খোঁড়াখুঁড়িতে রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে টিকাটুলিবাসী



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা খুঁড়ে চলছে ঢাকা ওয়াসা, ডেসকো, ডিপিডিসি ও নগর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম। তবে উন্নয়ন কার্যক্রমের এই খোঁড়াখুঁড়িতে চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী।

নগরবাসীর স্বার্থে ভূগর্ভস্থ পানির সংযোগ, গ্যাসের সংযোগ, বৈদ্যুতিক সংযোগ কিংবা ড্রেনেজ ব্যবস্থা- এ সমস্ত সংযোগের রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি হবে এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু জনগণের প্রশ্ন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নতুন রাস্তা কেটে ফেলতে সময় না নিলেও মেরামত করতে কেন এত সময় নেয়া হয়, আর কেনই বা একই রাস্তা বছরে কয়েকবার করে কাটতে হয়? জনসাধারণের এত ভোগান্তির পরও বছরের পর বছর ধরে এইসব সংস্থাগুলোর মধ্যে কেন হয়না সমন্বয়?

রাজধানী ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় রয়েছে জনপ্রিয় শপিংমল রাজধানী সুপারমার্কেট, চৌধুরী শপিংমল ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিসহ বেশকটি স্থাপনা ও মন্দির। এর ফলে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত- সব শ্রেণির মানুষের আনাগোনায় জমজমাট থাকে পুরো এলাকা। চৌধুরী শপিংমল, রাজধানী সুপার মার্কেট ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির মাঝের সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষসহ, রিকশা, ভ্যান ও ব্যক্তিগত যানবাহনের যাতায়াত। এ কারণে মার্কেটগুলোতেও ক্রেতা উপস্থিতি হতো বেশ। কিন্তু গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ডিপিডিসি ও ওয়াসা'র উন্নয়ন কার্যক্রমের খোঁড়াখুঁড়িতে টিকাটুলির এই সড়কটির বেহাল দশার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই বলে জানিয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ।

সড়কটির বেহাল দশার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই

বুধবার (২২ মে) টিকেটটুলি এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চৌধুরী শপিং মল ও রাজধানী সুপারমার্কেটের সামনের সড়কটি যেন একটি বিধ্বস্ত সড়কের রূপ নিয়েছে। টিকাটুলি মোড় থেকে রাজধানী মার্কেটের দিকে ঢোকার শুরুতেই চোখে পড়বে রাস্তার বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে বিশাল এক গর্ত। সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে চলছে ওয়াসার কাজ। তিন-চারদিন ধরে এখানে কাজ চলছে বলে জানান শ্রমিকরা। 

বিশাল এই গর্তের পাশ দিয়েই ভাঙা রাস্তায় খুব কষ্টে প্যাডেল ছেড়ে শরিরের সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে রিকশা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন চালকরা। এখানেই শেষ নয়। একটু সামনে এগিয়ে গেলেই দেখা যায়, আরও একটি লম্বা বিশাল গর্ত। সেখানে কাজ করছে ডিপিডিসি। গর্তের উপরে এবং আশপাশে রাখা আছে বিশাল বিশাল ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক ক্যাবল। রাস্তার ভালো অংশটুকুতে রাখা হয়েছে গর্তের মাটি, বালি ও শুরকি। বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা। পুরো রাস্তাজুড়েই এই একই অবস্থা। খুব কষ্টে রাস্তায় চলতে হচ্ছে পথচারীদের। 

উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়িতে এই সড়কের বেহাল দশা কবে থেকে এমন প্রশ্নে সেখানকার ব্যবসায়ী মো. শুক্কুর আলম বার্তা২৪. কমকে জানান, রোজার ঈদের পর থেকেই শুরু হয়েছে এই খোঁড়াখুড়ি।

তিনি বলেন, ‘এতদিনের এই খোঁড়াখুঁড়িতে আমাদের ব্যবসা শেষ। কাস্টমার দোকানে আসতে পারে না ব্যবসা হবে কোথা থেকে। রাস্তা এমনভাবে কাটছে যে, গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, মানুষের হাঁটাচলাই অনেক কষ্ট হয়ে যায়। অবস্থা দেথে আমার মনে হচ্ছে কোরবানি ঈদের আগে এই কাজ শেষ হবে না। সরকার উন্নয়ন করুক, উন্নয়নের দরকার আছে কিন্তু সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুক। আমাদের এই কষ্টের কথা কার কাছে বলব।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কারে বলব দুঃখের কথা। না পারি কইতে, না পারি সইতে। দোকানে একদম বেচাকেনা নাই। সারাদিন বইসা বিক্রি হয় ২০০, ২৫০, ৩০০ টাকা। এই টাকা দিয়া কি করমু, দোকানের স্টাফের বেতন দিমু না নিজে চলমু?। আজকে এক মাসের উপরে হইছে রাস্তাটার এই অবস্থা। কাটা ছেঁড়া কইরা কিচ্ছু রাখে নাই। না চলতে পারে গাড়ি-ঘোড়া, আর মানুষের চলার তো কষ্টের শেষ নাই। মানুষ না আসলে আমরা বিক্রি করব কার কাছে?। সরকারের প্রতি অনুরোধ, রাস্তাটা যেন খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করে দেয়।

রাস্তার বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে চলছে নির্মাণ কাজ

এই রাস্তা ধরেই প্রতিদিন যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী মো. মনিরুল ইসলাম। প্রতিবেদককে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখে নিজে এসেই কথা বলেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটা কাটা থাকার কারণে গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে অনেকদূর ঘুরে আমার কর্মস্থলে যেতে হয়। এই রাস্তাটি প্রতি বছর কমপক্ষে ৩/৪ বার কাটা হয়। যেখানে একবারে করলে হয়ে যায় সেখানে এক এক কোম্পানি একেকবার এসে কাটাকুটি করে। দুই মাস আগেই রাস্তাটি কেটেছিল। এখন আবার কেটেছে। আমাদের সাধারণের বলার কিছু নাই। বিভিন্ন সংস্থার গাফিলতির কারণে আমাদের জনসাধারণের এই ভোগান্তি। এই কাজের সাথে সংযুক্ত কর্তৃপক্ষের উচিত এদিকে সুষ্ঠু নজর দেয়া। 

পথচারীরা আরও জানান, ঢাকা ওয়াসা, ডেসকো, ডিপিডিসি ও নগর কর্তৃপক্ষসহ এসব পরিষেবা সংস্থার খোঁড়াখুঁড়িতে বৃষ্টি নামলেই কাদা-পানিতে আরও বেশি নাজেহাল হতে হচ্ছে নগরবাসিকে। ভোগান্তির বোঝা কাধে নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই এই সড়কে আসা-যাওয়া করেন শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ। তাদের দাবি, জনসাধারণের ভোগান্তি এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব পরিষেবা সংস্থার কাজ শেষ করে সড়কটি যেন মেরামত করে দেওয়া হয়। 

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টিকাটুলির এ সড়কের খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসা'র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ও এন্ড এম) প্রকৌ. এ.কে.এম সহিদ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমিতো বলতে পারব না ফিল্ডের অবস্থা। হয়ত কয়েকদিন হয়েছে কেটেছে।’ 

বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদকের কাছে সড়কের ঠিকানা চেয়ে এ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কোথায় সমস্যাটা বলেন, আপনি আমাকে ঠিকানাটা দেন আমি দায়িত্বরতদের বলে দিচ্ছি। তারা রেক্টিফাই করে ঠিক করে দিবে। অথবা আমাকে জানালে আমি আপনাকে বিস্তারিত জানিয়ে দিব এবং সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারব।’

এর আগে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে গণমাধ্যমে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, এসব প্রকল্প আগে থেকেই নেওয়া হয়ে থাকে, জুনের আগেই এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাড়া থাকে। ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে কাজগুলো করতে দেরি হয়ে যায়। তবে যেসব এলাকায় জনদুর্ভোগ বেশি হচ্ছে সেসব এলাকার কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। নগরের উন্নয়ন কাজের জন্য নগরবাসীকে সাময়িক একটু ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

   

সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হয়নি চামড়া, লোকসানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিকিকিনি হচ্ছে না পশুর চামড়া। শনিবার (২২জুন) ঈদ পরবর্তী ১ম হাটে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ টাকা ফুট দরে। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে পিচ প্রতি ১৫/২০ টাকায়। এতে এবারো লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশু চামড়ার হাট যশোরের রাজারহাটে খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অন্তত ১৫ জেলার বিক্রেতা এসেছেন। টানা কয়েক বছরের মন্দা কাটিয়ে কিছুটা লাভের আশায় হাটে এসেছিলেন তারা। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।


মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হাটে ৮/১০ মণ ওজনের লবণযুক্ত গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকায়। আর ছোট ও মাঝারি গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩শ' থেকে ৬শ' টাকায়। মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। এতে খরচ-খরচা দিয়ে লাভ থাকছে না বলে দাবি বিক্রেতাদের।

খুলনার কয়রা থেকে আসা চামড়া বিক্রেতা আব্দুল মমিন বলেন, ব্যবসায়ী ছোট আকারের গরুর ২২ পিস চামড়া তিনি বিক্রি করেছেন মাত্র এক হাজার দুই শ’ টাকায়। অথচ ওই চামড়ার কেনা দামই ছিল চার হাজার চার শ’ টাকা। তার উপর লবণ, মজুরি ও পরিবহন খরচ রয়েছে। এভাবে একজনও ক্ষুদ্র বিক্রেতা পাওয়া যায়নি, যিনি লোকসানের কথা বলেননি।

অপর চামড়া বিক্রেতা অভয়নগরের মুকুন্দ বিশ্বাস বলেন, তার প্রতি পিস চামড়ায় গড়ে দুই শ’ টাকা করে লোকসান হয়েছে। তিনি বলেন গরুর চামড়া বড় পিস ৯০০ টাকা করে ও মাঝারিগুলো ৫০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও ছাগলের চামড়া বিক্রি করেছেন ১০ টাকায়। অথচ একটি চামড়ায় লবণ গেছে ৩০ টাকার।


রাজারহাটের আড়তদার শেখ হাসানুজ্জামান হাসু বলেন, ভালো চামড়ার ভালো দাম। এবার আবহাওয়ার কারণে চামড়ার মান খারাপ। তাছাড়া, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া ঠিকমতো কিনতে পারে না। অনেক সময় তারা চামড়া বেশি দামে কিনে ফেলেন।

বৃহত্তর যশোর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর বলে লোকসান হচ্ছে। এবার দাম ভালো। আর লোকসান এড়াতে বিদেশে সরাসরি কাঁচা চামড়া রপ্তানি করতে হবে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবে, সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারবে। যশোরে এবার দেড় লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ব্যবসায়ী সমিতি।

;

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাইসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ট্রাক ও বাইসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের ভেড়ামারা ভাঙাপুল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুস সালাম ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলা হাবাসপুর গ্রামের হারা মালিথার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাইসাইকেল যোগে আব্দুস সালাম আল্লারদর্গা যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ট্রাকটি আটকের চেষ্টা করে। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ঘটনার পর দ্রুত ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। তবে সিসি ক্যামেরায় দেখে ট্রাকটি শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।

অপরদিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় সিএনজির সাথে একটি রডবোঝাই শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

;

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষি জমিতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে বুলবুল আহমেদ (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার সুন্যা উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বুলবুল আহমেদ ওই গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, বুলবুল সকালে সুন্যা উত্তরকোড় চকে ধানক্ষেতে কাজ করতে যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে বুলবুল বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেন। এসময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিহতের পরিবারটি।

নিহতের চাচাতো ভাই স্কুলশিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে আমার ভাই ধানক্ষেত পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন। পরে বজ্রপাত শুরু হলে তিনি বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেয়। এসময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রায় এক ঘণ্টা পর খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যাত্রীরা বলছেন, ঈদ শেষে স্বজনদের রেখে কর্মস্থলে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘাট এলাকায় ভিড় থাকলেও স্বস্তির কথাও জানান তারা।

শনিবার (২২ জুন) বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহনের। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে থাকে ঘাট এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বেড়ে যায়। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় স্বস্তি নিয়ে কর্মস্থলের দিকে ঘাট পার হচ্ছেন যাত্রীরা।

রাজিব মোল্লা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ কাটালাম। খুব ভালো লাগল। এখন তাদের রেখে আসতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে, না গেলে চাকরি থাকবে না। ঘাটে এসে কোন ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছি এটা খুবই সৌভাগ্যের।’

রানা শেখ নামের অপর এক যাত্রী জানান, ‘এবার ঘাটে কোনো ঝামেলা হয়নি। ভাড়াটা বেশি নিয়েছে। তবে রাস্তা ফাঁকা। সবমিলিয়ে ভালোভাবে আসতে পেরেছি। ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।’

জানা যায়, এবারের ঈদে যাত্রীদের নিরাপদে নদী পার করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহন এবং প্রাইভেটকারের চাপ বেড়েছে। তবে এই নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, তাদের বহরে থাকা ১৮টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে চলাচল রয়েছে। তবে ঘাটে কিছু যানবাহনের সিরিয়াল রয়েছে। তবে যাত্রীরা স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছে।

;