নজরুলের বলিষ্ঠ লেখনীতে মানুষ মুক্তি-সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবি নজরুল তাঁর প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনও প্রাসঙ্গিক।

আগামীকাল শনিবার (২৫ মে) ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘কবি নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতার সংগ্রাম ও কর্মে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”

তিনি বলেন, উনবিংশ শতাব্দীর বিদায় এবং বিংশ শতাব্দীর আগমন লগ্নে নজরুলের জন্ম। তখন বাংলাদেশসহ গোটা উপমহাদেশ পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি। একদিকে দারিদ্র্য অন্যদিকে দেশমাতার পরাধীনতা কবিকে মুক্তির আকাক্সক্ষায় পাগলপ্রায় করে তুলেছিল। কবি অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেন। রাজদ্রোহের অপরাধে কারাবরণ করেন। কবিতাকে বেছে নেন প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কবি নজরুলের লেখনীতে ফুটে ওঠে আর্ত-পীড়িত, ব্যথিত ও উপেক্ষিত মানব মনের কথা। কবি নজরুলের আজীবন সাধনা ছিল সমাজের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এবং মানুষের সামাজিক মর্যাদার স্বীকৃতি অর্জন। তিনি অন্যায়, অসত্য, নির্যাতন-নিপীড়ন, নানামাত্রিক অসাম্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যুগে যুগে মানুষকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর কাছে ধর্ম, গোত্র, জাত-কুল, ধনী গরিব সব শ্রেণির মানুষ ছিল সমান। তাঁর গানে প্রেম ও প্রকৃতি অপরূপ রূপে ধরা দিয়েছে। তাই কবি নজরুল একাধারে দ্রোহ ও মানবতার কবি; সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার কবি; সত্য, সুন্দর, কল্যাণ, প্রেম ও হৃদয়াবেগের কবি।

তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক, কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল তাঁর স্বল্পকালীন সৃষ্টিশীল জীবনে রচনা করেছেন প্রেম, প্রকৃতি, বিদ্রোহ ও মানবতার অনবদ্য সব কবিতা, গান, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং সঙ্গীত ও সংস্কৃতিতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান স্বাতন্ত্র্য মহিমায় সমুজ্জ্বল। কবি নজরুলের সাহিত্য ও সঙ্গীত শোষণ, বঞ্চনা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে মুক্তির দীক্ষাস্বরূপ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নজরুলের ক্ষুরধার লেখনীর স্ফুলিঙ্গ যেমন ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, তেমনি তাঁর বাণী ও সুরের অমিয় ঝর্ণাধারা সিঞ্চিত করেছে বাঙালির হৃদয়কে। তিনিই প্রথম বাঙালি কবি যিনি ব্রিটিশ অধীনতা থেকে ভারতকে মুক্ত করার জন্য স্বরাজের পরিবর্তে পূর্ণ স্বাধীনতার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানবতার জয়গান গেয়েছেন, নারীর অধিকারকে করেছেন সমুন্নত।

সরকার প্রধান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কবির প্রতি একান্ত অনুরক্ত। স্বাধীনতা পরবর্তী পর্যায়ে তাঁরই ঐকান্তিক আগ্রহে কবিকে কলকাতা হতে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে অধিষ্ঠিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবির জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা নজরুলের সৃষ্টিসমূহের সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নজরুল জাদুঘর সংস্কার ও মেরামত, নজরুল অ্যালবাম প্রকাশ, নজরুল সঙ্গীতের সিডি প্রকাশ, শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুল সঙ্গীতের প্রশিক্ষক তৈরির বিশেষ কোর্স চালু এবং নজরুলের অপ্রচলিত গানের সুর সংগ্রহ, স্বরলিপি প্রণয়ন, সংরক্ষণ, প্রচার ও নবীন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নজরুল সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, কুমিল্লায় নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র স্থাপন, ঢাকাস্থ নজরুল ইনস্টিটিউটের ১১তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় বিদ্যমান ভবনের সংস্কার করেছি। আমাদের সরকারের এসকল কার্যক্রম নজরুল-চর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে যা অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়, সমতাভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথকে প্রশস্ত করবে বলে আমি আশা করি।

তিনি বলেন, মহান মানবতাবাদী কবি নজরুলের সংগ্রামশীল জীবন এবং তাঁর অবিনাশী রচনাবলি বাঙালি জাতির জন্য অন্তহীন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের কর্ম, চিন্তা ও মননে কাজী নজরুল ইসলামের অবিনশ্বর উপস্থিতি সকল কূপম-কতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

   

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আষাঢ়ের শুরু থেকেই বৃষ্টি ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বুধবার হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। এতে করে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন দিনের শুরুতেই পথে নামা কর্মজীবী মানুষ।

সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিলে পৌনে ১০টায় শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। অফিস আওয়ারে বৃষ্টি হওয়া পথেই ভিজতে হয়েছে অনেককেই। কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেলের আরোহীরা। তাদেরকে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের নিচে, যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিতে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় বাইক দাঁড় করে রেখে কোন দোকানে ঠাঁই নিয়েছেন।


রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, হাতিরঝিল, মিরপুর, গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বৃষ্টির পরিমাণ কোথাও কম আবার কোথাও বেশি শোনা গেছে।

এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ প্রায় সব বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবােরর (২৬ জুন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৩৫ পিস ইয়াবা, ৬২ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইন, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির ৪ আসামির পলায়ন, পরে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারাগারে কনডেম সেল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদি জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।

তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি।

পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকিয়ে বাহিরে বের হয়। ভোর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম সংবাদ পেয়ে শহরে তল্লাশী শুরু করে। ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে গ্রেফতারকৃতদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াাল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

;

কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল রাইসমিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে একটি রাইসমিল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) উপজেলার সাপ্তাহিক হাট বাজারের শেষ মুহূর্তের রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের আন্ধারমানিক নদীর তীরে মৌডুবি ট্রলার ঘাট এলাকার সিরাজুল হক মুন্সির ‘তানভির রাইসমিলে’ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চাল, হলুদ-মরিচের গুঁড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে গেছে।

কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। মিল মালিক সিরাজুল হক মুন্সি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;