আনারের মৃত্যু: এখনই শূন্য হচ্ছে না সংসদীয় আসন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও তাকে আনুষ্ঠানিক মৃত ঘোষণা করা হয়নি। তাই এই মুহূর্তে ওই সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করার সুযোগ নেই। তবে জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট থেকে ওই আসনের সব তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ৫ জুনের অধিবেশনের আগেই বিষয়টি সুরাহা করা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে সংসদের কোন আসন খালি হলে সংসদ সচিবালয় থেকে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ওই আসনটি শূন্য (মৃত্যুর তারিখ থেকে) ঘোষণা করা হয়। পরে গেজেটের কপি পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে। নির্বাচন কমিশন ওই শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের আয়োজন করে। তবে অন্য মৃত্যুর ঘটনা ও আনোয়ারুল আজীম আনারের ‘মৃত্যুর’ ঘটনা এক নয়। অতীতে যেসব সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, দাফন বা সৎকার হয়েছে। কিন্তু ভারতে ‘হত্যাকাণ্ডের’ শিকার হওয়া আনোয়ারুল আজীম আনারের মৃত্যুর ঘটনাটি কোন সোর্স থেকে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মৃতদেহ এখনো পাওয়া যায়নি, এমনকি কবে মারা গেছেন, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অবশ্য আনারের হত্যাকাণ্ডের খরব প্রকাশের দিনই (২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন। এমনকি আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল ভারত সরকার বা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ওই সংসদ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। এ অবস্থায় ওই সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করবে সংসদ সচিবালয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হলে সংসদ থেকে ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, সংসদ সদস্য আনারের ঘটনাটি ব্যতিক্রম। অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের সামনে কোন নজির নেই। কার্যপ্রণালী বিধিতেও এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই। এজন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠেয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের আগেই একটি সুারাহা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া তখনকার সংসদ সদস্য শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের প্রসঙ্গ টেনে স্পিকার বলেন, তাদের হত্যার বিষয়টি দৃশ্যমান ছিল। তাদের ডেডবডি পাওয়া গেছে এবং জানাজা হয়েছে। সেই হিসেবে তাদের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন সরকারের পক্ষ না জানালেও সংসদ নিশ্চিত হয়েছিল তারা মারা গেছেন। কারণ সবই চোখের সামনে ঘটেছিল। কাজেই ওই ঘটনার সঙ্গে এটা মেলানোর সুযোগ নেই।

স্পিকার আরও বলেন, এখানে সমস্যা হচ্ছে, তার দেহ পাওয়া যায়নি। তাই এখনো আমরা অপেক্ষা করছি। আমাদের কোন একটা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে হবে। সেটা হয়তো উনার মৃত্যুসনদ বা কোন কাগজ আমাদের কাছে আসতে হবে, যেখানে প্রমাণ হবে উনি মারা গেছেন। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আনারের আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা ও আলোচনা চলছে। আগামী ৫ জুন সংসদ অধিবেশনের আগে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানান স্পিকার।

এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা না হলেও জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট থেকে ওই আসনের তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। সংসদের ওয়েবসাইটে জাতীয় আসন, সংসদ সদস্যের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, তার নাম, রাজনৈতিক দলের বা স্বতন্ত্র নাম ও নির্বাচনী এলাকা উল্লেখ থাকে। নামের ওপর ক্লিক করলে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাসহ আরও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে ওই আসনের সংসদ সদস্য সম্পর্কে এই মুহূর্তে কোন তথ্য নেই।

   

রংপুরে অটো ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে বিপাকে যাত্রীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দশ লাখ মানুষের নগরী রংপুর সিটি করপোরেশন। নগর কেন্দ্রীক যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত অটো ইজিবাইক। গত ১৬ জুন থেকে মাইকিং করে ৫ টাকার ভাড়া ১০টাকা করেছে অটোরিকশা মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। নিম্ন মধ্যবিত্তদের যাতায়াতের একমাত্র বাহনের ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা চলছে প্রতিনিয়ত।

নগরীতে অটো ভাড়া বৃদ্ধিতে চলাচল করা যাত্রীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। এ নিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে লেগেই আছে বাকবিতণ্ডা। চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ দ্রুত ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, নগরীতে অটো চালকদের প্রায় অর্ধডজন সংগঠন রয়েছে। সেসব সংগঠন যৌথভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাদের মধ্যে একটি সংগঠন ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে বিষয়ে সেই সংগঠনের ৩-৪ জন সংবাদ সম্মেলনও করে। তারপর থেকেই চালকরা অটোতে উঠলেই ৫ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা।

অটোর সামনে স্টিকার লাগিয়ে ভাড়া দ্বিগুণ হওয়া নিয়ে চালকরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইসেন্সের দাম বেশি, গাড়ির জমা দিতে হচ্ছে বেশি, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি সবমিলিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন থেকে ৭-৮ হাজার অটোরিকশা ও ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া হলেও প্রতিনিয়ত চলে প্রায় ৫০ হাজার অটো।

আধা কিলোমিটার এমনকি তার কম দূরুত্বেও গুণতে হচ্ছে ১০ টাকা। এ নিয়ে প্রতিদিন নগরীর কামালকাছনা মোড়, ঠিকাদারপাড়া মোড়, কাচারি বাজার, সিটি বাজার মোড় এবং পায়রা চত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ে চালক ও যাত্রীদের মাঝে বাকবিতণ্ডের দৃশ্য চোখে পড়ছে। কেউ কেউ ৫ টাকা চালকের পাশে রেখে চলে যেতে ধরলে শুরু হচ্ছে কলহ। অটো চালকদের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি এখন সব মহলেই আলোচনার পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, অটোরিকশা চালকদের ৩টি সংগঠন তারা আমাকে আবেদন দিয়েছিলেন। ঘরোয়া পরিবেশে অটো ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি তারা আমাকে বলেছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানো হয়নি আমরা ভাড়া বাড়াতে চাচ্ছি৷ তখন বলা হয়েছে আপনারা সামঞ্জস্য রেখে এক কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে হলে ১০ টাকা ভাড়া নিতে পারেন। যেহেতু ১ কিলোমিটারের নিচেও ১০ টাকা নেয়া হচ্ছে বিষয়টি দেখছি।

প্রায় সাতশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই নগরীতে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারণে প্রতিদিন প্রায় চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াত রয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির কারণে তাদেরও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

;

'ট্রি অব পিস' ইউনেস্কোর আনুষ্ঠানিক কোনো পদক নয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, Hedva Ser ভাস্কর্য, বাকু, আজারবাইজান

ছবি: সংগৃহীত, Hedva Ser ভাস্কর্য, বাকু, আজারবাইজান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ট্রি অব পিস’ আনুষ্ঠানিক কোনো পদক নয় বলে ইউনেস্কোর সদর দফতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) ইউনেস্কোর সদর দফতরের বহির্বিশ্ব সম্পর্কবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ওহেমেং বোমাহ এক চিঠিতে জানান, ‘ট্রি অব পিস’ ইউনেস্কোর কোনো ‘অফিসিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ (আনুষ্ঠানিক পদক) নয়। এই পদকের ইউনেস্কোর কোনো মর্যাদাও নেই।

তিনি আরো জানান, ‘ট্রি অব পিস’ (Tree of Peace) ইউনেস্কোর ‘গুড উইল অ্যাম্বাসেডর’ হেডভা সের-এর একটি ভাস্কর্য।

চিঠিতে জানানো হয়, আজারবাইজানের বাকু ফোরাম ইউনেস্কোর গুড উইল অ্যাম্বাসেডর হেডভা সের কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ ভাস্কর্য প্রদানের বিষয়ে ইউনেস্কোর সঙ্গে কোনো রকমের পরামর্শ করেনি এবং ওই অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাও ছিল না।

ইউনেস্কোর সদর দফতরের বহির্বিশ্ব সম্পর্কবিষয়ক সহকারী মহপরিচালকের পাঠানো চিঠি 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এ সম্পর্কিত একটি সংবাদ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এর সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ বছরের ৩১ মার্চ ইউনেস্কোর মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠান।

সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সহকারী পরিচালক (জেনারেল) তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রীকে এ তথ্য জানান।

;

আরও ১ বছর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে আরও ১ বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার (২৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে অবসর-উত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে আগামী ৫ জুলাই অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

চাকরির মেয়াদ শেষে আগামী ৪ জুলাই তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

এর আগে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের ৫ জুলাই তাকে মুখ্য সচিব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

;

‘সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা জনগণের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণ করতে হলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্ভাবন 'আমার গ্রাম, আমার শহর'। তিনি জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, দেশের সব গ্রামে শহুরে সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমান সরকার 'আমার গ্রাম, আমার শহর' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কোভিডসহ যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

বুধবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য আরবান্ রিজিলিয়েন্স ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৭ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়ে গেছে। যা একসময় কল্পনাও করা যেতো না। পল্লী অঞ্চলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ঢাকা শহরে জনসংখ্যাগত সমস্যার সমাধান হবে না। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, ভূ-সংস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই সংকট মোকাবিলায় সবার একসাথে কাজ করতে হবে। এ সম্পর্কিত পারস্পরিক জ্ঞান আদান-প্রদান করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুম পাটোয়ারী (যুগ্ম সচিব) এবং মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে এতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ্ কুক, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারসহ প্রমুখ।

;