পর দ্রুত ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। তবে সিসি ক্যামেরায় দেখে ট্রাকটি শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।

অপরদিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় সিএনজির সাথে একটি রডবোঝাই শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

;

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষি জমিতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে বুলবুল আহমেদ (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার সুন্যা উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বুলবুল আহমেদ ওই গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, বুলবুল সকালে সুন্যা উত্তরকোড় চকে ধানক্ষেতে কাজ করতে যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে বুলবুল বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেন। এসময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিহতের পরিবারটি।

নিহতের চাচাতো ভাই স্কুলশিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে আমার ভাই ধানক্ষেত পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন। পরে বজ্রপাত শুরু হলে তিনি বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেয়। এসময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রায় এক ঘণ্টা পর খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যাত্রীরা বলছেন, ঈদ শেষে স্বজনদের রেখে কর্মস্থলে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘাট এলাকায় ভিড় থাকলেও স্বস্তির কথাও জানান তারা।

শনিবার (২২ জুন) বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহনের। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে থাকে ঘাট এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বেড়ে যায়। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় স্বস্তি নিয়ে কর্মস্থলের দিকে ঘাট পার হচ্ছেন যাত্রীরা।

রাজিব মোল্লা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ কাটালাম। খুব ভালো লাগল। এখন তাদের রেখে আসতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে, না গেলে চাকরি থাকবে না। ঘাটে এসে কোন ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছি এটা খুবই সৌভাগ্যের।’

রানা শেখ নামের অপর এক যাত্রী জানান, ‘এবার ঘাটে কোনো ঝামেলা হয়নি। ভাড়াটা বেশি নিয়েছে। তবে রাস্তা ফাঁকা। সবমিলিয়ে ভালোভাবে আসতে পেরেছি। ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।’

জানা যায়, এবারের ঈদে যাত্রীদের নিরাপদে নদী পার করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহন এবং প্রাইভেটকারের চাপ বেড়েছে। তবে এই নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, তাদের বহরে থাকা ১৮টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে চলাচল রয়েছে। তবে ঘাটে কিছু যানবাহনের সিরিয়াল রয়েছে। তবে যাত্রীরা স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছে।

;