বাড়ছে তিস্তার পানি, নদীপাড়ে আতঙ্ক



আসিনুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের কাউনিয়ায় পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীপাড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল ৩টায় রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় সকাল ৬ টায় ২৮ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় ২৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২ টায় ২৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। 

অপরদিকে একইদিন বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই পয়েন্টে সকাল ৬ টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২ টায় ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪ গেটই খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটিরদিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই ভাটির অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগে তিস্তায় পানি বাড়ায় নদী পাড়ের মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আমাদের এখানে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। 

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ভোর থেকে তিস্তার পানি হুহু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চল গ্রামের মানুষদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। 

চর গনাই গ্রামের বাসিন্দা মোজাফ্ফর বলেন, ভোর থাকি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভয়ে আছি। ঈদের আগে বন্যা হলে খুব বিপদে পড়ে যাবো।  

একই এলাকার আব্বাস আলী জানান, হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার আভাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সরকারিভাবে সকল ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

   

চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় খাইরুল বাশার (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত জীবননগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি জীবননগর উপজেলার পেয়ারাতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম মন্ডলের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন (১৭ জুন) বিকেলে খায়রুল বাশার বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের মাঠে স্থানীয়রা তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে জীবননগর থানার পুলিশ।

পরে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন বলেন, জীবননগর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের মাঠ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

;

ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ল ৭ বসতঘর, বৃদ্ধার মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভোররাতে লাগে আগুনে পুড়ে গেছে সাতিটি বসতঘর। এসময় ঘরের ভেতর থাকা হালিমা বেগম (৯০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। নিহত হালিমা বেগম ওই এলাকার মৃত মফজল মিস্ত্রীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বখতপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গোলদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা ডলার ত্রিপুরা বলেন, মাটির টিনশেড ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ঘরের অন্যরা বের হতে পারলেও বৃদ্ধা হালিমা বেগম আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করেন। পরে আমরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে ৭ বসতঘরও পুড়ে গেছে।

ঘটনার পর পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও বখতপুর ইউপি চেয়ারম্যন ফারুক উল আজম।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক উল আজম বলেন, আগুনে সাত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত্র হয়েছে এবং একজন বৃদ্ধা মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি।

;

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে জমজ বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পুকুরের পানিতে ডুবে হিরা ও মুক্তা নামে দুই জমজ বোনের মৃত্যু হয়েছে। দুই বছর বয়সী হিরা ও মুক্তা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেন পুটনের মেয়ে। জমজ দুই বোনের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বেলা ১১ টার দিকে রায়পুরের দেবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইয়াছিন ব্যাপারি আমিন।

তিনি বলেন, পুকুরের পাশে খেলতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে দুই জমজ শিশু পানিতে পড়ে যায়। এরপর জমজ কন্যাদের মা ও পরিবারের লোকজন আশ-পাশে বাচ্চাদের দেখতে না পেয়ে বাড়ির চারপাশে খোঁজাখুঁজি করে।

এক সময় বাড়ির পাশে পুকুরে দুই শিশুকে ভাসতে দেখে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতলে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। একসাথে দুই জন শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

;

ফটিকছড়িতে ছাদে বল আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভবনের ছাদে আটকে যাওয়া ক্রিকেট খেলার বল আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সালাউদ্দিন তাসিন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমিতিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড রাজা মিয়া চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সালাউদ্দিন তাসিন ওই এলাকার নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে। সে সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

স্থানীয়রা জানায়, তাসিন তার চাচার নতুন বাড়ি উঠানে ক্রিকেট খেলার একপর্যায়ে নতুন ভবনের ছাদে বলটি আটকে যায়। বল আনতে গিয়ে ঘরের ছাদের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টেজের পল্লী বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সমিতিরহাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছেলেটি ক্রিকেট খেলার সময় পাশে থাকা একটা তিনতলা ভবনে বল আটকে পড়ে। সে বলটি আনতে গিয়ে বৈদ্যুতিক স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. নুরুল হুদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ক্রিকেট খেলার বল আনতে গিয়ে ছাদের ওপর দিয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে ছেলেটি মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

;