আশুলিয়ায় রেস্টুরেন্ট থেকে ২২ জামায়াত নেতাকর্মী গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠক করছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ২২ জনকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে প্রায় ১০ মাস আগের একটি নাশকতার মামলায় তাদের সম্পৃক্ততা আছে।

শনিবার (২৫ মে) সকালে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকার ফুড প্লানেট রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর থানার নজরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৩), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার আব্দুল মান্নান খানের ছেলে জলিল খান (৪৩), টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার বাদশা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২), বরিশালের মুলাদি থানার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হাসান (৩৫), জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার নাজিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫১), লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার মো. মুসলীমের ছেলে সোহেল রানা (২৮), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার হাবিবুর রহমানের ছেলে জিলুর রহমান (৪২), বগুড়া জেলার ধুনট থানার আব্দুল কাশেমের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে আব্দুল করিম (২৯), ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার মোহাম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে মোজাম্মেল হক (৪০), সিরাজগঞ্জে জেলার চৌহালী থানার আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হাসান (৩৯), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৬০), মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার আব্দুর রহমানের ছেলে আবুল বাশার ওরফে মেগা (৪৩), নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার লুৎফর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান রিপন (৩৮), জয়পুরহাট জেলার পাচবিবি থানার শাহাজানের ছেলে নাহিদ হাসান (২৯), নীলফামারীর ডোমার থানার দারাজ উদ্দিনের ছেলে নুরুন নবী(৩৮), দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালি থানার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে মেরাজ হোসেন ওরফে মুরাদ (৩৪), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার মৃত ওমেদ আলীর ছেলে মো. সেলিম হোসেন (৪০), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার গুলজার রহমানের ছেলে ফিরোজ কবির (৩৫), বরিশাল জেলার বন্দর থানার আব্দুর রউফ হাওলাদারের সিদ্দিকুর রহমান(৩৮), যশোর চৌগাছা থানার মৃত আবু জাফরের ছেলে মো. আয়াতুল্লাহ (৩৬), বরিশাল সদরের চরকালামতি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে জসিম উদ্দীন জোমাদ্দার (৪১), পাবনা জেলার সাথিয়া থানার আব্দুল জলিল বিশ্বাসের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩২)। তারা আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা ওই রেস্টুরেন্টে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে জামায়েত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান সহ জামায়াতের আটককৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ও কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

সড়কে মিছিল করে গাড়ি ভাঙচুরের খবরে উপস্থিত হয় পুলিশ। তখন পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায় তারা। সেদিনের ওই ঘটনায় আহত হয় ২ পুলিশ সদস্য। পরদিন ১ আগস্ট আশুলিয়া থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছিল। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের সেই ঘটনার সাথেই জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, গত বছরের নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের জন্য তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

   

এমপি আনার হত্যা: আসামি ধরতে পাহাড়ে হেলিকপ্টারে অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় ঘাতক দলের অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে ধরতে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ওই অভিযান চলছে।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজেই সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

;

পাহাড়ে নেই আওয়ামী লীগের তৎপরতা, আছে অপহরণ আতঙ্ক



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাজস্থলী থানা, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজস্থলী থানা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ের একের পর এক অপহরণ ও গুম হয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গত কয়েক বছরে শুধুমাত্র রাজস্থলী উপজেলাতেই একের পর এক অপহরণ, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের অন্তত অর্ধডজন নেতাকর্মী।

অপহরণের স্বর্গরাজ্য এই উপজেলায় গুলি করে হত্যাসহ অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর কয়েক মাস/বছরেও ফিরে আসেনি রাজস্থলী উপজেলার প্রথম সারির আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্রলীগ নেতা, যুবলীগ কর্মীসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী। শুধুমাত্র আওয়ামী-রাজনীতি করার কারণে আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে অপহরণ-গুম খুনের শিকার হয়েছেন।

আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে সর্বশেষ রোববার ২৩ জুন অপহরণের শিকার হয়েছেন রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হ্লা থোয়াই অং মারমা ওরফে গঞ্জ মারমা। তিনি বাঙ্গালহালিয়াস্থ কাকড়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা।

রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



স্থানীয় কারবারি সুই ক্যাচিং মারমা জানিয়েছেন, রোববার বিকেলে নিজবাড়ি থেকে বের হয়ে জরুরি কাজে কাকড়াছড়ি বাজারে আসার সময় হ্লা থোয়াই অং ওরফে গঞ্জ মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ভেতরের পার্টির লোকজন। এখনো পর্যন্ত তাকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং কী অবস্থায় আছেন তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ মেলেনি।

কারবারি জানান, অপহৃতের এক ছেলে মালয়েশিয়ায় আর এক মেয়ে থাকে চট্টগ্রামে। অপহৃতের স্ত্রী অসহায় অবস্থায় আছে, তাই থানায় কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি। এই ঘটনার পরপর উক্ত এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আনসারুল করিম জানিয়েছেন, আমরা ঘটনা শোনার পরপরই অপহৃতের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি; কিন্তু তারা কেউই অভিযোগ দেয়নি। তারপরও পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত সেটি বের করার চেষ্টা করছে।

স্থানীয়রা জানায়, রাজস্থলী উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলতি ২০২৪ সালের ৭ এপ্রিল সকালে বাঙ্গালহালিয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ক্যাচিংহ্লা মারমা (৩৪) ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইখ্যাইমং মারমাকে (৩৬) বাজারে আসার পথে অপহরণ, ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে ঘিলাছড়ির আমতলীপাড়া থেকে রাজস্থলী উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত তাদের খোঁজ পায়নি পরিবার ও প্রশাসন।

২০২৩ সালের ১২ জুন সোমবার গাইন্দ্যা ইউপির লংগদুপাড়া থেকে অস্ত্রের মুখে দুই ভাইসহ তিন শ্রমিককে অপহরণ, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর সকালের দিকে মংচিংসা মারমাকে অপহরণ, ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারিতে গবছড়ায় গুলি করে হত্যা করা হয় বাসিমং মারমাকে। ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর বুধবার ভোর রাতে কাকড়াছড়িতে অংসু অং মারমাকে গুলি করে হত্যা, ২০১৯ সালের ১৯ মে বাঙ্গালহালিয়ার ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ক্য হ্লা চিং মারমাকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।


এদিকে, দীর্ঘ তিন মেয়াদে ক্ষমতার থাকার পরেও রাজস্থলীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কচুকাটার মতো করে অপহরণ করে নিয়ে গুম করে ফেলা, প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করার মতো ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটলেও দলটির উপজেলা বা জেলার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের শক্ত পদক্ষেপ না নেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলের উপজেলা সভাপতির সাথে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনের ব্যক্তিগত আঁতাত থাকায় তিনি অপহৃত নেতাকর্মীদের বিষয়ে আন্দোলনে নামতে আগ্রহী নন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকেলে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে ফোন করবেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন।

রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বলেন, রাজস্থলী উপজেলায় আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের করুন অবস্থা। আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে পুরো রাজস্থলীবাসী জিম্মি মন্তব্য করে পুচিংমং বলেন, একাধিকবার আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরেও উপজেলা সদরের এক কিলোমিটার সীমানার মধ্যেই চলাফেরা করতে হয়। প্রাণনাশের ভয়ে এর বাইরে যেতে পারি না।

তিনি বলেন, সাধারণ নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই সন্ত্রাসীদের হাতে মারধরে পাশাপাশি অপহরণ গুমের শিকার হলেও দলের পক্ষ থেকে একদিন বিক্ষোভ মিছিল বা শোক সমাবেশ করেই দায়িত্ব শেষ করা হয়। এরপর আর কোনো খবর কেউই রাখে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের পাহাড়ি সন্তানরা রাজস্থলী আওয়ামী লীগের পতাকাতলে আসবে না এবং দল অদূর ভবিষ্যতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এদিকে, রাজস্থলীতে একের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অপহরণ-গুম খুনের শিকার হওয়ার পরেও সংগঠনটির উপজেলা নেতৃবৃন্দ ধারাবাহিক কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তৃণমূল নেতাকর্মীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মূছা মাতব্বর বলেন, আমাদের পুরো বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে জানানো হয়নি। এই বিষয়ে আমি আমাদের দলীয় সভাপতির সাথে আলাপ করে করণীয় নির্ধারণ করব।

;

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত হাবিবুর রহমান (৩৫) একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর। ব্যক্তিগত জীবনে হাবিবুর রহমান বিবাহিত এবং দুই সন্তানের পিতা। পাশাপাশি বাবা-মা, এক ছোট ভাই ও স্ত্রী সন্তান সহ ৭ সদস্যের ঐ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে তার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখা যায় সেখানে মাছ ধরার জাল ছিলো। সেই জালের দড়ি দিয়েই তাকে ঝুলতে দেখা গেছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, নিহত হাবিবুর রহমান পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ থাকায় ব্যয়ের বোঝা বেড়ে যায়। এছাড়াও তার ছোট ভাইও তার উপর নির্ভরশীল। দিনমজুরের কাজ করে তেমন আয়ও হচ্ছিলো না। দীর্ঘদিন থেকে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন। আজ ভোরে মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে জাল নিয়ে বের হলে কিছুক্ষণ পরেই তাকে একটি নালার উপরে গাছের সাথে জালের দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় একটি অপমৃত্যুর মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

সাতক্ষীরায় ভয়াবহ লোডশেডিং, প্রচণ্ড গরমে নাকাল মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
লোডশেডিংয়ে কুপি জ্বালিয়ে রান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

লোডশেডিংয়ে কুপি জ্বালিয়ে রান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলাবাসী। একদিকে তীব্র তাপদাহ আর অন্যদিকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার ২৪ লক্ষাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লুকোচুরিতে তাদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে রাতে প্রচণ্ড গরমে ঘুমাতে পারছেন না শিশু এবং বয়স্ক মানুষজন।

অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সাতক্ষীরা শহরের সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারি জানান, জেলায় তীব্র তাপদাহ চলছে, তার উপর ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষজন নাকাল হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। তাছাড়া আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এখন যদি শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়াশুনা করতে না পারে তাহলে পরীক্ষাতে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে তাদের।

পার্শ্ববর্তী কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, অসহনীয় গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। গরমের যন্ত্রণায় রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে মানুষজন রাস্তায় রাস্তায় বেরোচ্ছেন।

সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক গৌরব দাশ বলেন, বিসিকে উৎপাদনশীল ৪২টি কারখানা রয়েছে। গত তিন দিন যাবত ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এসব শিল্প কারখানাগুলোতে মারাত্মকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তিনি দ্রুত বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মঞ্জরুল আকতার জানান, জেলায় তাদের ৬ লাখ ২৪ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১১০ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৬৮ মেগওয়াট। ঘাটতি থাকছে ৪২ মেগাওয়াট। ফলে গ্রাহকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রহমান জানান, তার অধিনে সাতক্ষীরাতে ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১৫ মেগওয়াট। এতে করে ঘাতটি থাকছে ৪ মেগাওয়াট। শহরের ১১টি ফিডার রয়েছে। যা থেকে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং ওঠানামা করা হয়। তবে কবে নাগাত বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

;