নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ ডিএনসিসির, খুশি বাসিন্দারা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ ডিএনসিসির, খুশি বাসিন্দারা

নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ ডিএনসিসির, খুশি বাসিন্দারা

ঈদুল আজহার কোরবানির পর নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সব ওয়ার্ডের। নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন নগরবাসী। এর আগে ৬ ঘণ্টার মধ্য কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন সিটি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

সরেজমিনে ঈদের তৃতীয়দিন বুধবার (১৯ জুন) সারাদিন সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সড়ক ঘুরে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া যায়। ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয়দিন যেসব এলাকায় কোরবানি করা হয়েছে, সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নগরীর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোরবানির আগেই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্লিচিং পাউডার, বর্জ্য সংরক্ষণের ব্যাগ ও গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। ঈদের দিন দুপুর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণে কাজ শুরু করেন। এবং বিকেলে অপসারণ করে পুরো এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

রামপুরা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বার্তা২৪ কমকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন কোরবানির পর থেকেই বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছে। রাতের মধ্যেই এই এলাকার অলিগলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন। এবার চামড়া পচা ও রক্তের গন্ধ খুব একটা নাকে লাগেনি।

বাড্ডা রামপুরার মত মালিবাগ মগবাজার তেজগাঁও এলাকার চিত্রই একই রকম। তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান বার্তা২৪ কমকে বলেন, গত ঈদের দীর্ঘ সময় বাসার সামনে কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকলেও এবার ঈদের দিন বিকেলে সব পরিষ্কার করে ফেলছে সিটি কর্পোরেশন। তাৎক্ষণিকভাবে ময়লা পরিষ্কার করায় এবার এলাকায় পরিবেশ অনেক ভালো আছে।

নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ হওয়ায় খুশি উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বার্তা২৪ কমকে বলেন, মেয়র মহোদয়ের ঘোষণা অনুযায়ী বাসা বাড়ির কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট ব্যাগে বাড়ির পাশে রেখে দেওয়ার জন্য প্রায় ১০ লাখ পলিব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। নগরবাসী এইসব পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট জায়গায় বর্জ্য রাখায় তা অপসারণ সহজ হয়েছে। বর্জ্য পরিষ্কার করার পর যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেই জন্য ২৬৮০ বস্তা ব্লিচিং পাউডার (২৫ কেজি বস্তা), স্যাভলন-৯০০ ক্যান (প্রতি ক্যান ৫ লিটার), টুকরি-৭০০০টি, ফিনাইল-১২৫০ লিটার দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সবার সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ৬ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমরা নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসাথে কাজ করবো।

এদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ করলেও সময় বেধে দিয়েও করতে পারেনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। দক্ষিণ সিটি বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ না হওয়ায় বর্জ্যের পচে দুর্গন্ধ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা।