ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শ্যামনগরে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নদ-নদী ও খালে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ।

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে জোয়ারের সময় শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় জুবায়ের মাহমুদ জানান, উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই ঝড়ো বাতাস বইছে। দুপুরে জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে নদী।

গাবুরার হুদা মালি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে খোলপেটুয়া এবং কপোতাক্ষ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গাবুরার পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

ইতোমধ্যে শ্যামনগর উপকূলের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ি চুষা নদীর চরে জেলেপাড়ার অধিকাংশ বসত ঘরের আঙিনায় জোয়ারের পানি উঠার খবর পাওয়া গেছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম বলেন, উপজেলায় ১৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে বি‌ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আমরা ঘূ‌র্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেখে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব। তবে সবাইকে বলবো, কেউ যেন ঝুঁকি নিয়ে অনিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন।

এদিকে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রে‌ড‌ ক্রিসেন্টসহ বি‌ভিন্ন বেসরকা‌রি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী, ফায়ার সা‌র্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানা গেছে।‌

শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের টিমলিডার আনিসুর রহমান মিলন বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমেলের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের ৭০ জন সদস্যের একটি শক্তিশালী টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের জন্য শ্যামনগর উপজেলার জন্য যুব রেড ক্রিসেন্টের হটলাইন চালু করা হয়েছে যার নং- ০১৩০৯-৯৩৫৪১২

   

আলু, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু/ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আলু, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ মতামত জানান।

দেশে উৎপাদিত আলু বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন কি না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলু-পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে। এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দামের যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখব, সেটি বার বার বলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, যেকোনও প্রাইস নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি, তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যে মূল্য আছে, সে মূল্যটাকে আমাকে মূল্য হিসেবে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারব না যে, পেঁয়াজের দাম এতো। অন্তত আমি পারব না। সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমার কাছে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম জানা নেই। আমার জানা আছে যদি দাম বেড়ে যায়... তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব।

;

এমপি আনার হত্যা: আসামি ধরতে পাহাড়ে হেলিকপ্টারে অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হেলিকপ্টারে আনার হত্যার আসামি খুঁজছেন ডিবির হারুন

হেলিকপ্টারে আনার হত্যার আসামি খুঁজছেন ডিবির হারুন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় ঘাতক দলের অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে ধরতে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ওই অভিযান চলছে।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজেই সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

;

পাহাড়ে নেই আওয়ামী লীগের তৎপরতা, আছে অপহরণ আতঙ্ক



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাজস্থলী থানা, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজস্থলী থানা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ের একের পর এক অপহরণ ও গুম হয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গত কয়েক বছরে শুধুমাত্র রাজস্থলী উপজেলাতেই একের পর এক অপহরণ, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের অন্তত অর্ধডজন নেতাকর্মী।

অপহরণের স্বর্গরাজ্য এই উপজেলায় গুলি করে হত্যাসহ অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর কয়েক মাস/বছরেও ফিরে আসেনি রাজস্থলী উপজেলার প্রথম সারির আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্রলীগ নেতা, যুবলীগ কর্মীসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী। শুধুমাত্র আওয়ামী-রাজনীতি করার কারণে আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে অপহরণ-গুম খুনের শিকার হয়েছেন।

আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে সর্বশেষ রোববার ২৩ জুন অপহরণের শিকার হয়েছেন রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হ্লা থোয়াই অং মারমা ওরফে গঞ্জ মারমা। তিনি বাঙ্গালহালিয়াস্থ কাকড়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা।

রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



স্থানীয় কারবারি সুই ক্যাচিং মারমা জানিয়েছেন, রোববার বিকেলে নিজবাড়ি থেকে বের হয়ে জরুরি কাজে কাকড়াছড়ি বাজারে আসার সময় হ্লা থোয়াই অং ওরফে গঞ্জ মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ভেতরের পার্টির লোকজন। এখনো পর্যন্ত তাকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং কী অবস্থায় আছেন তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ মেলেনি।

কারবারি জানান, অপহৃতের এক ছেলে মালয়েশিয়ায় আর এক মেয়ে থাকে চট্টগ্রামে। অপহৃতের স্ত্রী অসহায় অবস্থায় আছে, তাই থানায় কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি। এই ঘটনার পরপর উক্ত এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আনসারুল করিম জানিয়েছেন, আমরা ঘটনা শোনার পরপরই অপহৃতের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি; কিন্তু তারা কেউই অভিযোগ দেয়নি। তারপরও পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত সেটি বের করার চেষ্টা করছে।

স্থানীয়রা জানায়, রাজস্থলী উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলতি ২০২৪ সালের ৭ এপ্রিল সকালে বাঙ্গালহালিয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ক্যাচিংহ্লা মারমা (৩৪) ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইখ্যাইমং মারমাকে (৩৬) বাজারে আসার পথে অপহরণ, ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে ঘিলাছড়ির আমতলীপাড়া থেকে রাজস্থলী উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত তাদের খোঁজ পায়নি পরিবার ও প্রশাসন।

২০২৩ সালের ১২ জুন সোমবার গাইন্দ্যা ইউপির লংগদুপাড়া থেকে অস্ত্রের মুখে দুই ভাইসহ তিন শ্রমিককে অপহরণ, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর সকালের দিকে মংচিংসা মারমাকে অপহরণ, ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারিতে গবছড়ায় গুলি করে হত্যা করা হয় বাসিমং মারমাকে। ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর বুধবার ভোর রাতে কাকড়াছড়িতে অংসু অং মারমাকে গুলি করে হত্যা, ২০১৯ সালের ১৯ মে বাঙ্গালহালিয়ার ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ক্য হ্লা চিং মারমাকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।


এদিকে, দীর্ঘ তিন মেয়াদে ক্ষমতার থাকার পরেও রাজস্থলীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কচুকাটার মতো করে অপহরণ করে নিয়ে গুম করে ফেলা, প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করার মতো ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটলেও দলটির উপজেলা বা জেলার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের শক্ত পদক্ষেপ না নেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলের উপজেলা সভাপতির সাথে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনের ব্যক্তিগত আঁতাত থাকায় তিনি অপহৃত নেতাকর্মীদের বিষয়ে আন্দোলনে নামতে আগ্রহী নন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকেলে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে ফোন করবেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন।

রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বলেন, রাজস্থলী উপজেলায় আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের করুন অবস্থা। আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে পুরো রাজস্থলীবাসী জিম্মি মন্তব্য করে পুচিংমং বলেন, একাধিকবার আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরেও উপজেলা সদরের এক কিলোমিটার সীমানার মধ্যেই চলাফেরা করতে হয়। প্রাণনাশের ভয়ে এর বাইরে যেতে পারি না।

তিনি বলেন, সাধারণ নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই সন্ত্রাসীদের হাতে মারধরে পাশাপাশি অপহরণ গুমের শিকার হলেও দলের পক্ষ থেকে একদিন বিক্ষোভ মিছিল বা শোক সমাবেশ করেই দায়িত্ব শেষ করা হয়। এরপর আর কোনো খবর কেউই রাখে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের পাহাড়ি সন্তানরা রাজস্থলী আওয়ামী লীগের পতাকাতলে আসবে না এবং দল অদূর ভবিষ্যতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এদিকে, রাজস্থলীতে একের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অপহরণ-গুম খুনের শিকার হওয়ার পরেও সংগঠনটির উপজেলা নেতৃবৃন্দ ধারাবাহিক কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তৃণমূল নেতাকর্মীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মূছা মাতব্বর বলেন, আমাদের পুরো বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে জানানো হয়নি। এই বিষয়ে আমি আমাদের দলীয় সভাপতির সাথে আলাপ করে করণীয় নির্ধারণ করব।

;

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত হাবিবুর রহমান (৩৫) একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর। ব্যক্তিগত জীবনে হাবিবুর রহমান বিবাহিত এবং দুই সন্তানের পিতা। পাশাপাশি বাবা-মা, এক ছোট ভাই ও স্ত্রী সন্তান সহ ৭ সদস্যের ঐ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে তার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখা যায় সেখানে মাছ ধরার জাল ছিলো। সেই জালের দড়ি দিয়েই তাকে ঝুলতে দেখা গেছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, নিহত হাবিবুর রহমান পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ থাকায় ব্যয়ের বোঝা বেড়ে যায়। এছাড়াও তার ছোট ভাইও তার উপর নির্ভরশীল। দিনমজুরের কাজ করে তেমন আয়ও হচ্ছিলো না। দীর্ঘদিন থেকে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন। আজ ভোরে মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে জাল নিয়ে বের হলে কিছুক্ষণ পরেই তাকে একটি নালার উপরে গাছের সাথে জালের দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় একটি অপমৃত্যুর মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

;