ঈদযাত্রায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষের চাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদকে কেন্দ্র করে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৭ জেলার মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে বেলা শেষ হতেই যাত্রীদের চাপ বাড়তে দেখা গেছে।

শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড় এলাকায় যাত্রীদের তীব্র চাপ চোখে পড়ে। সড়কে শৃংখলা বজায় রাখতে ও যানজট নিরসণে কাজ করতে দেখা গেছে পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের।

বাইপাইল ত্রিমোড়ে আব্দুল্লাহপুর-ইপিজেড সড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক মিলেছে। তাই ঢাকার আব্দুল্লাহপুর ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রীদের বাইপাইল মোড় পার হতেই হয়। তাই বাইপাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। পুলিশকেও তাই এই পয়েন্টে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হয়।

সরেজমিনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ছাড়াও বলিভদ্র, শ্রীপুর, বিকেএসপি, জিরানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ির ধীর গতি চোখে পড়েছে। চন্দ্রামুখী লেনে গাড়ির প্রচুর চাপ থাকলেও ঢাকা বা নবীনগরমুখী লেন বেশিরভাগ সময় ফাঁকাই মনে হয়েছে। তবে চন্দ্রায় অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে জ্যাম কিছুক্ষণ পরপরই বাড়ইপাড়া কিংবা কবিরপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে আসতে দেখা গেছে। রাত পৌনে ৮ টার দিকে চন্দ্রা থেকে জিরানী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিমি যানজট ছিল।

সড়ক ব্যবহারকারীরা জানিয়েছে, এ সড়কে নির্ধারিত বাস টার্মিনাল না থাকায় মহাসড়ক ব্যবহার করেই যাত্রীবাহী বাসগুলো যাত্রী ওঠা-নামা করায় তাই যানজট প্রায় লেগেই থাকে।


এছাড়া, সাভারের আরেকটি মহাসড়ক ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। ঢাকার গাবতলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত কিছুটা চাপ থাকলেও তেমন যানজট চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র বিশমাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে নবীনগর স্ট্যান্ড পর্যন্ত গাড়ির ধীর গতি রয়েছে। এছাড়া ঢাকামুখী লেনে নয়ারহাট থেকে নবীনগর এবং আমিনবাজারে যানজট দেখা গিয়েছে।

বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থেমে থাকা বাসের যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাড়ি কোনো স্পটেই বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল না। তবে গাড়ির গতি বেশ কম ছিল।

বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নাটোর যাব। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আগে যে বাসের ভাড়া ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা সেই বাস এখন ভাড়া চায় ১ হাজার টাকা। তাও সিটও পাচ্ছি না।

সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো নজরদারির মধ্যে রেখেছি যেন যানজট না লাগতে পারে। আমাদের সঙ্গে থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ সবাই একযোগে কাজ করছে। আজ রাতের মধ্যেই অতিরিক্ত চাপ শেষ হয়ে যাবে আশা করছি।

   

বর্জ্য নিষ্কাশনে ডিএসসিসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কল দেয়ার অনুরোধ মেয়রের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বর্জ্য নিষ্কাশনে ডিএসসিসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কল দেওয়ার অনুরোধ মেয়রের

বর্জ্য নিষ্কাশনে ডিএসসিসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কল দেওয়ার অনুরোধ মেয়রের

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্জ্য নিষ্কাশনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসির) নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কল দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের কাউন্সিলররা প্রতিনিয়ত চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। প্রতিদিনের ময়লা আমরা প্রতিদিনই পরিষ্কার করছি। কিন্তু, তারপরেও কেউ ময়লা দেখলে করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কল দেওয়ার অনুরোধ রইলো। 

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকালে সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ফোন পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার ভেতরে কোরবানির পশুর ময়লা এবং পশুর হাটের ময়লা পরিষ্কার করব।

ঈদের তৃতীয় দিনে কেউ যাতে কোরবানির পশু জবাই না করে এমন আহবান জানিয়ে মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ঈদের তৃতীয় দিনের দুপুর ১২টা পর্যন্ত আমাদের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সেজন্য তৃতীয় দিনে কেউ কোরবানির পশু জবাই না করলে ভালো হবে।

মেয়র আরও বলেন, করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার বাড়িতে জীবাণু নাশক পাউডার, স্যাভলন দেওয়া হয়েছে। আমরা অত্যন্ত সফলভাবে ঈদের বর্জ্য অপসারণ কাজ চলমান রেখেছি।

হটলাইন নাম্বার হলো-01709900888 ও 02223386014

;

‘বিদেশি পানি’র বন্যা



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘বিদেশি পানি’র বন্যা

‘বিদেশি পানি’র বন্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাইঘাটের তালবাড়ি এলাকার ‘চড়া ভাই’ বৃষ্টি ভেঙে পাড়ি দিয়েছেন সুরমা নদী। ‘চড়া ভাই’ মূল নাম নয় তার; তবে এ নামে এলাকায় বেশ পরিচিত। মূল নাম আড়ালে পড়ে গেছে এ নামের আড়ালে, অথবা বলা যায়, কখনো জিগ্যেস করা হয়নি অন্য কোন নামের। ‘চড়া’ বলতে কঠিন মেজাজ কিংবা অতিরিক্ত কিছু নয়, তিনি নরম স্বভাবের, সজ্জন; এবং এ নাম এসেছে নাকি তার চড়ুই পাখি থেকে। এমনটা হেসে-হেসে তিনিও বলেন। লোকজন মায়া করে ‘চড়া ভাই’ নামে ডাকে, দাবি করেন তিনি।

সুরমায় বেশ স্রোত। এমন স্রোতে নৌকার মাঝি কায়দা করে নৌকা চালান। পাড়ের কাছ দিয়ে উজানের দিকে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এরপর নদী অতিক্রম করতে ভাসিয়ে দেন স্রোতে। স্রোতের টান আর ইঞ্জিনের শক্তিতে নৌকা এগোয়। এরপর নির্ধারিত ঘাটের কাছাকাছি এসে তীরে ভেড়ান। বৈঠার নৌকা নয় এটা, ইঞ্জিনচালিত বলে এই স্রোতে এখনো মানুষ নদী পাড়ি দিতে পারছে।

আলীনগর ঘাটের নদীর এই পাড়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা, অন্য পাড়ে কানাইঘাট। বিয়ানীবাজারের পাড়ের নদীর তীর তুলনামূলক উঁচু। উপচে পানি ঢুকেনি এখনো। তবে কানাইঘাট পাড়ের তীরের অনেক জায়গায় পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। রাস্তাঘাট ডুবিয়েছে, কারো কারো ঘরেও ওঠেছে পানি; এছাড়া বেশিরভাগই আছেন ঝুঁকিতে। মানুষই কেবল নয়, গবাদি পশু, গোলার ধান সব আছে ঝুঁকিতে। গত ক'বছর এমনটা হয়ে পড়েছে নিয়মিত দৃশ্য, যেন নিয়তির লিখন।

‘চড়া ভাই’র ভাষায় এটা ‘বিদেশি পানি’। সত্তরোর্ধ তিনি। অনেক বন্যা দেখেছেন জীবনে, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোর বন্যা তার কাছে যেন অন্যরকম। দুই বছর আগে তার ঘরে পানি ওঠেছিল। এবার এখনই তেমনটা না হলেও লক্ষণ সুবিধার না বলছেন তিনি। বললেন, বিদেশি পানি আর বৃষ্টি বন্ধ না হলে এবারের অবস্থা আগের চাইতে খারাপ নাকি হবে! আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, মেঘ (বৃষ্টি) কমার লক্ষণ নাই। বৃষ্টি সিলেটের নিয়মিত দৃশ্য এখন। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এ কেবল বৃষ্টি নয়, যেন কলসি উপচে পানি পড়া!

‘চড়া ভাই’ নদী পাড়ি দিয়ে নিয়মিত আসেন এ পাড়ে, কাজের সন্ধানে। ছয় সদস্যের সংসার তার। একমাত্র উপার্জনক্ষম তিনি। এই বয়সে দিনমজুরের কাজ করেন। হাসিমাখা মুখ আর মজার ছলে কথা বলেন বলে প্রয়োজন ছাড়াই অনেকেই তাকে দিয়ে কাজ করায়। আধাবেলা কাজ করে বেশিরভাগ সময় মজুরির অর্ধেক নিয়ে তিনি চলেও যান। তার পাড়ের লোকজনের কাছে তার কাজ নাই বলে এখানে আসেন। বন্যা-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এবার এসেছেন তিনি কোরবানির মাংসের সন্ধানে। ঈদের দিন কিছু সংগ্রহ করেছেন, ঈদের পরের দিনও কিছু সংগ্রহ করবেন। মায়া করে কেউ কেউ তার জন্যে ফ্রিজে রেখে দেয়, বলেন তিনি।

সেলিম উদ্দিন, বাড়ি-বাড়ি ঘুরে মুরগি বিক্রি করেন। ত্রিশের কোটার যুবক। তার ঘরের বেড়ার কাছাকাছি পানি চলে গেছে। আরেকটু বাড়লে ঘরে ঢুকে পড়বে। পরিবার নিয়ে আছেন ঝুঁকিতে। বললেন, বন্যার সময় এক কষ্ট, আর বন্যার পরে আরেক কষ্ট। বেড়া ধ্বসে পড়ে যায়। তার এলাকা এরইমধ্যে প্লাবিত। নদীর তীর উপচে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। নদীর পাড়ের কোথাও কোথাও কোমর সমান পানি। আছে স্রোতও। সন্তানদের নিয়ে ঝুঁকি আর ভোগান্তির অন্ত নেই। সঙ্গে আছে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তা। ত্রাণ কি পৌঁছেছে কিছু, এমন প্রশ্নে সেলিম উদ্দিনের ভাষ্য—অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় বেঁচে থাকা যায় না। দুই-তিন কেজি চাউল আর কয়েক মুঠো ডাইল দিয়ে কি দিন যায়; একদিন দিলে বাকিটা সময় নাই, সব নাকি লোকদেখানো!

উল্লিখিত দুইজন, সামগ্রিক পরিস্থিতির খণ্ড চিত্র। এরা নদী পাড়ি দিয়ে এ পাড়ে এসেছে বলে তাদের মুখ থেকে জানা গেল। এরবাইরে বৃহত্তর একটা শ্রেণির মানুষ আছে সেখানে যারা না পারছে বের হতে, না পারছে কিছু করে নিয়ে যেতে। অনেকেই আছে বিবিধ সামাজিক সীমাবদ্ধতায় কাউকে কিছু বলতেও পারছে না। নদীর পাড় ঘেঁষে তালবাড়ি-রাজাগঞ্জের বাসিন্দাদের অনেকেই গরিব। অনেক পরিবারে আছে প্রবাসী, তারা অবশ্য সচ্ছল। তারাও প্লাবিত, তবে অন্যদের মতো আর্থিক দুর্দশায় নয় এমন।

গত মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে যে বন্যা হয়েছিল সিলেটে, সে সময়ও গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জের মতো কানাইঘাটও প্লাবিত হয়েছিল। বানের পানি নামতে না নামতেই এবার ফের বন্যা এসেছে। আষাঢ়ের আগ থেকে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে, সবচেয়ে বড় কথা উজানে, তাতে এবারের এ বন্যায় দীর্ঘ হচ্ছে। উজান বলতে আমরা বুঝে থাকি ভারতকে। ভারতের পানি বরাক হয়ে সুরমা-কুশিয়ারা দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানিপ্রবাহের এই সময়ে প্লাবনে ঢাকা পড়ে সিলেট বিভাগের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এ পানিকে গণমাধ্যম বলে পাহাড়ি ঢল অথবা উজানের পানি, স্থানীয়দের কাছে এটা ভারতের পানি বা বিদেশি পানি। এজন্যে সিলেটে যত বৃষ্টিই হোক এটাকে স্থানীয়রা বন্যা বলার চাইতে ‘মেঘের পানি’ বলতেই আগ্রহী। চড়া ভাইদের কাছেও এবারের এই পানিও তাই বিদেশি পানি।

সিলেট বিভাগের অনেক উপজেলা এরইমধ্যে বন্যায় প্লাবিত। সিলেট নগরও প্লাবিত, জলাবদ্ধতায়। অতিবৃষ্টির প্রভাবে নগরের বেশিরভাগ এলাকা ঈদের দিনে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। সঙ্গে আছে সুরমার পানি বিভিন্ন ছড়া বা খাল দিয়ে নগরে প্রবেশ। কেবল সিলেট শহরই নয়, সুনামগঞ্জ শহরেও পানি প্রবেশ করেছে। ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভারতের পানিতে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, চলতি, চেলা, খাসিয়ামারা নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এই ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিলেটের মধ্য দিয়ে যে নদীগুলো প্রবাহিত হয়েছে তার অন্তত তিনটি নদীর ছয়টি পয়েন্টের পানি এরইমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে মঙ্গলবার সকালের খবর। এছাড়া যেভাবে প্রতিবার ভারি বৃষ্টিতে নগর যেভাবে ডুবছে তাতে বৃষ্টি সিলেটে ভয়ের প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।

সিলেট নগর কেন ডুবছে বারবার—এনিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। দুই বছর আগের বন্যার পর বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, সুরমা নদী ভরাট হওয়ার কারণে বন্যা। বলছিলেন, পানিপ্রবাহের বাধা পাওয়ার কথা। এরপর কয়েকটি জায়গায় নদী খনন কাজের শুরু হয়েছিল, কিন্তু কাজ শেষ হয়নি দুই বছরেও। নগরে জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছিল অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের দীর্ঘসূত্রিতা এবং পানিপ্রবাহের বাধা থাকার কথা। কারণগুলো কারণ হিসেবেই থেকেছে, উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ফলে সিলেটে বৃষ্টি এখন অভিশাপ হয়ে ওঠেছে।

বিদেশি পানির কারণে বন্যায় হয়তো আমাদের কোন হাত নেই, কিন্তু অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, কাজে দীর্ঘসূত্রিতা এবং নদী ভরাটে আমাদের হাত রয়েছে অবশ্যই। হাত রয়েছে উন্নয়নের নামে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টিতেও। এসব আমাদের কাছে যতটা গুরুত্ব পাওয়ার কথা, ঠিক ততটা পাচ্ছে না।

সিলেটে বন্যা এখন তাই স্বাভাবিক ঘটনা। বছরে কয় বার ডুবল সিলেট, এটা এখন তেমনই বুঝি এক সংখ্যার হিসাব!

;

সিলেট সীমান্তবর্তী আসামে বন্যায় ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেট সীমান্তবর্তী আসামে বন্যায় ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

সিলেট সীমান্তবর্তী আসামে বন্যায় ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল বৃষ্টিতে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সীমান্তবর্তী ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের প্রধান নদ ব্রহ্মপুত্র জলের তোড়ে ফুঁসছে। আসামের বন্যার ফলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল বেড়ে বন্যা ও জলাবদ্ধতা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই আসামের রাজধানী গুয়াহাটির অনিলনগর, চাঁদমারির মতো জায়গা জলমগ্ন। বন্যায় রাজ্যের ৩০৯টি গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করিমগঞ্জ জেলা।

উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ সিলেটের জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সংলগ্ন। ফলে বন্যার পানি এদিকেও বেড়ে যেতে পারে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, রাজ্যের ১০০৫.৭ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় আসমের সরকার ১১টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। ৩,১৬৮ জন মানুষ এই শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। আরো ত্রাণ ও উদ্ধার কার্য চলছে।

;

কবি অসীম সাহার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তায় উল্লেখ করেন, অসীম সাহার মৃত্যুতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গণে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মননা ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত হন অসীম সাহা । এছাড়াও, সামগ্রিকভাবে সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

;