বান্দরবানে কেএনএফ'র আরও এক সদস্য গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য হলেন তোয়াং থান বম (৪৫)। সে সদর উপজেলার স্যারণ পাড়ার বাসিন্দা মৃত নুয়াং থাং বমের ছেলে।

বুধবার (২৬ জুন) তাকে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের স্যারণ পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে গ্রেফতার আসামিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে বান্দরবান সদরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক আসামিকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামি তোয়াং থান বমকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

এপর্যন্ত মোট ১০৯ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ১১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৫ জন নিহত হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটি সহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

চট্টগ্রামে পানি মাড়িয়ে কেন্দ্রে গেলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪। রাস্তায় পানি মাড়িয়ে এক মা তার মেয়েকে কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন।

ছবি: বার্তা ২৪। রাস্তায় পানি মাড়িয়ে এক মা তার মেয়েকে কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন।

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে টানা বৃষ্টির ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীরা। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেকে হাঁটু পানি মাড়িয়ে আধাভেজা হয়ে পৌঁছেন কেন্দ্রে।

চট্টগ্রামে বেশ কদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে রোববার (৩০ জুন) ভোর থেকে শুরু হয় হালকা থেকে মাঝারি টানা বৃষ্টি। সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো নিয়েও শঙ্কায় পড়েন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। এমনকি বৃষ্টির ভোগান্তি মাথায় গাড়ি না পেয়ে কেউ কেউ হেটে আবার কাউকে তিনগুণ অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রে যেতে হয়। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার আধাঘণ্টা পরেও নগরের কয়েকটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা পৌঁছেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া ছিল শিক্ষা বোর্ডের। কিন্তু মৌসুমি ভারী বৃষ্টির কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে পরীক্ষার্থীদের দেরি হয়। বৃষ্টিতে কোথাও জলজট কোথাও যানজট আবার কোথাও বা গাড়ি না পেয়ে মহাদুর্ভোগে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার দিন টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পেড়িয়ে কেন্দ্রে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। 

নগরের বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা লুৎফুর রহমান তার মেয়ে আদিবাকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছেন পরীক্ষা শুরু হওয়ার শেষ মুহূর্তে।

জানতে চাইলে লুৎফুর রহমান বলেন, 'ভোর থেকে যে বৃষ্টি শুরু হলো থামার নাম নাই। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বের হয়ে গাড়ি পাচ্ছি না। প্রায় আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ভেজার পর বহুকষ্টে একটা সিএনজিতে করে রওনা হই। এজন্য কেন্দ্রে আসতে দেরি হয়েছে। এখানে এসে দেখছি আমার মেয়ের মত আরও অনেকেরই লেট হচ্ছে। বৃষ্টি আর যানজটের কারণেই আসলে এমনটা হয়েছে।'

এছাড়া বৃষ্টিতে নগরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি পড়েন পরীক্ষার্থীরা।

আন্দরকিল্লা এলাকায় এলাকায় মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষা দাঁড়িয়ে আছেন মো. জহির উদ্দিন নামে এক অভিভাবক। তিনি বলেন, 'সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বৃষ্টি দেখে ভয় পাচ্ছিলাম বাচ্চাকে কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্র দিয়ে আসব! বৃষ্টি না থাকলে বাচ্চা নিজে যেতে পারত। এখন যে বৃষ্টি আর রাস্তাঘাটের কথা আর নাই বলি। এই বৃষ্টিতে ঠিকঠাক মতো গাড়িও পাওয়া যায় না। তার উপর দ্বিগুণ তিন গুন ভাড়া চায়। এখন যেহেতু বিপদে পড়ছি বাধ্য হয়ে যেতে হবে।'

এদিক আগ্রাবাদ থেকে ছেলে চট্টগ্রাম কলেজ কেন্দ্রে নিয়ে আসা অভিভাবক হোসনে আরা বলেন, 'অনেক কষ্ট করে বাচ্চাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাই দিলাম। আসার সময় দেখছিলাম অনেকে পরীক্ষার্থী গাড়ির অপেক্ষায় আছে। কি যে হবে তাদের!'

সবকেন্দ্রে যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী সকল কেন্দ্রে যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।'

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রোববার (৩০ জুন) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা। বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২৩৮টি কলেজের এক লাখ ৬ হাজার ৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মহানগরসহ জেলার মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭৬ হাজার ১৭৯ জন, যার মধ্যে ৩৪ হাজার ৯৭৯ জন ছাত্র আর ৪১ হাজার ২০০ জন ছাত্রী।

শুধু মহানগরে পরীক্ষার্থী ৩৭ হাজার ৪৯২ জন, যার মধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ১৩৬ জন এবং ছাত্রী ১৯ হাজার ৩৫৬ জন।
এছাড়া কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৬৩ জন, যার মধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৫৭৪ এবং ছাত্রী সাত হাজার ৮৮৯ জন।

রাঙামাটিতে পাঁচ হাজার ৬৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র দুই হাজার ৬৬২ জন এবং ছাত্রী তিন হাজার একজন। খাগড়াছড়িতে ছয় হাজার ৭২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র তিন হাজার ১৬২ ও ছাত্রী তিন হাজার ৫৬৫ জন।
বান্দরবান জেলায় চার হাজার দুইজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র এক হাজার ৯৫৫ জন এবং ছাত্রী দুই হাজার ৪৭ জন।

মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১১৫টি। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬৯টি, কক্সবাজারে ১৮টি, রাঙামাটিতে ১০টি, খাগড়াছড়িতে ১০টি ও বান্দরবানে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে।

পরীক্ষা শুরু আগে শিক্ষা বোর্ড সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও কেন্দ্র থেকে অভিযোগ পাইনি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনও পরীক্ষার্থী ৫ মিনিট দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে এলে, তাকে আরও ৫ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হবে।'

এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নগরে ৫৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার এবং রোববার (৩০ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান বলেন, 'বাংলাদেশের উপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। আস্তে আস্তে বৃষ্টিপাত কমতে থাকবে। তবে যেহেতু এখনো তিন নম্বর সিগন্যাল আছে তাই ভারী বৃষ্টি হলেই এ সময় কোথাও কোথাও পাহাড় ধসেরও ঝুঁকি রয়েছে।'

;

প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্টের ব্রাঞ্চ চান হাফিজউদ্দীন আহমেদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহমেদ

ছবি: বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিচারকার্য দ্রুত নিষ্পত্তি ও মানুষের হয়রানি কমাতে প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্টের ব্রাঞ্চ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহমেদ।

রোববার (৩০ জুন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থ বাজেটের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদে হাফিজউদ্দীন আহমেদ বলেন, জেলা শহরে মামলা জটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। অনেকে মামলার রায়ের জন্য জজকোর্ট থেকে হাইকোর্টে আসতে চান না। ফলে, মামলা ঝুলে যায় দীর্ঘ সময়। সে কারণে মামলা জট কমাতে প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্টের ব্রাঞ্চ করতে হবে।

মামলা জট কমাতে জেলা কোর্টকে পূর্ণাঙ্গ কোর্ট করার দাবি জানিয়ে উপজেলা কোর্ট-কাচারি করার দাবি জানান এই সংসদ সদস্য।

;

নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য

নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য নিয়ে কিছুদিন পরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এসব ঘটনায় মৃত্যুসহ গুরুতর হতাহতের শিকার হন চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ, হন গ্রামছাড়া। ছেড়ে দেওয়া বাড়িঘরে লুটপাট করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। আর এসব ঘটনায় মদতদানকারী হিসেবে উঠে আসে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের নাম।  

সর্বশেষ ১৯ জুন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আলিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন কোম্পানি গ্রুপের এলোপাথারী টেঁটা এবং গুলির ঘটনায় আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে কাজী ফারুক আহমেদ (৪৫)। এই ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন।

এসব ঘটনায় যখন চরাঞ্চলের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠে তখনই আন্দোলনের ডাক দেন তারা।

এবার কয়েক গ্রামের মানুষ মিলিত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবীতে মানববন্ধন করেছে। শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে আলিপুর, বাহেরচর, নজরপুর, চেঙ্গাতলী এবং দিলারপুর গ্রামের হাজারো নারী-পুরুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে বিগত সময়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া পরিবারের সদস্য এবং এলাকার সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলিপুর এলাকার ইসমাইল কোম্পানি এবং শাহজাহান মনা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ১ যুগে অন্তত অর্ধ-ডজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।

এদিকে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহত ফারুকের স্ত্রী তার স্বামীর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর মত আর কোন সন্তান যেন এই বয়সে বাবা হারা না হয়।

;

ঢাকাসহ ১৩ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রংপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে আগামী তিন দিন দেশের ৮ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই তিন তিনে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

এরমধ্যে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাশাপাশি আগামীকাল সোমবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আর মঙ্গলবার একই সময় পর্যন্ত দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিনেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

;