বন্যা বিপর্যস্ত সিলেট, পরিত্রাণ কোথায়?



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত মহানগরীর তালিকায় নাম যুক্ত হয়েছে সিলেটের। এই তিনটি শহরই বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোর অন্যতম। তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও এই তিন শহরে অবস্থিত। বৃষ্টিতে শহর তিনটির লবেজান পরিস্থিতি দেশের আর্বান গভার্নেন্সের করুণ চিত্র তুলে ধরে।

নগর ব্যবস্থাপনা বা আর্বান গভার্নেন্সের ক্ষেত্রে আমরা কত পিছনে রয়েছি, তা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দিকে তাকালেই টের পাওয়া যায়। বায়ু দুষণে, অপরিকল্পিত নির্মাণে, যানজট ও জলাবদ্ধতায় প্রতিনিয়ত বিপর্যস্ত শহরগুলো। অল্প বৃষ্টি বা ঢলে তলিয়ে যায় শহর। পথঘাটে কোমর পানি জমে। বাড়িঘরও সয়লাব হয়ে যায় পানিতে। ড্রেন আর রাস্তা একাকার হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষের মৃত্যুও ঘটে। আহত হয় বহুজন।


ঢাকা ও চট্টগ্রামের চেয়ে সিলেটের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। সিলেট মহানগরী পরিবেষ্টিত হাওয়াঞ্চল দ্বারা। তদুপরি সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ার কারণে পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির তোড় বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম আঘাত হানে সিলেটে। অসংখ্য হাওর ও নদী থাকায় পানির প্রবাহ অচিরেই আরো নিচে নেমে সাগরের দিকে চলে যাওয়ার কথা। অতীতে সিলেটের বন্যার পানি খুব তাড়াতাড়িই নেমে গিয়েছে। এখন তা হচ্ছে না। পানি ফুঁসে তলিয়ে দিচ্ছে সিলেট নগর। নদীগুলো ভরাট ও দখল হওয়ায় এবং হাওরের নানা স্থানে, বিশেষত কিশোরগঞ্জ প্রান্তে নানা স্থাপনার কারণে পানি নেমে যেতে পারছে না। আক্রান্ত ও বিপর্যস্ত হচ্ছে মহানগরসহ বৃহত্তর সিলেট।

বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট দুর্যোগের ঘনঘটা সিলেটে নিয়মিত বিপদের কারণে পরিণত হয়েছে। একের পর এক দুর্যোগে কাবু হচ্ছে সিলেট মহানগরী ও আশেপাশের বিশাল জনপদের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এক মাসের মধ্যে ফের দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে নগরটিতে। এমন অবস্থায় শহরের লাখো মানুষ হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি। বন্যার কারণে অনেকেই প্রথম দিনে কোরবানি দিতে পারেননি। দ্বিতীয় দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় রয়েছেন তারা।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রকাশ, বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে সিলেট নগরের নিম্নাঞ্চলও। খোদ নগরেই হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। নগরের উপশহর, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়াসহ অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে।


বিপদজনক পরিস্থিতির এখানেই শেষ নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি এবার স্থায়ী রূপ নিতে পারে। সংস্থাটি বলছে, ঈদের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ৩টি নদীর পানি ৩টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ও সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সিলেটের সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে সিলেটের সদর, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর, বিশ্বনাথ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এসব উপজেলার ৫১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সিলেটের সব উপজেলায় ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে শনিবার থেকে মানুষজন উঠতে শুরু করেছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২৪ ঘন্টায় ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরে সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত হয়েছে আরো ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি। বেলা ১টার পর নগরে বৃষ্টিপাত কমলেও জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে উঠে এসেছে। উজান থেকে নামছে ঢলও। এরই সাথে বজ্র-বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ এলাকায় কয়েক হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। অথচ প্রতি ঈদের জামায়াতে ঈদগাহে লক্ষাধিক মুসল্লি একসঙ্গে জামায়াত আদায় করতে দেখা যায়। এই ঈদে নিজ এলাকার মসজিদে মুসল্লিরা জামায়াত আদায় করেন।

জলাবদ্ধতায় ঈদের আনন্দ কষ্টে পরিণত হওয়া ছাড়াও সিলেট তথা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অপেক্ষা করছে বন্যার বিপদ। বৃহত্তর সিলেট ও সন্নিহিত নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে জনজীবনের দুর্ভোগ ছাড়াও ফসল এবং মৎস্য সম্পদের বিরাট ক্ষতি হতে পারে। উল্লেখ্য, দেশের খাদ্য-শস্য ও মিঠা পানির মাছের সবচেয়ে বড় সরবরাহস্থল হলো হাওর। ফলে সিলেটের বন্যার প্রভাব আশেপাশে ছড়িয়ে গেলে দেশের কৃষি অর্থনীতি বড় ধরনের চাপের সম্মুখীন হবে। এ কারণেই সিলেট বন্যা কেবল সিলেটই নয়, সারা দেশের জন্যেই চিন্তার কারণ।

সিলেটকে বন্যার কবল থেকে বাঁচাতে নগর পরিকল্পনাবিদগণ কেমন পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। যদি স্পষ্ট হতো, তাহলে প্রতি বছর বৃষ্টি ও ঢলে সিলেট শহর তলিয়ে যেতো না। সিলেটে জলাবদ্ধতা ও পানিবন্দিত্বের দুঃসহ জীবন দিনে দিনে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হচ্ছে বলেই মনে হয়। যেমনভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা প্রতিকারহীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দেশের তিনিটি শীর্ষতম প্রধান শহরের যদি প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা এতো ভঙ্গুর ও নাজুক হয়, তাহলে টেকসই উন্নয়নের বিষয়গুলো প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং নাগরিক জীবনের সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়গুলোও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। ফলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে।


পরিত্রাণের উদ্যোগ হিসাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেটের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তথা সিটি করপোরেশনের প্রতি তাকিয়ে থাকলেই চলবে না। এসব প্রতিষ্ঠানের শক্তি ও সামর্থ্য বাড়ানোর দিকেও মনোযোগী হতে হবে। প্রয়োজনে প্রধান শহরগুলোর জন্য জাতীয় ভিত্তিক পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এতে বাংলাদেশের নগর ব্যবস্থাপনা বা আর্বান গভার্নেন্সের মান বৃদ্ধি পাবে এবং প্রাকৃতিক বিপদে টিকে থাকার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে নাগরিক নিরাপত্তা প্রসারিত হবে।

সিলেটের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে নগর সুরক্ষার পাশাপাশি জলাবদ্ধতার কারণগুলোকে চিহ্নিত করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। নদী ও হাওরগুলোকে ভরাট ও দখল হওয়া থেকে বাঁচাতে হবে। প্রয়োজনে সেগুলো খনন করে জল প্রবাহের ব্যবস্থা বাড়িয়ে জলাবদ্ধতা ঠেকাতে হবে। বিশেষ করে, সিলেট ও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরগুলোর ব্যাপারে সরকারের কঠোর ভূমিকা নিতেই হবে। হাওরগুলো ভরাট হলে, আবর্জনা ও বর্জ্য দিয়ে ভরিয়ে ফেললে এবং অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে পানি প্রবাহ ব্যাহত হলে উজানের সিলেট ও আশোপাশে বন্যার পানি জমে জলাবদ্ধতা হবেই। তাই সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত ও দূরীভূত করতে হবে।

বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর রয়েছে যে তিনটি শহরে, সেখানে জলাবদ্ধতায় স্বাভাবিক জীবন স্তব্ধ হলে জাতীয় উন্নয়নের গতিও থেমে থাকবে। ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন সফল করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তৈরি হওয়াও কষ্টকর হবে প্রধান শহরগুলোর বিপর্যস্ত পরিস্থিতির কারণে। এই সত্য যত তাড়াতাড়ি নীতি নির্ধারকগণ উপলব্ধি করতে পারবেন, তত তাড়াতাড়িই সমস্যার সমাধান হবে এবং জনদুর্ভোগের অবসান ঘটবে।

ড. মাহফুজ পারভেজ: অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম; চেয়ারম্যান ও প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।

   

গৌরনদীতে আলাউদ্দিন ভূঁইয়া মেয়র নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে নারিকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি ভোট কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে ৫ হাজার ৭৫৮ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

এ দিন সকাল থেকেই ইভিএম’র মাধ্যমে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে নারিকেল গাছ মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোবাইল ফোন মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৬ ভোট।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।

;

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট তহবিল’ গঠনের জন্য আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। বিলটি উপস্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল উত্থাপন করা হয়েছে। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিল উপস্থাপনের পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিতে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনে সংশোধনী এনে ভাষা গবেষণার জন্য ট্রাস্ট তহবিল করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, এই ট্রাস্ট তহবিল দুটি অংশে বিভক্ত থাকবে। স্থায়ী তহবিল ও চলতি তহবিল। সরকারের দেওয়া অনুদান, স্থায়ী তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ থেকে পাওয়া আয় বা মুনাফা এবং সরকার অনুমোদিত অন্য কোন উৎস থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে এই তহবিল গঠন করা হবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, বাংলা ভাষাসহ পৃথিবীর অন্যান্য ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, বাংলসহ পৃথিবীর অন্যান্য ভাষা গবেষণা ও ভাষা শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে বৃত্তি, অনুদান, প্রশিক্ষণে এই তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাবে।

;

পাহাড়ের মন্দিরে ছদ্মবেশে ছিলেন আনার হত্যার ২ আসামি: ডিবি হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাহাড়ের মন্দিরে ছদ্মবেশে ছিলেন আনার হত্যার ২ আসামি: ডিবির হারুন

পাহাড়ের মন্দিরে ছদ্মবেশে ছিলেন আনার হত্যার ২ আসামি: ডিবির হারুন

  • Font increase
  • Font Decrease

এমপি আনার হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলীকে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় দুই আসামিকে নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে ৩০০ ফিটের পূর্বাচলে ১৮ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে অবতরণের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ডিবি হারুন বলেন, শিমুল ভূইয়ার সাথে থেকে ফয়সাল, মোস্তাফিজ, জিহাদ এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। এ ঘটনার মূল ঘাতক ছিলো শিমুল ভূইয়া। ফয়সাল ও মুস্তাফিজ নাম পরিবর্তন করে পলাশ দাস ও শিমুল রায় নাম ধারণ করে পার্বত্য এলাকায় ছদ্মবেশে সীতাকুণ্ডের পাথাল কালীমন্দীরে ২৩ দিন ছিলেন।

তিনি বলেন, তারা ১৯ তারিখ বাংলাদেশে আসে। তাদের দুইজনকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেয়।

তারা বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। যে ৭ জন এই মিশনে অংশ নিয়েছিলো, এরা ছিলো শিমুলের পর এই ২য় ও ৩য় ব্যক্তি। বাংলাদেশে আছে ৭ জন, ভারতে ২ জন।

মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেফতার করাই এখন মূল টার্গেট বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্সকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি রয়েছে, তারাও চেষ্টা করছে ধরার। আমরাও চেষ্টা করছি।

;

সিলেটে বারকি নৌকা থেকে ফের ১১১ বস্তা চিনি উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জৈন্তাপুরে পুলিশের অভিযানে আবারো দুটি বারকি নৌকা থেকে ১১১ বস্তা ভারতীয় চিরি উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৬জুন) ভোরে জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদীতে দুটি নৌকা এসব চিনি উদ্ধার করা হয়। তবে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। তাদের কাউকে আটক করা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই (মিডিয়া অফিসার) মো.আশরাফুল আলম।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জৈন্তাপুর মডেল থানাধীন ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের সারী নদীতে পুরাতন কাঠের তৈরি দুইটি নৌকা থেকে ১১১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এরআগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ৮টার দিকে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন চাঙ্গিল ব্রিজের নিচে দুটি বারকি নৌকা থেকে ৪২ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

;