শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ, কোটি টাকার মাছ নিধন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম গাজীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শত্রুতার জেরে একটি মাছের খামারে হামলা চালিয়ে বিষ প্রয়োগ করে অন্তত এক কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৯ জুন) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলাধীন বোয়ালী ইউনিয়নের মদনখালি এলাকায় নদীয়ার বিল মৎস খামারে সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পুকুরের মালিক নুরুল ইসলাম কালিয়াকৈর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের মদনখালী এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য বাদলের নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জনের একটি গ্রুপ ওই পুকুরে গিয়ে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন মালামাল ও গুদামঘর ভাঙচুর করে পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটায়।

পুকুরের মালিক নুরুল ইসলামের দেয়া অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী ভাষ্যে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের কুন্দাঘাটা, মদনখালী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য বাদল হোসেন তার সহযোগী একই এলাকার কুব্বত আলী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমরান হোসেনসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী মঙ্গলবার বিকেলে পুকুরে গিয়ে ঘর ভাঙচুর শুরু করে। এর এক পর্যায়ে ৮২ বিঘা আয়তনের পুকুরের বিভিন্ন অংশে বিষ প্রয়োগ করে।

এসময় এলাকার লোকজন জিজ্ঞাসা করলে সন্ত্রাসীরা কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আজাদের নাম ভাঙিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কয়েক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পুকুরের মালিক নুরুল ইসলাম। জানা যায়, পুকুরে বিনিয়োগ করা টাকার বেশিরভাগই বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেয়া।

ওই গ্রামের বর্তমান ইউপি মেম্বার শরিফ আল মামুন বলেন, পুকুর নিয়ে পুরাতন একটা জটলা ছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা একটি তারিখ দিয়েছিলাম কিন্তু অভিযুক্ত বাদল তা প্রত্যাখ্যান করে এমন অমানবিক কাজ করেছে। অবশ্যই এর যথাযথ বিচার হওয়া দরকার।

এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ বলেন, কে বা কারা আমার নাম ভাঙিয়ে এ কাজটি করেছে তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তারা অত্যান্ত নির্মম একটি ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন জানান, ওই পুকুরের দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা ছিল। সেটা আমরা সমাধানের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু প্রতিপক্ষ তা না মেনে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছে। এটি চরম অন্যায় হয়েছে। এর জন্য তাদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।