কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত কাউন্সিলর, ময়লা-পচা গন্ধে অতিষ্ঠ বনশ্রীবাসী
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jun/18/1718696851572.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
ঈদুল আজহার পশুর কোরবানি শেষ হয়েছে সোমবার। অথচ ঈদের পরের দিনেও দক্ষিণ বনশ্রী আবাসিক এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেনি সিটি কর্পোরেশন। কোরবানির পশুর রক্ত, ময়লা-পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এই এলাকার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন তিন ওয়ার্ডের দক্ষিণ বনশ্রীর পুরো আবাসিক এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আবাসিক এলাকার প্রতিটি ব্লক ও সড়কের মোড়ে পড়ে আছে জবাই করা পশুর মাথার চামড়া, পচা রক্ত, পশুর নাড়ি-ভুঁড়ির অর্ধ গলিত অংশ। এসব স্তূপ করে পড়ে থাকায় সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সঠিক সময়ে বর্জ্য অপসারণ না করায় পচা দুর্গন্ধে বাসার দরজা জানালা খুলতে পারছেন না। সোমবার কোরবানির পর থেকে এখন পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের কাউকে এই এলাকায় আসতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেন তারা।
![](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&quality=75&path=uploads/news/2024/Jun/18/1718696760375.jpg)
বনশ্রী এইচ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার এখানে দুপরের মধ্যে মোটামুটি কোরবানি শেষ হয়ে গেছে। সোমবার দুপুর থেকে আজকে দুপুর পর্যন্ত এই এলাকায় বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনের কাউকে পাওয়া যায়নি। কেউ ময়ালা নিতে আসেনি।
আবার মেরাদিয়ার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্যও পুরোপুরি সরেনি। বিভিন্ন জায়গায় এখনো হাটের আর কোরবানির বর্জ্য পড়ে আছে।
পাশের কাজীবাড়ি মোড়েও কোরবানির বর্জ্যের স্তূপ। দ্রুত এসব বর্জ্য সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, শুধু দুর্গন্ধই নয়, মশারও বিস্তার ঘটাচ্ছে এসব বর্জ্য।
এবারের কোরবানি বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীর কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টা শেষ হবে আজকে দুপুর ২ টায়। কিন্তু বেলা ১ টা পর্যন্ত এইচ ব্লকের এই অংশে বর্জ্য অপসারণ না হলেও কে ও এফ ব্লকের দিকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে। তবে কাজের ধীরগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী।
ঈদের পরের দিনেও কেন বর্জ্য অপসারণ হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় নাই। কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।
পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোরবানি শেষ করে সন্ধ্যায় তিনি এই এলাকা পরিদর্শনে আসবেন। বাকিটা তখন দেখবেন।