খোঁড়াখুঁড়িতে রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে টিকাটুলিবাসী



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা খুঁড়ে চলছে ঢাকা ওয়াসা, ডেসকো, ডিপিডিসি ও নগর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম। তবে উন্নয়ন কার্যক্রমের এই খোঁড়াখুঁড়িতে চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী।

নগরবাসীর স্বার্থে ভূগর্ভস্থ পানির সংযোগ, গ্যাসের সংযোগ, বৈদ্যুতিক সংযোগ কিংবা ড্রেনেজ ব্যবস্থা- এ সমস্ত সংযোগের রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি হবে এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু জনগণের প্রশ্ন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নতুন রাস্তা কেটে ফেলতে সময় না নিলেও মেরামত করতে কেন এত সময় নেয়া হয়, আর কেনই বা একই রাস্তা বছরে কয়েকবার করে কাটতে হয়? জনসাধারণের এত ভোগান্তির পরও বছরের পর বছর ধরে এইসব সংস্থাগুলোর মধ্যে কেন হয়না সমন্বয়?

রাজধানী ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় রয়েছে জনপ্রিয় শপিংমল রাজধানী সুপারমার্কেট, চৌধুরী শপিংমল ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিসহ বেশকটি স্থাপনা ও মন্দির। এর ফলে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত- সব শ্রেণির মানুষের আনাগোনায় জমজমাট থাকে পুরো এলাকা। চৌধুরী শপিংমল, রাজধানী সুপার মার্কেট ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির মাঝের সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষসহ, রিকশা, ভ্যান ও ব্যক্তিগত যানবাহনের যাতায়াত। এ কারণে মার্কেটগুলোতেও ক্রেতা উপস্থিতি হতো বেশ। কিন্তু গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ডিপিডিসি ও ওয়াসা'র উন্নয়ন কার্যক্রমের খোঁড়াখুঁড়িতে টিকাটুলির এই সড়কটির বেহাল দশার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই বলে জানিয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ।

সড়কটির বেহাল দশার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই

বুধবার (২২ মে) টিকেটটুলি এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চৌধুরী শপিং মল ও রাজধানী সুপারমার্কেটের সামনের সড়কটি যেন একটি বিধ্বস্ত সড়কের রূপ নিয়েছে। টিকাটুলি মোড় থেকে রাজধানী মার্কেটের দিকে ঢোকার শুরুতেই চোখে পড়বে রাস্তার বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে বিশাল এক গর্ত। সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে চলছে ওয়াসার কাজ। তিন-চারদিন ধরে এখানে কাজ চলছে বলে জানান শ্রমিকরা। 

বিশাল এই গর্তের পাশ দিয়েই ভাঙা রাস্তায় খুব কষ্টে প্যাডেল ছেড়ে শরিরের সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে রিকশা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন চালকরা। এখানেই শেষ নয়। একটু সামনে এগিয়ে গেলেই দেখা যায়, আরও একটি লম্বা বিশাল গর্ত। সেখানে কাজ করছে ডিপিডিসি। গর্তের উপরে এবং আশপাশে রাখা আছে বিশাল বিশাল ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক ক্যাবল। রাস্তার ভালো অংশটুকুতে রাখা হয়েছে গর্তের মাটি, বালি ও শুরকি। বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা। পুরো রাস্তাজুড়েই এই একই অবস্থা। খুব কষ্টে রাস্তায় চলতে হচ্ছে পথচারীদের। 

উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়িতে এই সড়কের বেহাল দশা কবে থেকে এমন প্রশ্নে সেখানকার ব্যবসায়ী মো. শুক্কুর আলম বার্তা২৪. কমকে জানান, রোজার ঈদের পর থেকেই শুরু হয়েছে এই খোঁড়াখুড়ি।

তিনি বলেন, ‘এতদিনের এই খোঁড়াখুঁড়িতে আমাদের ব্যবসা শেষ। কাস্টমার দোকানে আসতে পারে না ব্যবসা হবে কোথা থেকে। রাস্তা এমনভাবে কাটছে যে, গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, মানুষের হাঁটাচলাই অনেক কষ্ট হয়ে যায়। অবস্থা দেথে আমার মনে হচ্ছে কোরবানি ঈদের আগে এই কাজ শেষ হবে না। সরকার উন্নয়ন করুক, উন্নয়নের দরকার আছে কিন্তু সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুক। আমাদের এই কষ্টের কথা কার কাছে বলব।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কারে বলব দুঃখের কথা। না পারি কইতে, না পারি সইতে। দোকানে একদম বেচাকেনা নাই। সারাদিন বইসা বিক্রি হয় ২০০, ২৫০, ৩০০ টাকা। এই টাকা দিয়া কি করমু, দোকানের স্টাফের বেতন দিমু না নিজে চলমু?। আজকে এক মাসের উপরে হইছে রাস্তাটার এই অবস্থা। কাটা ছেঁড়া কইরা কিচ্ছু রাখে নাই। না চলতে পারে গাড়ি-ঘোড়া, আর মানুষের চলার তো কষ্টের শেষ নাই। মানুষ না আসলে আমরা বিক্রি করব কার কাছে?। সরকারের প্রতি অনুরোধ, রাস্তাটা যেন খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করে দেয়।

রাস্তার বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে চলছে নির্মাণ কাজ

এই রাস্তা ধরেই প্রতিদিন যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী মো. মনিরুল ইসলাম। প্রতিবেদককে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখে নিজে এসেই কথা বলেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটা কাটা থাকার কারণে গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে অনেকদূর ঘুরে আমার কর্মস্থলে যেতে হয়। এই রাস্তাটি প্রতি বছর কমপক্ষে ৩/৪ বার কাটা হয়। যেখানে একবারে করলে হয়ে যায় সেখানে এক এক কোম্পানি একেকবার এসে কাটাকুটি করে। দুই মাস আগেই রাস্তাটি কেটেছিল। এখন আবার কেটেছে। আমাদের সাধারণের বলার কিছু নাই। বিভিন্ন সংস্থার গাফিলতির কারণে আমাদের জনসাধারণের এই ভোগান্তি। এই কাজের সাথে সংযুক্ত কর্তৃপক্ষের উচিত এদিকে সুষ্ঠু নজর দেয়া। 

পথচারীরা আরও জানান, ঢাকা ওয়াসা, ডেসকো, ডিপিডিসি ও নগর কর্তৃপক্ষসহ এসব পরিষেবা সংস্থার খোঁড়াখুঁড়িতে বৃষ্টি নামলেই কাদা-পানিতে আরও বেশি নাজেহাল হতে হচ্ছে নগরবাসিকে। ভোগান্তির বোঝা কাধে নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই এই সড়কে আসা-যাওয়া করেন শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ। তাদের দাবি, জনসাধারণের ভোগান্তি এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব পরিষেবা সংস্থার কাজ শেষ করে সড়কটি যেন মেরামত করে দেওয়া হয়। 

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টিকাটুলির এ সড়কের খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসা'র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ও এন্ড এম) প্রকৌ. এ.কে.এম সহিদ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমিতো বলতে পারব না ফিল্ডের অবস্থা। হয়ত কয়েকদিন হয়েছে কেটেছে।’ 

বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদকের কাছে সড়কের ঠিকানা চেয়ে এ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কোথায় সমস্যাটা বলেন, আপনি আমাকে ঠিকানাটা দেন আমি দায়িত্বরতদের বলে দিচ্ছি। তারা রেক্টিফাই করে ঠিক করে দিবে। অথবা আমাকে জানালে আমি আপনাকে বিস্তারিত জানিয়ে দিব এবং সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারব।’

এর আগে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে গণমাধ্যমে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, এসব প্রকল্প আগে থেকেই নেওয়া হয়ে থাকে, জুনের আগেই এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাড়া থাকে। ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে কাজগুলো করতে দেরি হয়ে যায়। তবে যেসব এলাকায় জনদুর্ভোগ বেশি হচ্ছে সেসব এলাকার কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। নগরের উন্নয়ন কাজের জন্য নগরবাসীকে সাময়িক একটু ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মদপানের টাকার জন্য নিজ সন্তান বিক্রি করলেন বাবা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা সদর ইউনিয়নের নিজ শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে বাবা। মদপানের টাকা দিতে না পারায় নিজের আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে চাইসিংনু মারমা (৪০)। শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে ক্রেতার কাছে বারবার গেলেও বিক্রির অর্থ ফেরত দিতে না পারায় নিজ সন্তানকে ফেরত আনতে পারেনি অসহায় মা উসাংচিং মারমা (৩০)। 

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে রুমা সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রুমাচড় পাড়া বাসিন্দা ক্যহ্লাচিং এর ছেলে চাইসিংনু মারমা (৪০) ও পাইন্দু ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা ক্যইমংউ মারমার বড় মেয়ে উসাংচিং মারমা এর মধ্যে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে। তবে স্বামী প্রায় সময় মদপান করে স্ত্রীকে মারধর করত। ছয় মাস আগে পরিবার ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায় স্বামী। পরে ঘরে ফিরে এসে প্রায় ১৫ দিন আগে মাতাল অবস্থায় স্ত্রীকে বেঁধড়ক পিটিয়ে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময় আড়াই বছরের শিশু ছেলে নিজের কাছে রেখে দেয় মাতাল চাইসিংনু মারমা।

বুধবার (২৬ জুন) শিশুটির মা উসাংচিং মারমা বলেন, পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার পর থেকে রুমা সদর ইউনিয়নের পলিপাড়ার পার্শ্ববর্তী মায়ের খামার ঘরে মেয়ে সন্তানকে নিয়ে অবস্থান করেন। তিনি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, গত ২২ জুন তার শিশু ছেলেকে তার বাবা বিক্রি করে দিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, তার শিশু সন্তান সদর উপজেলায় লাইমি পাড়ার এক মারমা পরিবারের কাছে আছে।

লাইমি পাড়ার অবস্থান হচ্ছে বান্দরবান সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে। গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সেখানে গিয়ে তার ছেলে সন্তানকে দেখতে পায় এবং ছেলেও মাকে দেখে দৌড়ে চলে আসে। কিন্তু বিক্রির সময় বাবার নেওয়া তিন হাজার টাকা ফেরত দিতে না পারায় শিশুকে নিজ ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি এই অসহায় মা।

শিশুটির মা উসাংচিং মারমা আরও বলেন, মদ্যপানের জন্য নিজের সন্তানকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে শিশুটির বাবা। একথা বলে তার চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারেনি শিশুটির মা। ঘটনা জানাজানির পর শিশুটির পিতা চাইসিংনু মারমা অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।

খবরটি পৌঁছায় প্রশাসনের কর্মকর্তারাদের নিকট। তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন নির্দেশ দিলে রুমার ইউএনওকে শিশুটি উদ্ধার করতে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মার কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, শিশুটিকে আমরা উদ্ধার করে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রুমা সদর ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসিংনু মারমা বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে ছেলেটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

;

পাহাড়ে প্রথমবারের মতো ড্রোন দিয়ে দুর্নীতির অনুসন্ধান চালাল দুদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে রাঙামাটিতে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধের দায়ের করা চারটি দুর্নীতির মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে দুদক কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাঙামাটির বরকল উপজেলাধীন সুবলং, ভূষণছড়া ও ঠেগামুখ এলাকায় গিয়ে ড্রোন উড়িয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদককে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

দুদক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাঙামাটি জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে একই দিনে চারটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

দুদক রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন নিজেই উক্ত চারটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এই চার মামলায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ঠিকাদার, ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সর্বমোট ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রাঙামাাটি জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, উপসহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সিলেট এলজিইডিতে কর্মরত) কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অমলেন্দু চাকমার স্বত্তাধিকারী অমলেন্দু চাকমা, মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী চিংহেন রাখাইন, মেসার্স সম্মৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী মিলন তালুকদার’কে আসামি করে এই চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক।

দুদক সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বরকলের ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত কামিনী চাকমার জমির উপর মৎস্য বাধঁ ও পাকা সেচ ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৩ টাকা, বরকল উপজেলাধীন সুবলং বাজারে পানীয় জলের ব্যবস্থাকরণসহ গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা, বরকল উপজেলাধীন সুবলং ইউনিয়নে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাকা সিড়ি নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়া মৎস্য বাঁধ হইতে হারুন টিলা এলাকার আহাদ এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামক ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৩ টাকা পরস্পর যোগসাজসে অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে উপরোক্ত টাকাগুলো আত্মসাৎ করে দণ্ড বিধির ৪০৯/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার গুলোর এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন।

রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদককে মুঠোফোনে উপরোক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৭৫ কার্যদিবস সময়কালে উপরোক্ত মামলাগুলোর সার্বিক বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে মামলা দায়ের করে তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করেছে। দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা জানান, আমরা তদন্ত কার্যক্রমে অনেক দূর এগিয়েছি। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সবকিছু মিলিয়ে এরপরের পদক্ষেপ চার্জশীট প্রদান করা।

;

বান্দরবানে কেএনএফ'র আরও এক সদস্য গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য হলেন তোয়াং থান বম (৪৫)। সে সদর উপজেলার স্যারণ পাড়ার বাসিন্দা মৃত নুয়াং থাং বমের ছেলে।

বুধবার (২৬ জুন) তাকে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের স্যারণ পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে গ্রেফতার আসামিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে বান্দরবান সদরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক আসামিকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামি তোয়াং থান বমকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

এপর্যন্ত মোট ১০৯ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ১১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৫ জন নিহত হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটি সহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ভ্যান চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল জব্বার (৬০) নামের এক বৃদ্ধ পাখিভ্যান চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের দেউলী মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল জব্বার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের দেওলী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দামুড়হুদার দেওলী মোড়ে একটি চায়ের দোকানের পাশে প্যাখিভ্যান রেখে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বৃদ্ধ আব্দুল জব্বার। এসময় একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল বৃদ্ধকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মারাত্মক জখম হন। স্থানীয়ারা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা আরও জানান, মোটরসাইকেলে দুজন আরোহী ছিলেন। তারাও সড়কের ওপর ছিটকে পড়েছিল। এর মধ্যে একজন আহত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা বৃদ্ধ আব্দুল জব্বারকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।’

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এক বৃদ্ধ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। পরবর্তী আইনানুগ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

;